৯৪.সূরা ইনশিরাহ سورة الشرح Surah Inshirah এর তাফসীর ও শানে নুযুল

সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৫-৬,সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৬, সূরা ইনশিরাহ ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৪, সুরা ইনশিরাহ অর্থ, সূরা ইনশিরাহ এর শানে নুযুল,সূরা ইনশিরাহ তাফসীর,সূরা ইনশিরাহ বাংলা অর্থ,সূরা ইনশিরাহ,সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৫-৬, সূরা ইনশিরাহ এর ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৬, সূরা ইনশিরাহ ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ বাংলা অনুবাদ সূরা ইনশিরাহ আয়াত 6 সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইনশিরাহ এর অর্থ, সূরা ইনশিরাহ উচ্চারণ, সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইনশিরাহ তাফসীর inshirah meaning in bengaliin,shirah meaning, surah inshirah, surah inshirah ayat 6, surah al inshirah, surah inshirah benefits,inshirah name meaning, every hardship comes with comfort, surah inshirah meaning, meaning of inshirah, sura al inshirah, surah inshirah bangla pronunciation, surah inshirah 70 times,سورة الشرح, سوره الشرح, تفسير سورة الشرح للاطفال, سورة الشرح مكتوبة, سورة الشرح للاطفال,
সূরা ইনশিরাহ এর তাফসীর

সূরার পরিচয় :

সূরার নাম : সূরা ইনশীরাহসূরার অর্থ : বক্ষ প্রশস্তকরণ।
সূরা নং : ৯৪রুকু সংখ্যা : ১
আয়াত সংখ্যা : ৮সিজদা সংখ্যা : ০
শব্দ সংখ্যা : ২৭পারার সংখ্যা : ৩০
অক্ষর সংখ্যা : ১০১শ্রেণী : মাক্কী।

সূরা ইনশিরাহ سورة الشرح Surah Inshirah এর তাফসীর ও শানে নুযুল


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহ তা’আলার নামে, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(١) أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ
(১) আমি কি আপনার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিইনি?

(٢) وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ
(২) আমি হালকা করেছি আপনার বোঝা,

(٣) الَّذِي انْقَضَ ظَهْرَكَ
(৩) যা ছিল আপনার জন্য অতিশয় দুঃসহ।

(٣) وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
(৪) আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।

(٥) فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرا
(৫) নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

(٦) إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
(৬) নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

(٧) فَإِذَا فَرَعْت فَانْصَبْ
(৭) অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।

(٨) وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ
(৮) এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।

শাব্দিক বিশ্লেষণ

أَلَمْ نَشْرَحْ : শব্দটির মূল হলো “شرحا” (উন্মোচন করা, উন্মুক্ত করা, প্রশস্ত করা, মেলে দেওয়া, । বিস্তৃত করা, প্রসারিত করা, খুলে দেওয়া)। لَمْ نَشْرَح (আমি প্রশস্ত করিনি), অতীতকালীন ক্রিয়ার অর্থবোধক, উত্তম পুরুষ, বহুবচন, শুরুতে “ا” (কি?) প্রশ্নবোধক অব্যয়। এখানে প্রশ্নবোধক শব্দের মাধ্যমে মূলত সত্য বিষয়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করা উদ্দেশ্য। (আমি কি প্রশস্ত করিনি?)

وَضَعْنَا : (আমি অপসারণ করেছি, আমরা বোঝা হালকা করেছি, আমরা ভারমুক্ত করেছি), অতীতকালীন ক্রিয়া, বহুবচন, উত্তম পুরুষ।

انْقَضَ : (অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়েছে), অতীতকালীন ক্রিয়া, একবচন, প্রথম পুরুষ, পুংলিঙ্গ । (B) : (আমি সুউচ্চ করেছি, মর্যাদা বৃদ্ধি করেছি), অতীতকালীন ক্রিয়া, উত্তম পুরুষ, বহুবচন ।

ذِكْرَ : (আলোচনা, সুখ্যাতি, মর্যাদা, প্রশংসা, উপদেশ), বিশেষ্য, একবচন, বহুবচন হলো ذكور، اذكار

فَرَعْت : (আপনি অবসর পেয়েছেন, আপনি সুযোগ পেয়েছেন, সমাপ্ত করেছেন), সাধারণ অতীতকাল ক্রিয়া, একবচন, মধ্যম পুরুষ, পুংলিঙ্গ।

فَانْصَبْ : (অতএব আপনি প্রস্তুত হন, আপনি পরিশ্রম করুন), ক্রিয়ার অনুজ্ঞাভাব, একবচন, মধ্যম পুরুষ, পুংলিঙ্গ।

فَارْغَبْ : (আপনি মনোনিবেশ করুন, আপনি মিনতি করুন, আপনি প্রলুব্ধ হন), ক্রিয়ার অনুজ্ঞাভাব, একবচন, মধ্যম পুরুষ, পুংলিঙ্গ।

আলোচ্য বিষয়

সূরা দুহা থেকে শেষ পর্যন্ত বাইশটি সূরায় বেশির ভাগ রাসূলুল্লাহ স.-এর প্রতি নিয়ামত ও তাঁর মহাত্ম্য সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। মাত্র কয়েকটি সূরায় কিয়ামতের অবস্থার বর্ণনা আছে। আলোচ্য সূরা ইনশিরাহেও রাসূলুল্লাহ স.-কে প্রদত্ত বিশেষ বিশেষ অনুগ্রহ বর্ণিত হয়েছে। পূর্বোক্ত সূরা দুহায় রাসূলুল্লাহ স.-এর ওপর কতিপয় নিয়ামত প্রদান করার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। সে সকল নিয়ামতের বদৌলতে আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আলোচ্য সূরাটিতেও রাসূল স.-এর প্রতি আল্লাহপ্রদত্ত কতিপয় নিয়ামতের বর্ণনা করা হয়েছে এবং শেষে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোনিবেশের অনুজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং বলা যায়, এ সূরাটি পূর্বের সূরার পরিশিষ্ট।

সূরা ইনশিরাহ এর শানে নুযুল

রাসূল স. নবুওয়াত লাভ করার পর তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, গোত্রের লোক ও পাড়া-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী এলাকায় দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে লাগলেন। পৌত্তলিক সমাজে নতুন ধর্মব্যবস্থা এ সকল লোক মেনে নিতে পারেনি। এত দিন তারা রাসূলুল্লাহ স.-কে সম্মান-শ্রদ্ধা ও মাননীয় হিসেবে মেনে নিলেও এখন আর তাকে মানতে পারছে না। বরং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে শুরু করল। নানা সমস্যা, অসুবিধা, সংকট ও ঝঞ্ঝা সৃষ্টি করতে লাগল তারা। নিজ সম্প্রদায়ের এমন অমানবিক আচরণের কারণে নবীজি দুঃখিত হন; খুবই মর্মাহত ও নিরুৎসাহব্যঞ্জক হয়ে পড়তে লাগলেন। ফলে তাঁকে সান্ত্বনা প্রদানের লক্ষ্যে প্রথমে সূরা দুহা এবং পরে আলোচ্য ইনশিরাহ সূরাটি নাযিল করেন।

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে যে, প্রাথমিক যুগে মুসলমানগণ খুবই হতদরিদ্র, দুস্থ, অভাব-অনটন ও দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত ছিলেন। তাই মুশরিকরা মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রূপ করত। মুসলমানদের অবজ্ঞা করা হতো। আলোচ্য সূরা নাযিল করে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে ঘোষণা করলেন, ‘নিশ্চয়ই কষ্ট-ক্লেশের পরই সচ্ছলতা রয়েছে।’ ইবনে জারীর তাবারীর বর্ণনায় এসেছে যে, এ আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ স. মুসলমানদের সুসংবাদ দিতে লাগলেন। নবীজি স. তাদেরকে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের সুসংবাদ দিলেন।

সূরা ইনশিরাহ এর তাফসীর

আয়াত-১.
আমি কি আপনার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিইনি?
বক্ষ উন্মুক্ত করার মর্ম হলো, রাসূলুল্লাহ স.-এর পবিত্র বক্ষকে আল্লাহ তা’আলা জ্ঞান, তত্ত্বকথা ও উত্তম চরিত্রের জন্য এমন বিস্তৃত করে দিয়েছিলেন যে, বিশ্ববিখ্যাত কোনো পণ্ডিত-দার্শনিকও তাঁর জ্ঞান-গরিমার ধারে কাছে পৌছাতে পারেনি। ফলে সৃষ্টির প্রতি তাঁর মনোনিবেশ আল্লাহ তা’আলার মনোনিবেশে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করত না। নবুওয়াতের কঠিন দায়িত্ব পালন ও শত্রুর মোকাবেলায় বিচলিত হতেন না। কোনো কোনো তাফসীর বিশারদ বলেন, সহীহ হাদীসে আছে, ফেরেশতা আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে রাসূলুল্লাহ স.-এর পবিত্র বক্ষ তিন-চারবার বিদারণ করে পরিষ্কার ও শুদ্ধি করে ছিলেন। বক্ষ উন্মুক্ত বলে সেই বক্ষ বিদারণ বোঝানো হয়েছে।

আয়াত-২. ৩.
আমি আপনার বোঝা হালকা করে দিয়েছি। যা আপনার পৃষ্ঠকে ভারাক্রান্ত করেছে। আয়াতদ্বয়ে বোঝা হালকা করার যে কথা বলা হয়েছে তার কয়েকটি উদ্দেশ্য হতে পারে,
যথা—ওহী আগমনের প্রাথমিক অবস্থা রাসূল স.-এর জন্য খুবই কষ্টকর ছিল। ধীরে ধীরে তা সহনশীল পর্যায়ে পৌঁছায়। অথবা নবুওয়াত ও রিসালতের কঠিন দায়িত্ব নবীজির নিকট ভারী মনে হতে থাকে, কষ্টসাধ্য মনে হতে থাকে, বক্ষ উন্মুক্ত করার মাধ্যমে তাঁর মনোবল আকাশচুম্বী করে দেন। ফলে প্রত্যেক কঠিন কাজই তাঁর কাছে সহজ মনে হতে থাকে। কোনো বোঝাই আর বোঝা থাকেনি।

আয়াত-৪.
আর আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।
সকল নবী ও রাসূলগণ এবং ফেরেশতা ও অপরাপর সকল সৃষ্টির মধ্যে নবীজিকে আল্লাহ সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে সমাসীন করেছেন। তাঁর নাম এবং এ ধরায় আগমনের বার্তা আগের যুগে অবতীর্ণ আসমানী কিতাবসমূহে স্থান দিয়েছেন। কিয়ামতের বিভীষিকাময় অবস্থায় ‘শাফায়াতের অধিকার’ একমাত্র তাঁকে প্রদান করা হবে। তাঁর প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণ বান্দাদের জন্য ইবাদত সাব্যস্ত করেছেন। তাঁর আনুগত্য করাকে আল্লাহর আনুগত্যের সাথে মিলিয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে।

এভাবে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীবের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। ইসলামের বৈশিষ্ট্যমূলক কাজগুলোতে আল্লাহর নামের সাথে তাঁর নাম উচ্চারণ করা হয়। সারা বিশ্বের মসজিদের মিনারে মিনারে আল্লাহর নামের সাথে তাঁর নাম ধ্বনিত হয়। বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানী তাঁর নামের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এভাবেই মহানবী স.-এর নাম আল্লাহ তা’আলা সমুচ্চ করেছেন।

আয়াত-৫. ৬.
অবশ্যই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। আর অবশ্যই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। আল্লাহর চিরাচরিত বিধান হলো এই যে, যদি কেউ দুঃখ-কষ্টে ধৈর্যধারণ করে, তাঁর রহমতের প্রতি মনোনিবেশ করে তবে আল্লাহ সে ব্যক্তির কষ্ট লাঘব করে স্বস্তি প্রদান করেন, দরিদ্রতা দূর করে সচ্ছলতা দান করেন। কষ্টের পরই স্বস্তি আছে এ কথার প্রতি তাগিদ প্রদানের জন্য আয়াতটি দুবার বিবৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীবকে সান্ত্বনার বাণী শোনান যে, আমার সন্তুষ্টির পথে তুমি যেসব কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করেছ এবং দুঃখ-যাতনা ভোগ করেছ, সেগুলোর প্রতিটি দুঃখের সঙ্গে কয়েকটি করে সুখ রয়েছে। বাস্তবিক পক্ষে তা-ই ঘটেছিল।

ইসলামের প্রাক-প্রাথমিক যুগ থেকে এ সত্যটি ফুটে উঠেছে। যখন যে দুঃখ-কষ্ট আপতিত হয়েছে তৎপরবর্তী সময়ে তাঁর থেকে কয়েক গুণ বেশি সুখ-শান্তির দেখা মিলেছে। নবীজীবনের প্রতিটি কষ্টের সাথে তাঁকে অনেক স্বস্তি দান করা হয়েছে। পরকালে রয়েছে আরো অফুরন্ত প্রশান্তি । সুতরাং প্রত্যেক বিশ্বাসী মানুষের জন্য আবশ্যক হলো দুঃখ-দুর্দশায় নিপতিত হলে আল্লাহর ওপর ভরসা করা ও ধৈর্য ধরা। আল্লাহ অচিরেই এ কষ্ট দূর করে স্বস্তি দেবেন, অনেক গুণ বেশি স্বস্তি দেবেন।

আয়াত-৭. ৮.
অতএব, যখনই আপনি (রিসালতের দায়িত্ব থেকে) অবসর পান, পরিশ্রম করুন এবং নিজ প্রতিপালকের প্রতি মনোনিবেশ করুন।
এ আয়াতের মর্ম হলো শিক্ষা, প্রচারকার্যে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্যে একান্তে যিকর ও আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি।فإذا فرغت فانصب- وإلى ربك فارغب এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, আপনি যখন দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ থেকে অবসর পান, তখন অন্য কাজের জন্য তৈরি হয়ে যান। আর তা হলো, আল্লাহর যিকর, দোয়া ও ইস্তিগফারে আত্মনিয়োগ করা। দাওয়াত, তাবলীগ ও মানুষের সংশোধন করা ছিল রাসূলুল্লাহ স.-এর সর্ববৃহৎ ইবাদত।

উল্লিখিত আয়াতে এজাতীয় পরোক্ষ ইবাদত থেকে অবসর হয়ে প্রত্যক্ষভাবে ও একান্তে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করার নির্দেশ করা হয়েছে। আল্লাহর যিকর, দোয়া ও প্রত্যক্ষ মনোনিবেশই আসল উদ্দেশ্য। মূল ইবাদত। এ ইবাদতের জন্যই মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই পরোক্ষ ইবাদত থেকে অবসর পাওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা বিশেষ প্রয়োজনে ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। তা হতে অবসর পাওয়া সম্ভব।

তবে প্রত্যক্ষ ইবাদত বা আল্লাহর মনোনিবেশ থেকে কোনো মুমিন কখনো অবসর পেতে পারে না। অতএব যারা শিক্ষা, প্রচার ও জনসংশোধনের কাজে নিয়োজিত থাকেন, তারা অবসর হয়ে বা সময় অবসর করে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। فانصب শব্দটি نصب থেকে উদ্ভূত। এর আসল অর্থ: পরিশ্রম ও ক্লান্তি। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইবাদত ও যিকর এতটুকু করা উচিত যে, তাতে কিছু কষ্ট ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। আরাম, বিশ্রাম পর্যন্ত সীমিত রাখা যথেষ্ট নয়।

নির্দেশনা

১. জ্ঞান-বিজ্ঞান রিসালতের মাধ্যমে নবী স.-এর হৃদয় প্রশস্ত করার কথা বিবৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে যে বিষয়টি বোঝা যায় তা হলো, জ্ঞান আলো বা জ্যোতির নাম। যার কাছে জ্ঞান আছে তার হৃদয় প্রস্ফুটিত ফুলের ন্যায়। আল্লাহপ্রদত্ত ঐশী জ্ঞান মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যবর্ধনের সাথে সাথে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। ফলে আল্লাহকে চেনা, আল্লাহ পাওয়া অধিকতর সহজ হয়ে যায়।

২. পার্থিব জীবনের ঘূর্ণিপাকে দুঃখ-কষ্টের কারণে নানা জটিলতায় নিপতিত হতে হয়। এ সময় আল্লাহর প্রতি আস্থা-বিশ্বাস কমানো যাবে না, বরং তাঁর রহমতের ওপর ভরসা রাখতে হবে। আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন, ‘কষ্ট-ক্লেশের পরই স্বাচ্ছন্দ্য-স্বস্তি আসে।’ তাই এ বাণীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখে ধৈর্য ধরা অপরিহার্য।

৩. পার্থিব ঝামেলা, কাজকর্ম, দায়দায়িত্ব ইত্যাদি থেকে যখন অবসর সময় পাওয়া যাবে, তখন নিরিবিলি, একাকিত্বে রব্বেকারীমের কাছে মিনতি করা। আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে তাঁর প্রতি মনোনিবেশ করা জরুরি কাজ।

আরো পড়ুন :

৯৫.সূরা ত্বীন سورة التين Surah Tin এর তাফসির ও শানে নুযুল

৯৬.সূরা আলাক سورة العلق Surah Alaq এর তাফসির ও শানে নুযুল

৯৭.সূরা ক্বদর سورة القدر Sura Kodor এর তাফসির ও শানে নুযুল

ট্যাগ সমূহ : সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৫-৬,সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৬, সূরা ইনশিরাহ ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৪, সুরা ইনশিরাহ অর্থ, সূরা ইনশিরাহ এর শানে নুযুল,সূরা ইনশিরাহ তাফসীর,সূরা ইনশিরাহ বাংলা অর্থ,সূরা ইনশিরাহ,সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৫-৬, সূরা ইনশিরাহ এর ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৬, সূরা ইনশিরাহ ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ বাংলা অনুবাদ সূরা ইনশিরাহ আয়াত 6 সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইনশিরাহ এর অর্থ, সূরা ইনশিরাহ উচ্চারণ, সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইনশিরাহ তাফসীর inshirah meaning in bengaliin,shirah meaning, surah inshirah, surah inshirah ayat 6, surah al inshirah, surah inshirah benefits,inshirah name meaning, every hardship comes with comfort, surah inshirah meaning, meaning of inshirah, sura al inshirah, surah inshirah bangla pronunciation, surah inshirah 70 times,سورة الشرح, سوره الشرح, تفسير سورة الشرح للاطفال, سورة الشرح مكتوبة, سورة الشرح للاطفال,
সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৫-৬,সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৬, সূরা ইনশিরাহ ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৪, সুরা ইনশিরাহ অর্থ, সূরা ইনশিরাহ এর শানে নুযুল,সূরা ইনশিরাহ তাফসীর,সূরা ইনশিরাহ বাংলা অর্থ,সূরা ইনশিরাহ আয়াত ৫-৬, সূরা ইনশিরাহ এর ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ ফজিলত, সূরা ইনশিরাহ বাংলা অনুবাদ, ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ, সূরা ইনশিরাহ এর অর্থ, সূরা ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা ইনশিরাহ তাফসীর inshirah meaning in bengaliin,shirah meaning, surah inshirah, surah inshirah ayat 6, surah al inshirah, surah inshirah benefits,inshirah name meaning, every hardship comes with comfort, surah inshirah meaning, meaning of inshirah, sura al inshirah, surah inshirah bangla pronunciation, surah inshirah 70 times,سورة الشرح, سوره الشرح, تفسير سورة الشرح للاطفال, سورة الشرح مكتوبة, سورة الشرح للاطفال,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top