১০৮.সূরা কাউসার سورة الكوثر Sura kawsar এর তাফসির ও শানে নুযুল

সূরা কাউসার, سورة الكوثر, سورة الكوثر للاطفال,sura kawsar,সূরা কাউসার বাংলা উচ্চারণ, সূরা কাউসার এর ফজিলত, সূরা কাউসার এর শানে নুযুল, সূরা কাউসার বাংলা, সূরা কাউসার এর তাফসীর, সূরা কাউসার বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা কাউসার এর আমল,
সূরা কাউসার سورة الكوثر Sura kawsar

সূরার পরিচয় :

সূরার নাম :সূরা আল কাউসারসূরার অর্থ : অধিক।
সূরা নং : ১০৮রুকু সংখ্যা : ১
আয়াত সংখ্যা : ৩সিজদা সংখ্যা : ০
শব্দ সংখ্যা : ১০শ্রেণী : মাক্কী
অক্ষর সংখ্যা : ৪২পারার সংখ্যা : ৩০

সূরা কাউসার سورة الكوثر Sura kawsar এর তাফসির ও শানে নুযুল

بسم الله الرحمن الرحيم

শুরু করছি আল্লাহর নামে; যিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু।
(١)– إِنَّا اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ

(১) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি।
(٢)–فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ

(২) অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
(٣)–اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ

(৩) যে আপনার শত্রু; সে-ই তো লেজকাটা, নির্বংশ।

শাব্দিক বিশ্লেষণ

الۡکَوۡثَرَ : অর্থ: অধিক। كثر বেশি হলো মূল ক্রিয়ার আধিক্য বোঝানোর জন্য الۡکَوۡثَرَ ব্যবহার হয়। অর্থ হলো اخير الكثير অজস্র কল্যাণ ও ভালো জিনিসের প্রাচুর্য। বেহেশতের একটি নহরের নাম الۡکَوۡثَرَ যা মহানবী স.-এর জন্য অফুরন্ত কল্যাণ হিসেবে মহান আল্লাহ প্রদান করবেন।

انۡحَرۡ : শব্দটি نحر থেকে, অর্থ: গলা, বুকের উপরিভাগ। انۡحَرۡ আদেশসূচক ক্রিয়া অৰ্থ: জবাই করো। শব্দটি উট কুরবানীর অর্থে ব্যবহৃত হয়। উটের পা বেঁধে কণ্ঠনালিতে বর্শা বা ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্ত বের করার পদ্ধতিকে نح (নাহর) বলে। গরু, ছাগল ইত্যাদি কুরবানীর পদ্ধতিকে “যবেহ” যবাই করা বলে।

شنا : شَانِئَکَ ঘৃণা করা, শত্রুতা করা ও বিদ্বেষ পোষণ করা। ثاني শব্দটি একবচন কর্তা বিশেষ্য, বহুবচন হলো ثناء। (বিদ্বেষ পোষণকারী) شَانِئَکَ আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ।


সূরা কাউসার এর শানে নুযুল ও আলোচ্য বিষয়

নির্ভরযোগ্য তাফসীর বিশারদ ইমামদের মতানুসারে সূরা কাউসার মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞ সাহাবাদের বর্ণনা মতে, এ সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ। কোনো কোনো তাফসীর বিশারদ বলেছেন, সূরাটি দুবার অবতীর্ণ হয়েছে। আরবের প্রথা অনুযায়ী, যার পুত্রসন্তান মারা যায় তাকে ابتر (নির্বংশ) বলা হয়। রাসূলুল্লাহ স.-এর পুত্র কাসেম রা. অথবা ইব্রাহীম রা. বা আব্দুল্লাহ রা. যখন শৈশবেই মারা গেলেন, তখন কাফেররা তাঁকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে লাগল। ওদের মধ্যে ‘আস ইবনে ওয়ায়েলের’ নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার সামনে রাসূলুল্লাহ স.-এর কোনো আলোচনা হলে সে বলত, ”আরে তার কথা বাদ দাও; সে তো কোনো চিন্তার বিষয় নয়।

কারণ, সে তো নির্বংশ। তার মৃত্যু হয়ে গেলে; তার নাম উচ্চারণ করারও কেউ থাকবে না।”

এ প্রেক্ষাপটে সূরা কাউসার অবতরণ করে মহান আল্লাহ তাদের ধৃষ্টতার প্রতি উত্তর দেন। মহানবী স. নির্বংশ নন। রাসূলুল্লাহ স.-কে যারা নির্বংশ আখ্যা দিচ্ছে, মূলত তারাই নির্বংশ হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. একদিন মসজিদে আমাদের কাছে উপস্থিত হলেন। হঠাৎ তাঁর মধ্যে তন্দ্রা ভাব দেখা দিল। অতঃপর তিনি হাসিমুখে মাথা উঠালেন।

আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার হাসির কারণ কী? তিনি বললেন, এই মুহূর্তে আমার নিকট একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তিনি বিসমিল্লাহ সহ সূরা কাউসার তিলাওয়াত করলেন এবং বললেন, তোমরা জানো, কাউসার কী ? আমরা বললাম, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন।

তিনি বললেন, এটা জান্নাতের একটি নহর। আমার পালনকর্তা আমাকে তা প্রদান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এতে অজস্র কল্যাণ আছে এবং এই হাউজে কিয়ামতের দিন আমার উম্মত পানি পান করতে যাবে। এর পানি পান করার পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকাসম হবে। তখন কিছু লোককে ফেরেশতাগণ হাউজ থেকে হটিয়ে দেবেন। আমি বলব, ”পরওয়ারদেগার ! সে তো আমার উম্মত।” আল্লাহ তা’আলা বলবেন, আপনি জানেন না; আপনার পরে সে কী নতুন মত ও পথ অবলম্বন করেছিল? (সহীহ বুখারী-৬৫৮১, সহীহ মুসলিম-১৬২)

সূরা কাউসার এর তাফসীর

আয়াত-১
অবশ্যই আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি। কাউসার শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সব জিনিসের আধিক্য । আরবের পরিভাষায় তা الخير الكثير প্রচুর কল্যাণ, অজস্র কল্যাণ অর্থে ব্যবহৃত হয় । সংখ্যা, মান, মর্যাদা সব ধরনের কল্যাণের আধিক্য বোঝানোর জন্য কাউসার শব্দটি ব্যবহৃত হয়। তাফসীর বিশারদ ইমাম আবু হাইয়্যান তাঁর প্রসিদ্ধ তাফসীর গ্রন্থ ‘আল বাহরুল মুহিত’-এ কাউসার শব্দের ২৬টি মর্ম উল্লেখ করেছেন।

তিনি রাসূলুল্লাহ স. থেকে বর্ণিত মর্মটাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সাহাবী আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. বলেন, فإنّه نهر وعدنيه ري عليه خير كثير، وهو حوض ترد عليه أمتي يوم القيامة এটা জান্নাতের একটা নহর। আমার পালনকর্তা আমাকে এটা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। এতে অজস্র কল্যাণ আছে। আর এটি একটি ঝরনা কিয়ামত দিবসে আমার উম্মত এতে আগমন করবে। (সহীহ মুসলিম-৬০৭)

হাউজে কাউসারের বিস্ময়কর সৌন্দর্য ও দুর্লভ গুণাবলির বিবরণ অসংখ্য হাদীসে স্ববিস্তারে উল্লেখ হয়েছে। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীস, রাসূলুল্লাহ স. বলেন, ‘আমার হাউজের বৃহৎ এরিয়া মাসব্যাপী ভ্রমণ দূরত্ব পরিমাণ। এর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সমতুল্য বিস্তৃত । পানি রুপা অপেক্ষা সাদা, মেশক-আম্বর অপেক্ষা অধিক সুগন্ধিপূর্ণ। আর এর পানি পান করার পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকাসম হবে। যে ব্যক্তি এই হাউজের পানি পান করবে তার কখনো পিপাসা হবে না। (সহীহ মুসলিম-২২৯২, সহীহ বুখারী-৬৫৭৯)

হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তাঁর একটি মতানুসারে ‘কাউসার’ হলো সেই অজস্র কল্যাণ, যা আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ স.-কে দান করেছেন। তবে এ উক্তিটি ‘জান্নাতের একটি নহরের নাম ‘কাউসার’-এর সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়। বরং কাউসার নামক নহরটিও রাসূলুল্লাহ স.-কে প্রদত্ত অজস্র কল্যাণের একটি। তাই মুজাহিদ র. কাউসারের তাফসীর প্রসঙ্গে বলেন, এটা উভয় জাহানের অফুরন্ত কল্যাণ। এতে জান্নাতের বিশেষ নিয়ামত কাউসার নহরটিও অন্তর্ভুক্ত। তাই ইবনে আব্বাস রা. থেকে কাউসারের দুটি তাফসীরই বর্ণিত হয়েছে।

বস্তুত আল্লাহ তা’আলা তাঁর হাবীব মুহাম্মদ স.-কে নবুওয়াত ও কুরআন দান করেছেন। পরকালে মাকামে মাহমূদ এবং তাঁর উম্মতের জন্য তাঁকে শাফায়াতের অধিকার ও কাউসার দান করবেন। এ সবই মহানবী স.-এর জন্য অজস্র কল্যাণ।

আয়াত-২
অতএব আপনি আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড়েন এবং যবাই করেন। মহানবী স.-এর প্রতি কাফের সম্প্রদায়ের মিথ্যা ধারণা এবং তাদের উপহাসের প্রতি উত্তরে মহান আল্লাহ তা’আল রাসূলুল্লাহ স.-কে কাউসার প্রদানের সুসংবাদ জানিয়ে এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁকে দুটি বিষয়ের নির্দেশ দেন-নামায ও কুরবানী। ( نحر নাহর) শব্দের অর্থ সাধারণত উট যবাই করা। গরু-ছাগল ইত্যাদির ক্ষেত্রে যবাই বলা হয়। আরবে সাধারণত উট কুরবানীর প্রচলন বেশি ছিল। তাই কুরবানী বোঝানোর জন্য এখানে انحر শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এ শব্দটি যেকোনো কিছু কুরবানীর অর্থেও ব্যবহৃত হয়।

দান-অনুগ্রহ যেমন মহৎ হয়, এর কৃতজ্ঞতা তেমন শ্রেষ্ঠ হওয়া সমীচীন। নামায শারীরিক ইবাদতসমূহের মধ্যে সর্ববৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর কুরবানী আর্থিক ইবাদতসমূহের মধ্যে বিশেষ স্বাতন্ত্র্য ও গুরুত্বের অধিকারী। বিশেষ করে আল্লাহর নামে কুরবানী করা প্রতিমা পূজারীদের বিরুদ্ধে একটি জিহাদ বটে। কুরবানীর সাথে মাল ও আত্মা বিসর্জনের স্মৃতি জড়িত। কারণ কুরবানীর মূল ইতিহাস হলো ইবরাহীম আ. কর্তৃক ইসমাইল আ.-কে কুরবানী করার দৃঢ়সংকল্প। মহান আল্লাহ তাঁর অসীম হিকমত ও অফুরন্ত দয়ায় পশু কুরবানী কবুল করেছেন।

আল্লাহ তা’আলা নামায ও কুরবানীর গুরুত্ব ও পদ্ধতি পাশাপাশি উল্লেখ করে অন্যত্র বলেন,

-إن صلات- ونسك- ومحيا-ومماتي لله رب العلمين
”বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সমগ্র বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।” (সূরা আনয়াম ১৬২)

কাফের সম্প্রদায় মনগড়া উপাসনা ও প্রতিমার নামে উৎসর্গ করত। এর বিপরীতে মহান আল্লাহ তাওহীদ ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদত এবং তাঁরই নামে কুরবানী করার নির্দেশ করেছেন, যা মহান প্রভুর প্রকৃত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন হিসেবে গণ্য হবে।

আয়াত-৩

নিশ্চয়ই আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই নির্বংশ। শানে নুযুল প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করেছি, রাসূলুল্লাহ স.-এর বড় ছেলে কাসেম অথবা অন্য কোনো এক ছেলে শৈশবে মারা গেলে কাফেররা তাঁকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে লাগল। এ আয়াত তাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। আয়াতে অধিকাংশ বর্ণনা মতে, আস ইবনে ওয়ায়েল এবং কোনো কোনো বর্ণনা মতে, ওকবা অথবা কা’ব ইবনে আশরাফকে বোঝানো হয়েছে। এ আয়াতে তাদের উপহাস ও রাসূলুল্লাহ স.-এর প্রতি তাদের ধৃষ্টতার জবাব দেওয়া হয়েছে। শুধু পুত্রসন্তান না থাকার কারণে যারা রাসূলুল্লাহ স.-কে নির্বংশ বলে, তারা তাঁর প্রকৃত অবস্থা ও মর্যাদা সম্পর্কে বেখবর।

মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁকে কাওসার অজস্র কল্যাণ দান করেছেন। এর মধ্যে সন্তান-সন্ততির প্রাচুর্যও অন্তর্ভুক্ত। তাঁর বংশগত সন্তান-সন্ততি কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যদিও তা কন্যাসন্তানের তরফ থেকে হয়। অনন্তর মহানবী স. সব উম্মতের পিতা এবং উম্মত হলো তাঁর আধ্যাত্মিক সন্তান। তাঁর উম্মত তো এত অধিকসংখ্যক হবে যে, পূর্ববর্তী সব নবীর উম্মতের সমষ্টি অপেক্ষাও বেশি হবে। এভাবেই মহান প্রভু কাফেরদের সব ধৃষ্টতা ও অমূলক উপহাস নস্যাৎ করেছেন। তিনি আরো ঘোষণা করেছেন, যারা আপনাকে নির্বংশ বলে তারাই প্রকৃতপক্ষে নির্বংশ। বর্তমান বিশ্বে রাসূলুল্লাহ স.-এর উম্মতের সংখ্যা দেড় শত কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে তাঁর বিদ্বেষ পোষণকারী শত্রুদের সুনামের সাথে স্মরণ করার আজ কেউ নেই। চিরতরে তারা বিলীন হয়ে আছে।

নির্দেশনা

১. মহান আল্লাহ তা’আলা এই সূরায় রাসূলুল্লাহ স.-এর সম্মান ও মর্যাদা বর্ণনা করেছেন ।
২. আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ স.-কে অজস্র কল্যাণ দান করেছেন। বিশেষ করে পরকালে হাউজে কাউসার দানের ওয়াদা করেছেন।
৩. রাসূলুল্লাহ স.-এর অনুসৃত ধর্মে নতুন কোনো কিছু সংযোজন করা গর্হিত কাজ। বিশেষভাবে পরকালে তারা মহানবী স. থেকে বিতাড়িত হবে এবং রাসূলুল্লাহ স.-এর হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করা থেকে বঞ্চিত হবে
৪. সব ইবাদতে তাওহীদ ও ইখলাস জরুরি। বিশেষভাবে নামায ও কুরবানী আদায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা আবশ্যক।
৫. ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ও শত্রুদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের দোয়া করা এবং ইসলাম ও জাতির স্বার্থে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা বৈধ আছে।

ট্যাগ সমূহ : সূরা কাউসার, سورة الكوثر, سورة الكوثر للاطفال,sura kawsar,সূরা কাউসার বাংলা উচ্চারণ, সূরা কাউসার এর ফজিলত, সূরা কাউসার এর শানে নুযুল, সূরা কাউসার বাংলা, সূরা কাউসার এর তাফসীর, সূরা কাউসার বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা কাউসার এর আমল, সূরা কাওসার,sura kawsar bangla,সূরা কাউসার, سورة الكوثر, سورة الكوثر للاطفال,sura kawsar,সূরা কাউসার বাংলা উচ্চারণ, সূরা কাউসার এর ফজিলত, সূরা কাউসার এর শানে নুযুল, সূরা কাউসার বাংলা, সূরা কাউসার এর তাফসীর, সূরা কাউসার বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা কাউসার এর আমল, সূরা কাওসার,sura kawsar bangla সূরা কাউসার, سورة الكوثر, سورة الكوثر للاطفال,sura kawsar,সূরা কাউসার বাংলা উচ্চারণ, সূরা কাউসার এর ফজিলত, সূরা কাউসার এর শানে নুযুল, সূরা কাউসার বাংলা, সূরা কাউসার এর তাফসীর, সূরা কাউসার বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা কাউসার এর আমল

আরো পড়ুন :

১১০.সূরা নাসর سورة النصر sura Nasor এর তাফসির ও শানে নুযূল

১১১. সূরা লাহাব Sura lahab سورة المسد এর তাফসির ও শানে নুযুল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top