সূরার পরিচয় :
সূরার নাম : সূরা আদ দুহা | সূরার অর্থ : উজ্জ্বল সকাল, সকালের ঘণ্টা। |
সূরা নং : ৯৩ | সিজদা সংখ্যা : ০ |
আয়াত সংখ্যা : ১১ | রুকু সংখ্যা : ১ |
শব্দ সংখ্যা : ৪০ | পারার সংখ্যা : ৩০ |
অক্ষর সংখ্যা : ১৬৬ | শ্রেণী : মাক্কী। |
সূরা আদ দুহা سورة الضحى Surah Duha এর তাফসির ও শানে নুযুল
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহ তা’আলার নামে, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। |
(١) وَالضُّحَى (১) শপথ পূর্বাহ্নের, |
(٢) وَالَّيْلِ إِذَا سَجَى (২) শপথ রাত্রির, যখন তা নীরব হয়। |
(٣) مَا وَذَعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى (৩) আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং আপনাকে অপছন্দ করেননি। |
(٤) وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْأُولى (৪) আপনার জন্য পরকাল ইহকাল অপেক্ষা অধিক উত্তম। |
(٥) وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى (৫) অচিরেই আপনার রব আপনাকে দান করবেন; ফলে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। |
(٦) الَمْ يَجِدُكَ يَتِمَّا فَأَوَى (৬) তিনি কি আপনাকে এতিমরূপে জানেননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। |
(٧) وَوَجَدَكَ ضَأَلَّا فَهَدَى (৭) তিনি আপনাকে পথ সম্পর্কে অনবহিত জেনেছেন, অতঃপর পথ দেখিয়েছেন। |
(٨) وَوَجَدَكَ عَابِلًا فَأَغْنى (৮) তিনি আপনাকে অভাবগ্রস্ত জেনেছেন, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন। |
(٩) فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرُ (৯) সুতরাং আপনি এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না, |
(١٠) وَأَمَّا السَّائِلَ فَلَا تَنْبَرُ (১০) এবং ভিক্ষুককে ধমক দেবেন না। |
(١١) وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَيثُ (১১) আর আপনার পালনকর্তার নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। |
সূরা আদ দুহা এর শানে নুযুল
তিরমিযীতে হযরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, আমি রাসূল সা.-এর সাথে একটি গুহায় ছিলাম। নবীজির স.-এর একটি আঙ্গুলিতে আঘাত লেগে রক্ত বের হলে তিনি বললেন, তুমি তো একটি আঙ্গুলিই, যা রক্তাক্ত হয়ে গেছ। তুমি যে কষ্ট পেয়েছ, তা আল্লাহর পথেই পেয়েছ। (কাজেই দুঃখ কিসের।) এ ঘটনার পর বারো দিন মতান্তরে আরো বেশি দিন জিবরাঈল আ. ওহী নিয়ে আগমন করেননি। এতে মুশরিকরা বলতে শুরু করল যে, মুহাম্মদকে তাঁর আল্লাহ পরিত্যাগ করেছেন ও তাঁর প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা দুহা অবতীর্ণ হয়। (তিরমিযীতে-৫/৪১১, হা. ৩৩৪৫ সহীহ)
বুখারীতে বর্ণিত জুনদুব রা.-এর বর্ণনাতে আছে যে, রাসূল স. অসুস্থ হওয়ার কারণে দু-তিন রাত্রিতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠতে পারেননি। তখন একজন মহিলা (আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামীল) এসে বলল, হে মুহাম্মদ! আমার মনে হয় তোমার কাছে যে শয়তান আসত সে তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তাকে দু-তিন রাত্রি যাবৎ তোমার কাছে দেখি না। তখন আল্লাহ তা’আলা সূরা দুহা নাযিল করেন। (সহীহ বুখারী-৫/৩৯৯, হা. ৪৯৫০)
সূরার আলোচ্য বিষয়
সূরা দুহায় চারটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে :
১. কিছুদিন ওহী আসা বিলম্বিত হওয়ায় মক্কার মুশরিকরা রাসূল স.-এর বিরুদ্ধে বলতে শুরু করে দিল যে, মুহাম্মদকে তাঁর আল্লাহ পরিত্যাগ করেছেন এবং তাঁকে অপছন্দ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা তাদের এ অপ্রচার ভুল প্রমাণিত করেছেন।
২. আল্লাহ তা’আলা দুনিয়াতে তাঁর রাসূলকে সবচেয়ে বড় মর্যাদা ও সম্মানের বিষয় নবুওয়াত দান করেছেন। তবে পরকালে তাঁকে এত সব সম্মান, মর্যাদা ও নিয়ামত দান করবেন, যা পেয়ে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।
৩. আল্লাহ তা’আলা রাসূল স.-এর প্রতি তিনটি বিশেষ নিয়ামতের বর্ণনা দিয়েছেন : এক. এতিম থাকার পর আশ্রয় দেওয়া। দুই. নবুওয়াত দিয়ে ইসলামের বিধি-বিধান জানানো। তিন. অভাবগ্রস্ত থাকার পর অভাবমুক্ত করা।
৪. সবশেষে তিনি রাসূল সা.-কে তিনটি নির্দেশ করেছেন : এক. এতিমের প্রতি কঠোরতা না করা। দুই. ভিক্ষুককে ধমক না দেওয়া, বরং কিছু দিয়ে বিদায় করা। তিন. আল্লাহর নিয়ামতের কথা মানুষকে বলা।
সূরা আদ দুহা এর তাফসির
আয়াত-১.
শপথ সূর্য ঊর্ধ্বে ওঠার সময়ের ও সে সময়ের সূর্যকিরণের। এ সময়টির শপথ করার কারণ হলো, এ সময়টি দিনের যৌবনকাল। এ সময়ে নবী মূসা আ. আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন এবং এ সময়েই জাদুকররা তাঁর মোজেজা দেখে সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিল। অনেক তাফসীরবিদ এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন, শপথ দিনের।
আয়াত-২.
শপথ রাত্রের, যখন মানুষ পানাহার ও অন্যান্য কাজ শেষ করে ঘুমিয়ে গেলে তা নীরব ও নিঝুম হয়ে যায়। এখানে দিন ও রাতের শপথ করা হয়েছে। দিনের আলোর পর রাতের অন্ধকার আগমন যদি আল্লাহর কাছে অসন্তুষ্টি ও বিরক্তির প্রমাণ না হয়, তাহলে কিছুদিন ওহী বন্ধ থাকাও আল্লাহ তাঁর রাসূলের প্রতি অসন্তুষ্টির প্রমাণ নয়। এ দুটি সময়ের শপথ করার আরেকটি কারণ হলো, এ দুটি সময় সবাই অনুভব করতে পারে। কারো অস্বীকার করার উপায় নেই এ দুটি সময়ের শপথ করে যা বলা হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ স.-এর প্রতি আল্লাহ তা’আলা অসন্তুষ্ট না হওয়া—এই বিষয়টা বাস্তবে সবার অনুধাবনযোগ্য। কারো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আল্লাহ তা’আলা উল্লিখিত দুটি শপথ করার পর তার জবাবে বলেন,
আয়াত-৩.
আপনার পালনকর্তা যখন থেকে আপনাকে নবুওয়াত দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছেন, তার পর থেকে আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং যখন থেকে তিনি আপনাকে ভালোবেসেছেন তার পর থেকে আপনাকে অপছন্দ করেননি। মুশরিকরা রাসূল স.-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিল যে, মুহাম্মদকে তাঁর আল্লাহ পরিত্যাগ করেছেন ও তাঁকে অপছন্দ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত দ্বারা তাদের এ অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন। আর দুনিয়াতে রাসূল স.-এর সম্মান ও মর্যাদা ঠিক রাখা ও তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণের ধারা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
আয়াত-৪.
আপনার জন্য পরকাল ইহকাল অপেক্ষা অধিক উত্তম । এ আয়াতে آخِرَةُ বলে পরকাল এবং أُولى বলে ইহকাল বোঝানো হয়েছে। রাসূলুল্লাহ স.-এর জন্য ইহকাল অপেক্ষা পরকাল অধিক উত্তম বলার কারণ হলো,
এক. ইহকালের সব কিছু ক্ষণস্থায়ী। এখানকার নিয়ামত ও কল্যাণ সব কিছু ক্ষণস্থায়ী, পরকালের তুলনায় সামান্য ও ত্রুটিযুক্ত এবং সীমিত। পক্ষান্তরে পরকাল চিরস্থায়ী। সেখানকার জীবন, ভোগ-বিলাস সব কিছুই স্থায়ী, পবিত্র ও নির্ভেজাল এবং অপরিমিত তাই পরকাল অধিক উত্তম।
দুই. রাসূলুল্লাহ স.-কে দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় মর্যাদার বিষয় নবুওয়াত দেওয়া হলেও পরকালে তাঁকে সকল নবী-রাসূলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা দান করা হবে। তাঁর সুপারিশে মুমিনদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে ইত্যাদি। যেগুলোর সাথে দুনিয়ার কোনো সম্মান ও মর্যাদার তুলনাই চলে না।
কোনো কোনো তাফসীরবিদ এই আয়াতের অর্থ করেছেন, আপনার জন্য প্রত্যেক পূর্ববর্তী অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হবে। আপনার প্রতি আল্লাহর নিয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে। প্রতিটি বিষয়ে প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হবে। এতে আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ স.-কে পরকালে বিভিন্ন প্রাচুর্য প্রদানের সুসংবাদ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই ولسوف يعطيك ربك فترضى আপনার জ্ঞানগরিমা, আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও পার্থিব প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি দিন দিন বেড়েই যাবে।
আয়াত-৫.
‘অচিরেই আপনার পালনকর্তা আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতে এত সব নিয়ামত ও কাম্যবস্তু দান করবেন যে, তা লাভ করে আপনি পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।’ আল্লাহ তা’আলা এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুনিয়াতে রাসূল স.-কে আত্মিক পূর্ণতা, জ্ঞান-গরিমা, ইসলামের বিজয় ও প্রচার-প্রসার দান করেছিলেন। আর পরকালে তিনি রাসূল স.-কে হাউজে কাউসার দান করবেন। জান্নাতে তাঁকে এক হাজার মুক্তার তৈরি অট্টালিকা দান করবেন। হাশরের ময়দানে তাঁর সুপারিশে বিচার শুরু করবেন এবং তিনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত উম্মতের ক্ষেত্রে তাঁর সুপারিশ কবুল করবেন।
হাদীসে এসেছে, রাসূল স. বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার উম্মতের একজন লোকও জাহান্নামে থাকবে, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবো না। উপরে কাফেরদের অপবাদের প্রতিউত্তরে রাসূলুল্লাহ স.-এর প্রতি খোদায়ী নিয়ামতের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ছিল । অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূলের প্রতি বিশেষ তিনটি নিয়ামত ও অনুগ্রহের বর্ণনা দিয়েছেন।
আয়াত-৬.
প্রথম নিয়ামত :
আল্লাহ আপনাকে এতিম পেয়েছেন। অতঃপর আপনাকে আশ্রয় দিয়েছেন। রাসূল স.-এর জন্মের পূর্বে তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। তখন দাদা আব্দুল মুত্তালিব নিজ দায়িত্বে রাসূল স.-কে প্রতিপালন করেন। আট বছর বয়সে আব্দুল মুত্তালিব দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পর চাচা আবু তালিব রাসূল স.-কে কিশোর বয়স থেকে নবুওয়াত লাভ করা পর্যন্ত প্রতিপালনে সাহায্য করেন। মূলত আব্দুল মুত্তালিব ও আবু তালিবের অন্তরে রাসূলের প্রতি অগাধ স্নেহ-মমতা আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন |
আয়াত-৭.
দ্বিতীয় নিয়ামত :
আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে অনবহিত ও অনভিজ্ঞ পেয়েছেন। অতঃপর তিনি আপনাকে নবুওয়াত দান করে এসব বিধি-বিধান প্রদর্শন করেছেন। ضالا শব্দটি অনবহিত ও অনভিজ্ঞ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা উল্লিখিত তাফসীরে ব্যক্ত করা হয়েছে। এটাই প্রাধান্যযোগ্য তাফসীর। এ শব্দটি পথ হারানো অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এ মর্মে কোনো কোনো তাফসীরবিদ এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন রাসূল স. শিশুকালে মক্কার এক পথে হারিয়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাঁকে পথ প্রদর্শন করলেন। তিনি বাড়ি ফিরে এলেন।
আয়াত-৮.
তৃতীয় নিয়ামত :
আল্লাহ আপনাকে নিঃস্ব অভাবগ্রস্ত পেয়েছেন। অতঃপর তিনি আপনাকে অভাবমুক্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ স. আম্মাজান খাদিজা রা.-এর ধন-সম্পদ দ্বারা অংশীদারি ব্যবসা শুরু করেন। তাতে মুনাফা পেলেন। অতঃপর খাদিজা রা.-কে বিবাহ করার পর তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি রাসূলের হাতে তুলে দেন।
আল্লাহ তা’আলা এই তিনটি নিয়ামতের কথা উল্লেখ করার পর রাসূলুল্লাহ স.-কে তিনটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন-
আয়াত-৯.
প্রথম নির্দেশ :
আপনি কোনো এতিমকে অসহায় ভেবে তার প্রতি কঠোর হবেন না। তার সম্পদ জোরপূর্বক নিজ অধিকারভুক্ত করে নেবেন না এবং তাকে হেয় করবেন না। আল্লাহ তা’আলা যেভাবে আপনাকে এতিম অবস্থায় আশ্রয় দিয়েছেন, আপনিও এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা হিসেবে তাকে আশ্রয় দান করুন। তার প্রতি সদ্ব্যবহার ও দয়া করুন।
আয়াত-১০.
দ্বিতীয় নির্দেশ :
আপনি ভিক্ষুককে ধমক দেবেন না। আপনি অভাবগ্রস্ত থাকার পর আল্লাহ তা’আলা আপনাকে অভাবমুক্ত করেছেন । তাই আপনি এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা হিসেবে অভাবগ্রস্তকে কিছু দিয়ে বিদায় করুন এবং দিতে না পারলে নম্র ভাষায় অক্ষমতা প্রকাশ করুন। কোনো তাফসীরবিদ এই আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন, আপনার কাছ থেকে ধর্মীয় বিষয়ে মুখাপেক্ষী কেউ যদি জানতে চায়, তাকে ধমক দেবেন না; বরং নম্র ও সুন্দর ভাষায় তাকে উত্তর দিন।
আয়াত-১১.
তৃতীয় নির্দেশ :
এবং আপনার প্রতিপালকের নিয়ামতসমূহ মানুষের সামনে বর্ণনা করুন। আল্লাহর নিয়ামতসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো-
এক. আল্লাহ আপনাকে কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা দিয়েছেন। তাই আপনি কুরআন পড়েন এবং মানুষদের কাছে কুরআনের তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা এবং হাদীস বর্ণনা করেন।
দুই. আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করেছেন। তাই আপনি এতিম, অভাবগ্রস্ত ও ভিক্ষুকের প্রতি দয়া করুন।
তিন. এবং ভালো কাজের তৌফিক দান করেছেন। অতএব এসব নেক আমল করার যে তৌফিক পেয়েছেন, তা মানুষের কাছে বর্ণনা করুন।
কেউ আল্লাহর কোনো অনুগ্রহ ও নেক আমল করার তৌফিক লাভ করলে তা মানুষের কাছে বর্ণনা করব দুটি শর্তে
এক. বলার সময় নিজের মধ্যে লোক-দেখানো মনোভাব ও গর্ববোধ থাকতে পারবে না।
দুই. অপরকে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানের জন্য তা বলার অনুমতি আছে। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অতিরিক্ত সাওয়াবের উসিলা হয়ে থাকে।
সূরা দুহা থেকে কুরআনের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক সূরা সমাপ্ত করার পর তাকবীর বলা সুন্নত । ইবনে কাসীর রহ. প্রত্যেক সূরার শেষে এবং বাগাভী রহ. প্রত্যেক সূরার শুরুতে তাকবীর বলা সুন্নত বলেছেন। শফী রহ. বলেন, সূরার শুরুতে বা শেষে যেভাবে পড়ুক সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে তাকবীর হলো, الله أكبر আবার কেউ বলেছেন, الله أكبر لا إله إلا الله والله أكبر (মুসতাদরাক: ৩/৩০৪ যয়ীফ)
নির্দেশনা
১. দুনিয়া দুঃখ-কষ্টমুক্ত নয়। কিছুদিন ওহী বন্ধ থাকার কারণে মক্কার মুশরিকরা রাসূল স.-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তাঁকে কষ্ট দিয়েছে।
২. দুনিয়া ও আখিরাতে রাসূলুল্লাহ স.-এর সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
৩. মানুষকে উপদেশ দেওয়ার দুটি পদ্ধতি রয়েছে : এক. তাঁর প্রতি আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহের কথা বলে উপদেশ দেওয়া। যেন সে প্রভুর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে । দুই. বিপদের সময় ধৈর্যধারণের কথা বলে উপদেশ করা।
৪. আল্লাহর নিয়ামতসমূহের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা আবশ্যক। এর পদ্ধতি হলো, এসব নিয়ামত প্রভুর সন্তুষ্টির কাজে ব্যয় করা।
৫. আল্লাহর কোনো অনুগ্রহ পেলে কিংবা কোনো সৎকর্ম করার তৌফিক লাভ করলে, মানুষের কাছে বলা কৃতজ্ঞতা আদায়ের একটি পদ্ধতি।
আরো পড়ুন :
৯৪.সূরা ইনশিরাহ سورة الشرح Surah Inshirah এর তাফসীর ও শানে নুযুল
৯৫.সূরা ত্বীন سورة التين Surah Tin এর তাফসির ও শানে নুযুল
৯৬.সূরা আলাক سورة العلق Surah Alaq এর তাফসির ও শানে নুযুল
ট্যাগ সমূহ : সূরা আদ দুহা, সূরা আদ দুহা বাংলা অনুবাদ, সূরা আদ দুহা ফজিলত, সূরা আদ দুহা আয়াত ৫, সূরা আদ দুহা আয়াত ৭, সূরা আদ দুহা শানে নুযুল, সূরা আদ দুহা আয়াত ৪, সূরা আদ দুহা বাংলা, সূরা আদ দুহা আয়াত ৩, সূরা আদ দুহা তাফসির, সূরা দুহা বাংলা, সূরা দুহা আয়াত ৪, সূরা দুহা এর ফজিলত, সূরা দুহা বাংলা উচ্চারণ, সূরা দুহা বাংলা অর্থ, সূরা দুহা আয়াত ৫, সূরা দুহা বাংলা অনুবাদ,সূরা দুহা,সূরা দুহা বাংলা,সূরা দুহা আয়াত ৫,সূরা দুহা বাংলা অনুবাদ,সূরা দুহা বাংলা অর্থ,সূরা দুহা বাংলা উচ্চারণ,সূরা আদ দুহা, সূরা আদ দুহা বাংলা অনুবাদ,surah duha bangla, surah duha, surah duha bangla translation, surah duha translation, surah duha benefits, surah duha ayat 5, surah duha bangla meaning, surah duha with bangla translation, surah duha ayat 5 bangla, surah duha bangla anubad, surah duha in english, surah duha meaning,سورة الضحى, سورة الضحى مكتوبة, سوره الضحى, سورة الضحى كاملة, تفسير سورة الضحى, سورة الضحي, فوائد سورة الضحى, فضل سورة الضحى, সূরা আদ দুহা, সূরা আদ দুহা বাংলা অনুবাদ, সূরা আদ দুহা ফজিলত, সূরা আদ দুহা আয়াত ৫, সূরা আদ দুহা আয়াত ৭, সূরা আদ দুহা শানে নুযুল, সূরা আদ দুহা আয়াত ৪, সূরা আদ দুহা বাংলা, সূরা আদ দুহা আয়াত ৩, সূরা আদ দুহা তাফসির, সূরা দুহা বাংলা, সূরা দুহা আয়াত ৪, সূরা দুহা এর ফজিলত, সূরা দুহা বাংলা উচ্চারণ, সূরা দুহা বাংলা অর্থ, সূরা দুহা আয়াত ৫, সূরা দুহা বাংলা অনুবাদ,সূরা দুহা,সূরা দুহা বাংলা,সূরা দুহা আয়াত ৫,সূরা দুহা বাংলা অনুবাদ,সূরা দুহা বাংলা অর্থ,সূরা দুহা বাংলা উচ্চারণ,সূরা আদ দুহা, সূরা আদ দুহা বাংলা অনুবাদ,surah duha bangla, surah duha, surah duha bangla translation, surah duha translation, surah duha benefits, surah duha ayat 5, surah duha bangla meaning, surah duha with bangla translation, surah duha ayat 5 bangla, surah duha bangla anubad, surah duha in english, surah duha meaning,سورة الضحى, سورة الضحى مكتوبة, سوره الضحى, سورة الضحى كاملة, تفسير سورة الضحى, سورة الضحي, فوائد سورة الضحى, فضل سورة الضحى, |