সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়

সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়,বেহুঁশ ও সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যে দুআ পড়ে ফুঁ দিবে,আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ,বাড়ি থেকে সাপ তাড়ানোর দোয়া,সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়,সাপ বিচ্ছু থেকে বাঁচার দোয়া,সাপ থেকে বাঁচার দোয়া আরবি,সাপের বিষ নামানোর দোয়া,সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন,সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়,বিষ ঝাড়ার দোয়া

সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়

ইসলামে দোয়া একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা এবং আশা জানানোর মাধ্যম। বেহুঁশ বা সাপে কাটা ব্যক্তির জন্য দোয়া করা একটি সুন্দর ইবাদত। নিচে সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয় তা দেওয়া হলো-

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সকাল-সন্ধ্যা যে ব্যক্তি এ দোয়া ৩ বার পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে সমস্ত প্রাণী, বিশেষ করে সাপ, বিচ্ছু প্রভৃতি বিষধর ও কষ্টদায়ক প্রাণীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন’। (তিরমিজি: ৩৬০৪)

দোয়াটি হলো-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

উচ্চারণ: ‘আউজু-বিকালিমাতিল্লাহিত-তাম্মাতি-মিন-শাররিমা-খলাক’।
অর্থ: ‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমার দ্বারা প্রত্যেক বিষাক্ত প্রাণী, শয়তান এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি’।

আরো পড়ুন : শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও তার প্রতিকার

সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়

সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়: হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাযি. থেকে বর্ণিত-

الْعَربِ الْعَلَقَ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ فِي سَفَرَةٍ سَافَرُوهَا ، حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حَيْ مِنْ أَحْيَاءِ المَ فَاسْتَضَائُوهُمْ فَأَبَوا أَن يُضَيْفُوهُمْ ، فَلِينَ سَيْدُ ذلِكَ الْحَيْ، فَسَعَوْا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لَا يَنفَعُهُ شَيْءٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ أَتَيْتُمْ هَؤُلَاءِ الزَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا لَعَلَّهُ أَن يكون عند بعضهم فيْءٌ فَأْتُوهُمْ ، فَقَالُوا: يَا أَيُّهَا الرَّهْطُ إِنَّ سَيْدَنَا لُرِغَ وَسَعَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لَا يَنْفَعُهُ فَهَلْ عِندَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مِنْ شَيْءٍ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: نَعَمْ، وَاللهِ إِني لَأُري، وليكن والله لقي اسْتَطَعْنَاكُمْ فَلَمْ تُضَيْفُونَا ، فَمَا أَنَا بِرَاقٍ لَكُمْ حَتَّى تَجْعَلُوا لَنَا عُمْلا، فَصَالَحُوهُمْ عَلى قنيع مِنَ الْغَنّمِ، فَانْطَلَقَ يَتْفِلُ عَلَيْهِ، وَيَقْرَأُ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ العَالَمِينَ فَكَأَنما نُشِطَ مِنْ عِقَالٍ.

فَانْطَلَقَ يَمْشِي وَمَا بِهِ قَلَبَةٌ، قَالَ: فَأَوْقَوْهُمْ جُعَلَهُمُ الَّذِي صَالَحُوْهُمْ عَلَيْهِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ : اقْسِمُوا، فَقَالَ الَّذِي رَقَ : لَا تَفْعَلُوا حَتَّى تَأْتِ النَّبِيَ ﷺ فَتَذكُرَ لَهُ الَّذِي كَانَ، فَنَتظر ما يَأْمُرُنَا . فَقَدِمُوا عَلى رَسُولِ اللهِ ﷺ فَذَكَرُوا لَهُ ، فَقَالَ: «وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ»، ثُمَّ قَالَ: «قَدْ أَصَبْتُمْ ، أَقْسِمُوا، وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْما» فَضَحِكَ رَسُولُ الله ﷺ

অর্থ: একদিন আল্লাহর রাসূল সাঃ এর কতিপয় সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তাঁরা আরবদের কোন এক গোত্রে পৌঁছে তাদের আতিথ্য কামনা করলেন। কিন্তু তারা তাঁদের আতিথেয়তা করতে অস্বীকার করলো। (ঘটনাক্রমে) ঐ গোত্রের নেতাকে বিচ্ছু কামড়ালো। লোকজন তার (আরোগ্যের) জন্য সর্বপ্রকার তদবীর করলো, কিন্তু ফল হল না। তাদের কেউ বললো, ঐ যে লোকগুলো এখানে এসেছে তাদের কাছে যদি তোমরা যেতে। হয়ত তাদের কারো কিছু (ব্যবস্থা) থাকতে পারে।

তখন তারা তাদের কাছে গেল এবং বললো, হে যাত্রীদল! আমাদের নেতাকে বিচ্ছু দংশন করেছে। আমরা সব রকমের তদবীর করেছি কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারও কাছে কিছু ব্যবস্থা আছে কি? তাঁদের একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ! আমি ঝাড়ফুঁক করি। তবে দেখ, আমরা তোমাদের আতিথ্য কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড় ফুঁক করবো না, যে পর্যন্ত না তোমারা আমাদের জন্য পারিতোষিক নির্ধারণ করো।

তখন তারা এক পাল ছাগলের শর্তে তাঁদের সাথে আপোষরফা করলো। এরপর তিনি ঝাড়ফুঁক দিয়ে তার দংশিত স্থানের ওপর থুথু দিতে দিতে সূরা ফাতিহা পড়তে লাগলেন। ফলে সে এমনভাবে নিরাময় হল যেন বন্ধন থেকে মুক্ত হলো। সে এমনভাবে চলতে ফিরতে লাগলো যেন তার কোন অসুস্থতাই নেই। রাবী বলেন, এরপর তারা তাদের স্বীকৃত পারিতোষিক পুরোপুরি দিয়ে দিল। সাহাবায়ে কেরামের কেউ কেউ বললেন, এটা বণ্টন কর। কিন্তু ঝাড়ফুঁককারী বললেন, এটা করো না।

আগে আমরা আল্লাহর রাসূল সাঃ-এর কাছে গিয়ে তাঁকে এ ঘটনা জানাই এবং দেখি তিনি আমাদের কি নির্দেশ দেন। তারা আল্লাহর রাসূল সাঃ -এর কাছে এসে ঘটনা বিবৃত করলেন। রাসূল সাঃ বললেন, তুমি কিভাবে জানলে যে, ওটা (সূরা ফাতিহা) দিয়ে নিরাময় হয়? তারপর বললেন, তোমরা ঠিকই করেছ। (এবার) বণ্টন করো এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটি ভাগ রেখো। এই বলে আল্লাহর রাসূল সাঃ হাসলেন। [সহিহ বুখারি: ৫৭৪৯, সহিহ মুসলিম : ২২০১]

আরো পড়ুন : আয়-রোজগার বাড়ার দোয়া ও আমল

ট্যাগ সমূহ : সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়,বেহুঁশ ও সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যে দুআ পড়ে ফুঁ দিবে,আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ,বাড়ি থেকে সাপ তাড়ানোর দোয়া,সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়,সাপ বিচ্ছু থেকে বাঁচার দোয়া,সাপ থেকে বাঁচার দোয়া আরবি,সাপের বিষ নামানোর দোয়া,সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন,সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়,বিষ ঝাড়ার দোয়া,সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়,বেহুঁশ ও সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যে দুআ পড়ে ফুঁ দিবে,আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ,বাড়ি থেকে সাপ তাড়ানোর দোয়া,সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়,সাপ বিচ্ছু থেকে বাঁচার দোয়া,সাপ থেকে বাঁচার দোয়া আরবি,সাপের বিষ নামানোর দোয়া,সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন,সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়,বিষ ঝাড়ার দোয়া

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top