যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়

যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দুআ দ্রুত কবুল হয়, যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দোয়া কবুল হয়, দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার উপায়,দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল,দ্রুত দোয়া কবুলের আমল,যে দোয়া পড়লে দোয়া কবুল হয়,যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,

যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়

কিছু বিশেষ ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের দুআ আল্লাহ কবুল করেন। আমাদের উচিত, এই সমস্ত ব্যক্তির সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং তাঁদের কাছে দুআ চাওয়া। এই বিশেষ ব্যক্তিগণ হলেন—

পিতা-মাতা : ‘আব্বা-আম্মার দুআ আল্লাহ কুবল করেন। তাঁদের দুআ আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ : ৩২) তাই আব্বা-আম্মা ও মুরব্বিদের কাছে আমাদের দুআ চাওয়া উচিত। আমরা আব্বা-আম্মাকে রেখে অমুক দরবারে, তমুক দরবারে যাই। আসল ‘দরবার’ যে আমার ঘরে—এটাই ভুলে যাই!

আমার জন্য আমার আব্বার চেয়ে বড়ো পীর সাহেব আর কেউ হতে পারে না। আমার জন্য আমার আম্মার চেয়ে বড়ো পীর সাহেবা আর কেউই হতে পারে না। সারা দুনিয়ার আল্লাহর ওলিরা কুরআন পড়ে যদি গায়ে ফুঁ দেন, আর আমার আম্মা যদি আমার জন্য দুআ করেন, তাহলে মহান আল্লাহ সবার আগে তাঁর দুআ কবুল করে নেবেন।

মুসাফির : মুসাফিরের দুআ আল্লাহ কবুল করেন। এজন্য সফরে বের হলে আমাদের দুআ করা উচিত। একই সঙ্গে যারা সফরে বের হন, তাদের কাছেও দুআ চাওয়া উচিত।

মজলুম : মজলুমের দুআ আল্লাহ কবুল করেন। তাই মজলুম অবস্থায় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ করা উচিত। আল্লাহ তায়ালা মজলুমের দুআ ফিরিয়ে দেন না। বিশ্বনবি বলেন- ‘মজলুমের দুআকে ভয় করো। কারণ, মজলুমের দুআ আর আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’ (সহিহ বুখারি : ১৩৯৫)

অপর ভাইয়ের জন্য দুআকারী ব্যক্তি : ‘কেউ যখন অগোচরে অপর ভাইয়ের জন্য দুআ করে, তখন আল্লাহ তার দুআ কবুল করেন। তাই নিজের পাশাপাশি অন্যের জন্যও দুআ করা উচিত। অনেকেই বলে-‘হুজুর! আমি নিজের জন্য দুআ করব, কিন্তু অন্যের জন্য কেন করব?’ মূলত অন্যের জন্য দুআ করলে নিজেরও লাভ আছে। কেউ যখন অন্যের জন্য দুআ করে, তখন ফেরেশতারা বলতে থাকে—‘হে আল্লাহ! আগে তার দুআটি কবুল করে নাও।’ (সহিহ মুসলিম : ২৫৬)

মনে করুন, আপনি দুআ করলেন—’হে আল্লাহ! আমার এই ভাইটার টাকা- পয়সা নেই, তুমি তাকে ধনী বানিয়ে দাও।’ তখন ফেরেশতারা বলবে—’হে আল্লাহ! যে দুআ করছে, আগে তাকে ধনী বানিয়ে দাও।’ আপনি কোনো ভাইয়ের জন্য দুআ করলেন—‘হে আল্লাহ! আমার ওই ভাইকে তুমি সুস্থ করে দাও।’ ফেরেশতারা তখন বলে—’হে আল্লাহ! আগে যে দুআ করছে, তাকে সুস্থ করে দাও।’

তাই দুআ নিজে করার পাশাপাশি যাদের দুআ কবুল হয়, তাদের কাছেও দুআ চাওয়া উচিত । দুআ এমন এক আলোকরশ্মি—যা গভীর অন্ধকারে পথ দেখায়। এ যেন মানুষের আশার পালে হাওয়া জোগায়, পৌঁছে দেয় তার গন্তব্যে। পথের সব শত্রুকে উপড়ে ফেলার অব্যর্থ হাতিয়ার এটি। মুমিন জীবনে দুআই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার (Dua the most powerful weapon of believers)।

দুআ ইবাদতের প্রাণ। আল্লাহর সঙ্গে নিজের সম্পর্কটা কেমন, তা বোঝা যায় দুআর ধরন থেকে। আল্লাহর কাছে চাওয়ার সময় একনিষ্ঠ মুসলিমের মধ্যে ফুটে উঠে অসহায়ত্ব। সে বোঝে, আল্লাহকে তার চাই-ই চাই; সব সময়। তাঁর সাহায্য ছাড়া সে অচল। রাসূল দুআর সময় নিজেকে আল্লাহর কাছে অতি তুচ্ছ ও নগণ্য করে উপস্থাপন করতেন।

তিনি বলতেন- ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার দাস, দাসের ঘরের দাস, দাসীর ঘরের দাস (অর্থাৎ আমি এবং আমার মাতা-পিতা আমরা সবাই আপনার গোলাম বা দাস)। আমার মাথার চুলের গোছা আপনার হাতের মুঠোয়; আপনি যেদিকে টানবেন, আমি সে দিকে যেতে বাধ্য। আপনি যা চান, আমার ওপর তা-ই ঘটাতে পারেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৩৭১২)

চলুন, নিজেকে তাই প্রশ্ন করি—আমাদের জীবনে দুআর অবস্থান কোথায়? আল্লাহর দিকে কতবার ফিরি আমরা? কী কী প্রয়োজনে তাঁর দারস্থ হই? কিছু চাওয়ার বেলায় কতটা একাগ্র আমরা? সব শর্ত আর আদব মেনে কি চাই? নাকি শুধু চেয়েই যাই—এসবের পরোয়া করি না?

আমরা কি আল্লাহর ব্যাপারে বেখেয়াল? শুধু দরকার হলে তাঁর দ্বারে ভিড়ি? প্রয়োজন পূরণ হলে আবার ভুলে যাই? দুআ কবুল না হওয়ায় আমরা কি আল্লাহর মমতা আর প্রজ্ঞার ব্যাপারে হতাশ? কত-শত অনুগ্রহ যে তিনি দিয়ে রেখেছেন, তা কি সব ভুলে বসে আছি?

এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ভাবুন। প্রয়োজনে বদলে ফেলুন নিজেকে। নয়তো যেখানে আছেন, সেখানেই পড়ে থাকবেন। আপনার একটি দৃঢ় সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। আলোকিত করতে পারে আপনার সবকিছু। So, now the decision is yours.

হয়তো ভাবছেন, এই জীবনে যে পরিমাণ পাপ করেছি, আল্লাহ কি আর কখনো আমার ডাকে সাড়া দেবেন? আচ্ছা, আপনি কি অভিশপ্ত শয়তানের চেয়েও খারাপ? আল্লাহ যদি শয়তানের দুআ পর্যন্ত কবুল করেন, তাহলে আপনার দুআ কেন কবুল করবেন না? আপনি কি আল্লাহর বিশাল ভান্ডার সম্পর্কে জানেন না? আল্লাহর একটি নাম যে ‘আল কারিম বা চির দয়াবান’, জানেন না সেটা? তিনি কি আপনাকে শূন্য থেকে সৃষ্টি করে ইসলামের দিশা দেননি? অগণিত অনুগ্রহ দিয়ে ভরিয়ে রাখেননি? আপনি তো এগুলোর কিছুই চাননি। না চাইতেই যদি এত কিছু দিয়ে রাখেন, তাহলে তাঁকে রব হিসেবে বিশ্বাস করে, তাঁর সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় দুই হাত উঁচু করে তুলে ধরলে তিনি কি আপনাকে ফিরিয়ে দেবেন?

আরো পড়ুন :

দোয়া কবুলের শর্ত

দোয়ার আদব সমূহ

দোয়া কবুলের সময় সমূহ

দুআয় কী চাইব

ট্যাগ সমূহ : যাদের দুআ দ্রুত কবুল হয়, যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দোয়া কবুল হয়, দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার উপায়,দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল,দ্রুত দোয়া কবুলের আমল,যে দোয়া পড়লে দোয়া কবুল হয়,যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দুআ দ্রুত কবুল হয়, যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দোয়া কবুল হয়, দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার উপায়,দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল,দ্রুত দোয়া কবুলের আমল,যে দোয়া পড়লে দোয়া কবুল হয়,যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,যাদের দোয়া দ্রুত কবুল হয়,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top