ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ

ঘুম থেকে উঠার দোয়া,সকালে ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলায়,ঘুমানোর দোয়া ও ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া ছবি,ঘুম থেকে উঠার দোয়া আরবিতে,ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ,ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দুআ,

ঘুম থেকে উঠার দোয়া

ঘুম থেকে উঠার দোয়া : সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে হযরত আবু হুরায় রাযি. থেকে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন— তোমাদের কেউ ঘুমানোর পরে শয়তান তার ঘাড়ে তিনটি গিরা দেয় এবং প্রত্যেকটি গিরা দেয়ার সময় একটি ফুঁ দিয়ে বলে, এখনো দীর্ঘ রাত অবশিষ্ট রয়েছে। সুতরাং ঘুমাতে থাকো। সে যদি সে সময় ঘুম ত্যাগ করে উঠে যায় এবং আল্লাহকে স্মরণ করে, তাহলে একটি গিরা খুলে যায়, অযু করলে আরেকটি গিরা খুলে যায় এবং নামায আদায় করলে আরো একটি গিরা খুলে যায়। তখন তরতাজা ও আনন্দিত মন নিয়ে তার প্রভাত হয় অন্যথায় অলস ও অপবিত্র মন নিয়ে তার প্রভাত হয়। [সহিহ বুখারি: ১১৪২, সহিহ মুসলিমঃ ৭৭৬, সুনানে আবু দাউদ: ১৩০৬, সুনানে নাসাঈ ৩/২০৩, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ১৩২৯]

হযরত হুজায়ফা ইবনে ইয়ামান ও হযরত আবু জর রাযি. থেকে সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে। তাঁরা বলেন- আল্লাহর রাসূল সাঃ যখন ঘুমানোর জন্য বিছানায় যেতেন তখন তিনি এই দুআ পড়তেন:

بِاسْمِكَ اللهُم أَمَوْتُ وَأَحْيَا .

উচ্চারণ: বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমুতু ওয়া আহইয়া ৷
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার নামে ঘুমাই এবং তোমার নামে জাগ্রত হই।

আর যখন তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন এই দুআ পড়তেন:

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ .

উচ্চারণ: ”আলহামদুলিল্লা-হিল্লাহিজি-আহইয়ানা-বাদামা-আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।”
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি মৃত্যুর পর পুনরায় আমাদের জীবিত করবেন এবং পরিশেষে তার দিকেই ফিরে যেতে হবে। [সহিহ বুখারি: ৬৩১২, সুনানে আবু দাউদঃ ৫০৪৯, সুনানে তিরমিযি: ৩৪১৩, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৮৮০]

সহিহ সনদে হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে ইমাম আবু বকর ইবনুস সুন্নি রহ. বর্ণনা করেন। আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন-

إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ ، فَلْيَقُلِ : الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِي رَدَّ عَلَى رُوحِي، وَعَافَانِي فِي جَسَدِى، وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ

অর্থ: তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হয় তথন সে যেন বলে-

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ عَلَى رُوحِي، وَعَافَانِي فِي جَسَدِي، وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ.

উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি রাদ্দা আলায়্যা রুহি, ওয়া আফানি ফি জাসাদি, ওয়া আজিনা লি বিজিকরিহি ।
অর্থ: সকল প্রশংসা ঐ সত্তার জন্য যিনি আমাকে আমার আত্মা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার শরীর হেফাযত করেছেন। আমাকে তাঁর যিকিরের অনুমতি দিয়েছেন। [আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৯, ইবনুস সুন্নি, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৮৬৬, নাসাঈ, সুনানে তিরমিযি: ৩৩৯৮]

হযরত আয়েশা রাযি. থেকে ইবনুস সুন্নির কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন-

مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ حِيْنَ رَدَّ اللهُ إِلَيْهِ رُوحَهُ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ ، إِلَّا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ.

অর্থ: আল্লাহ তাআলা ঘুমের পর আত্মা ফিরিয়ে দিলে যখন কোনো বান্দা এ দুআটি পড়ে-

لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ. وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَه

উচ্চারণ: লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু-ওয়াহদাহু-লা-শারিকা-লাহু, লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদির ।
অর্থ: এক আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। সকল রাজত্ব তাঁরই এবং তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। আর তিনি (আল্লাহ) সর্বশক্তিমান। আল্লাহ তা’আলা তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন যদিও তার গুনাহ সমূহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণও হয়।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে ইবনুস সুন্নির কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন – যে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দুআ পড়বে—

الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِي خَلَقَ النَّوْمَ وَالْيَقْظَةَ، اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى بَعَثَنِي سَالِمًا سَوِيًّا، أَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ يُحْيِي الْمَوْلَى ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ .

উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লা হিল্লাযি খালাকান নাউমা ওয়াল ইয়াকাযাতা, আলহামদুলিল্লা হিল্লাযি বাআসানি সালিমান সাভিয়্যান, আশহাদু আন্নাল্লাহা ইয়ুহয়িল মাউতা, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির ।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা ঐ সত্তার যিনি ঘুম ও জাগরণকে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত প্রশংসা ঐ সত্তার যিনি সুস্থ ও নিরাপদে আমাকে প্রেরণ করেছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা-ই মৃতকে জীবিত করেন। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তখন আল্লাহ তাআলা শুধু এই কথাই বলেন যে, আমার বান্দা সত্য বলেছে। [আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ১৩, ইবনুস সুন্নি]

হযরত আয়েশা রাযি. থেকে আবু দাউদ শরিফে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন-


كَانَ إِذَا هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ عَشْرًا، وَحَمَّدَ عَشْرًا، وَقَالَ : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَشْرًا وَقَالَ : سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا، وَهَلَّلَ عَشْرًا، ثُمَّ قَالَ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا، وَضِيقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ عَشْرًاثُمَّ يَفْتَتحُ الصَّلَاةَ .

অর্থ: আল্লাহর রাসূল সাঃ যখন ঘুম থেকে জাগতেন তখন দশবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, দশবার ‘আলহামদুলিল্লাহ বলতেন, দশবার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি বলতেন, দশবার ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস’ বলতেন, দশবার ইস্তেগফার করতেন, দশবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতেন। এরপর এই দুআটি দশবার পড়তেন-

اللَّهُمَّ إِنْ أَعُوذُبِكَ من ضيق الدُّنْيَا- وَضِيقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন যিকিদ দুনইয়া ওয়া যিকি ইয়াওমিল কিয়ামাহ৷
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুনিয়ার সঙ্কীর্ণতা থেকে মুক্তি চাই এবং কেয়ামতের সঙ্কীর্ণতা থেকে মুক্তি চাই। এরপর তিনি নামায শুরু করতেন। [সুনানে আৰু দাউদ: ৫০৮৫; সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৩৫৬, সুনানে নাসাঈ ৩/২০৯, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৮৭১, নাসাঈ]

হযরত আয়েশা রাযি. থেকে আবু দাউদ শরিফে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল সাঃ যখন ঘুম থেকে উঠতেন তখন তিনি এই দুআটি পড়তেন:

لَا ا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ. اللَّهُمَّ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنبِي، وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ ، اللهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا، وَلَا

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা, আল্লাহুম্মা আসতাগফিরুকা লিযাম্বি, ওয়া আসআলুকা রহমাতাকা, আল্লাহুম্মা যিদনি ইলমা, ওয়ালা তুযিগ কালবি বা’দা ইয হাদাইতানি, ওয়াহাবলি মিন লাদুনকা রাহমাহ, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। আপনি পবিত্র, আমার গুনাহের জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আপনার রহমত কামনা করছি, আমার ইলম বৃদ্ধি করে দিন, হেদায়াত দান করার পর আমার মনকে বাঁকা করে দিবেন না। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে রহমত দান করুন। আপনি সব চেয়ে বড় দাতা। [সুনানে আবু দাউদ: ৫০৬১, আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লাইলাহ: ৮৬৫, নাসাঈ, মুসতাদরাকে হাকেম। ১/৫৪০, সহিইবনে হিব্বান: ২৩৫৯]

আরো পড়ুন :

বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া

মসজিদে প্রবেশের দোয়া

ঘুমানোর দোয়া

ট্যাগ সমূহ : ঘুম থেকে উঠার দোয়া,সকালে ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলায়,ঘুমানোর দোয়া ও ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া ছবি,ঘুম থেকে উঠার দোয়া আরবিতে,ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ,ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দুআ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া,সকালে ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলায়,ঘুমানোর দোয়া ও ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া ছবি,ঘুম থেকে উঠার দোয়া আরবিতে,ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ,ঘুম থেকে উঠার দোয়া অর্থসহ,ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দুআ,ঘুম থেকে উঠার পর আমল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top