খাওয়ার দোয়া
মানুষ আল্লাহর ইবাদত করবে। এবাদত করার জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি প্রয়োজন। তাই পান ও আহারের প্রয়োজন হয়। পান ও আহারের সময় কিছু দোয়া আছে যা পড়ে পানাহার করলে খাদ্যে বরকত নাযিল হয়। খাদ্যটি হালাল রোজগারের না হলে বরকত ও দোয়া কবুল হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তাই সকল মু’মিন নর-নারীর উচিৎ হালাল খাবার অর্জনের চেষ্টা করা। খাদ্য যখন সামনে আসবে তখন বলতে হয়-
১. بسيم الله ‘বিসমিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর নামে খাচ্ছি। ডান হাতে নিজের সামনে থেকে লুকমা তুলে খাওয়া উচিত। খাবার একা না খেয়ে সবাই মিলে একত্রে বসে খাওয়া সুন্নাত। (বুখারি ও মুসলিম)
আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, সাহাবাগণ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন জানালেন যে, তারা একাকি খাবার খান, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে বললেন তোমরা ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাবার খাবে, এবং সবাই একত্রে বসে খাবে তাতে বরকত নাযিল হবে। দাওয়াতে যখন কোন উত্তম খাদ্য উপস্থিত হয় তখন বলতে হয়-
بسم الله وعلى بركة الله
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়ালা বরকাতিল্লাহ ।
অর্থ : আল্লাহর নামের সাথে এবং আল্লাহর দানকৃত বরকতে (খাবার খাচ্ছি)
الحمدلله الذي أطعمنا وسقانا وجعلنا من المسلمين
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহিল্লাজী আত আ’মানা ওয়া সাকানা ওয়া জা’আলানা মিনাল মুসলিমীন।
অর্থ : সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি আমাদের খাদ্য খাইয়েছেন এবং পান করিয়েছেন। আর আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন। (তিরমিজি ও আবু দাউদ)
খাদ্য আল্লাহর বড় রহমতের নেয়ামত। মাটি, পানি, বাতাস, সূর্য, রশ্মি, বীজ সবকিছুর নিয়ত্তা তিনি। সময় মত এসব উপাদান তিনিই ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ্ তা’আলা ব্যতীত মানুষ যেসব উপাস্য মানে তারা কি কখনো এসব করতে সক্ষম? না, তারা সক্ষম নহে। তারা তো নিজেদের অস্তিত্বই রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে না। একই জমিন, একই রকম পানি, আলো-বাতাস অথচ ভিন্ন ভিন্ন ফসলের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, গন্ধ, মিষ্টি, তেতো, ঝাল, রং, মজা আলাদা করে
কোন কারিগর এসব ব্যবস্থা করেন? তিনিই হলেন আল্লাহ। এই কাজে তার কোন শরিক নেই । তাই তার নিকটই দোয়া কামনা করা বান্দার দায়িত্ব।
ট্যাগ সমূহ : খাওয়ার দোয়া, দুধ খাওয়ার দোয়া, পানি খাওয়ার দোয়া, ভাত খাওয়ার দোয়া, খানা খাওয়ার দোয়া, খাবার খাওয়ার দোয়া, khabarer dowa, |
আরো পড়ুন :