অধিক ঋণী হয়ে গেলে যে দুআ পড়বে

ঋণ থেকে মুক্তির জন্য পড়া দোয়া,অধিক ঋণী হয়ে গেলে যে দুআ পড়বে,ঋণ পরিশোধের দোয়া,ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন,ঋণ থেকে মুক্তির জন্য কী আমল করব,ঋণ মুক্তির দোয়া যখন যেভাবে পড়বেন,পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া,

অধিক ঋণী হয়ে গেলে যে দুআ পড়বে

আমরা অনেকেই জীবনের বিভিন্ন সময়ে ঋণের বোঝা বহন করি। এই ঋণ আমাদের জীবনকে অনেক সময় কঠিন করে তোলে এবং মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। ইসলাম ঋণ পরিশোধকে উৎসাহিত করে এবং ঋণ থেকে মুক্ত থাকতে শিক্ষা দেয়। হাদিস শরীফে ঋণ থেকে মুক্তির জন্য দু’টি বিশেষ ও কার্যকরী দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তা নিচে দেওয়া হলো-

ঋণ পরিশোধের দোয়া

হযরত আলি রাযি. এর সূত্রে বর্ণিত- এক চুক্তিকৃত গোলাম তার কাছে এসে তিনি বললেন, আল্লাহর রাসুল বললো, আমি চুক্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। আমাকে সাহায্য করুন। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাঃ আমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়েছেন, সেগুলো আমি তোমাকে শিখিয়ে দেব, পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও তা আদায় হয়ে যাবে। তুমি এ দুআ পড়বে-

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিক, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আন মান সিওয়াক।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার প্রয়োজন পূরা করে দিন হালাল বস্তু দ্বারা, হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। নিজ অনুগ্রহে আমাকে আপনি ছাড়া সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষি করে দিন। [সুনানে তিরমিযি: ৩৫৫৮, মুসনাদে আহমাদ ১/১৫৩, মুসতাদরাকে হাকেম ১/৫৩৮।
হাদীসের মানঃ তিরমিযি রহ. বলেন, হাদিসটি হাসান]

একবার রাসূলুল্লাহ (সা.)কে ঋণ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে দেখে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ঋণ থেকে খুব বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন!” জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যখন একজন ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন সে মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করতে পারে না।” [বোখারি, হাদিস নং : ২৩৯৭]

আরো পড়ুন : ছোট-বড় দুর্ঘটনায় যে দুআ পড়বে

অধিক ঋণী হয়ে গেলে যে দুআ পড়বে

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভয়-চিন্তা-পেরেশানির পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তি চাইতেন। তাই যারা ঋণগ্রস্ত; তাদের জন্য ঋণমুক্তিতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়ার আমল করা জরুরি।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি-আউজু-বিকা-মিনাল-হাম্মি-ওয়াল-হাযানি, ওয়া-আঊজু-বিকা-মিনাল-‘আজযি-ওয়াল-কাসালি, ওয়া-আঊজু বিকা-মিনাল-বুখলি-ওয়াল-জুবনি, ওয়া-আ‘ঊযু-বিকা-মিন-দ্বালা‘য়িদ্দাইনি-ওয়া-গালাবাতির-রিজা-ল।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অলসতা ও অপারগতা থেকে, ভীরুতা ও কৃপণতা থেকে, মানুষদের দমন-পীড়ন ও ঋণের ভার থেকে। [বুখারি : ২৮৯৩]

আরো পড়ুন : আয়-রোজগার বাড়ার দোয়া ও আমল

ট্যাগ সমূহ : ঋণ থেকে মুক্তির জন্য পড়া দোয়া,অধিক ঋণী হয়ে গেলে যে দুআ পড়বে,ঋণ পরিশোধের দোয়া,ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন,ঋণ থেকে মুক্তির জন্য কী আমল করব,ঋণ মুক্তির দোয়া যখন যেভাবে পড়বেন,পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top