ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা ?

ঝাঁড়ফুঁক,ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা,ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা,ঝাড়ফুঁকের বিষয়ে কী আছে কোরআনে,ঝাড়ফুঁক ইসলাম কী বলে,সুস্থতার জন্য ঝাড়ফুঁক করা যাবে কি,ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় নেওয়া যাবেঝাড়ফুঁক কি ইসলামে জায়েয,ঝাড়ফুঁক english,বাচ্চাদের ঝাড়ফুঁকের দোয়া,ঝাড়ফুঁক নিয়ে হাদিস,ঝাড় ফুকের দোয়া,পানিতে ফু দেয়ার দোয়া,ঝাড় ফুকের বই pdf,ভয় পেলে কি দোয়া পড়তে হয়,বাচ্চাদের বদনজরের দোয়া

ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা ?

ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা : আল্লামা নববী রহ. বলেন- হাদীসের শেষ দিকের অংশ দ্বারা এ কথা পরিষ্কারভাবে বুঝে আসে যে, সুরা ফাতেহা ও অন্যান্য যিকিরের মাধ্যমে ঝাঁড়ফুঁক করা যায়। আল্লামা আইনী রহ. বলেন, কুরআনের আয়াত দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা জায়েয। [শরহে নববি: ৪/১৮৮]

হাদীসের ব্যাখ্যা : সুরা ফাতেহা পড়ে এ কাফেলায় দম করেছিলেন হযত আবু সাঈদ খুদরী রাযি.। যেমন, এক বর্ণনায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, বিনিময় হিসেবে ত্রিশটি বকরি ধার্য করা হয়েছিল। এর দ্বারা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, ঝাঁড়ফুঁক করে এর বিনিময় গ্রহণ করা সম্পূর্ণ জায়েয। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

আরো পড়ুন : আয়-রোজগার বাড়ার দোয়া ও আমল

ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা

ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা: হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবু লাইলা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন—

جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِي (ﷺ) فَقَالَ : إِنَّ أَخِي وَجَعَ، فَقَالَ : وَمَا وَجَعُ أَخِيْكَ؟ قَالَ : بِهِ لِمَ ، قَالَ: فَابْعَثْ بِهِ إِلَى ، فَجَاءَ فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ ، فَقَرَأَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ (ﷺ): فَاتِحَةُ الْكِتَابِ، وَأَرْبَعُ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ، وَايَتَيْنِ مِنْ وَسُطِهَا : (وَإِلَهُكُمْ إِلهُ وَاحِدٌ لا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمنُ الرَّحِيمُ إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ …. حَتَّى فَرَغَ مِنَ الْآيَةِ (البقرة : ١٦٣، ١٤٦)

ولية الكُرْسِي، وَثَلَاثُ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُوْرَةِ الْبَقَرَةِ، وَايَةٍ مِنْ أَوَلِ سُوْرَةِ الِ عِمْرَانَ، سُورَةُ (الْأَعْرَافِ :(٥٤) (إِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِى خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ …. وَايَةٍ مِنْ سُورَة الْمُؤْمِنِينَ : ١١٦) (فَتَعَالَى اللهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ، وَايَةٍ مِن سُوْرَةِ الْجِنِ : (۳) (وَأَنَّهُ تَعَالَى جَدُّ رَبَّنَا مَا أَتَخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا، وَعَشَرَ آيَاتٍ مِنْ سُورَة الصَّافَاتِ مِنْ أَوَلِهَا ، وَثَلَاثًا مِنْ آخِرِ سُوْرَةِ الْحَشَرِ، وَ(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ) وَالْمُعَوذَتَيْنِ

অর্থ: জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের কাছে এসে বললো, আমার ভাই অসুস্থ। আল্লাহর রাসূল জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে? লোকটি বলল, তার মাতলামী রয়েছে। আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে পাঠাও। তখন সে মাতাল ব্যক্তি আসলো অতঃপর আল্লাহর রাসুল সাঃ -এর সামনে বসলো। আল্লাহর রাসুল (ﷺ) এগুলো তার ওপর পড়লেন- সুরা ফাতেহা, সুরা বাকারার প্রথম চার আয়াত এবং মাঝখান থেকে এ দুই আয়াত-

وَالهُكُمْ إِلهُ وَاحِدٌ لاَ إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ) إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِى فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنْفَعُ النَّاسَ وَمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ مَاءٍ فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِنْ كُلِّ دَابَّةٍ وَتَصْرِيفِ الرِّيح وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ لَايْتٍ لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ )

অর্থ: ১৬৩. আর যিনি তোমাদের মাবুদ হওয়ার যোগ্য তিনি তো একই মা’বুদ, তিনি ব্যতীত অন্য কানো মা’বুদ নেই, পরম দয়ালু করুণাময়। ১৬৪. নিশ্চয় আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃজনে এবং পর্যায়ক্রমে দিবা ও রাত্রির আগমনে এবং জাহাজসমূহে যা সমুদ্রে চলাচল করে মানুষের লাভজনক পণ্যদ্রব্য নিয়ে, আর পানিতে যা আল্লাহ আসমান হতে বর্ষণ করেন।

অতঃপর সরস সতেজ করেন তা দ্বারা জমিনকে তা অনুর্বর হওয়ার পর, আর সর্বপ্রকারের জীবজন্তু তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আর বায়ুরাশির পরিবর্তনে এবং মেঘমালায়- যা আসমান ও জমিনের মধ্যস্থলে আবদ্ধ থাকে, প্রমাণসমূহ আছে সেই লোকদের জন্য যারা জ্ঞান রাখে। সুরা বাকারাঃ আয়াত নং-১৬৩, ১৬

আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত, সুরা আলে ইমরানের প্রথম আয়াত এবং এ আয়াতটি-

شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ.

[আল্লাহ তাআলা (সমস্ত আসমানি কিতাবে) এ কথার সাক্ষ্য দিয়েছেন (শক্তিশালী দলিল দ্বারা এই বিষয় বয়ান করেছেন) যে, তাকে ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। আর ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণ (ও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে,) তিনি ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই, তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।] তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন।

সুরা আরাফের এ আয়াতটি—

إِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرَاتِ بِأَمْرِهِ إِلا لَهُ الْخَلْقُ وَالأَمْرُ تَبَارَكَ اللهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

অর্থ : নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সমাসীন হলেন আরশের উপর, তিনি আচ্ছন্ন করে দেন রাত্রি দ্বারা দিবসকে এরূপে যে, সে রাত্রি দিবসের পানে দ্রুত পৌঁছে, এবং সূর্য ও চন্দ্র ও অন্যান্য নক্ষত্ররাজিকেও সৃষ্টি করেছেন এমনভাবে যে, সকলেই তাঁর আদেশের অনুবর্তী, স্মরণ রেখ, আল্লাহরই জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে স্রষ্টা হওয়া এবং আদেশ প্রদান করা, সকল গুণে পরিপূর্ণ আল্লাহ, যিনি সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক। (সূরা আরাফ: আয়াত নং-৫৪)

সুরা মুমিনুনের আয়াত—

فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ .

[অতএব, শীর্ষ মহিমাময় আল্লাহ তাআলা, তিনি সত্যিকার মালিক। তিনি ছাড়া আর কোনো সত্যিকার মাবুদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের মালিক। সুরা মুমিনুন: ১১৬।

সুরা জিনের এ আয়াত—

وَأَنَّهُ تَعَالَى جَدُّ رَبَّنَا مَا أَتَخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا.

[আরো বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে। তিনি কোনো পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তার কোনো সন্তানও নেই।] (সুরা জিনঃ ৩)

সুরা সাফফাতের প্রথম দশ আয়াত, সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পড়ে দম করলেন। (ইবনুস সুন্নি: ৬৩২) হাদিসটি দুর্বল।

ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা

ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা: সহিহ সনদে হযরত খারিজা ইব্‌ন সাত তামীমী (রা) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে—

أَنَّهُ أَتَى رَسُول الله (ﷺ) فَأَسْلَمَ ثُمَّ أَقْبَلَ رَاجِعًا مِنْ عِنْدِهِ فَمَرَّ عَلَى قَوْمٍ عِنْدَهُمْ رَجُلٌ مَجْنُونٌ مُوْثَقٌ بِالْحَدِيدِ فَقَالَ أَهْلَهُ إِنَّا حُدِثَنَا أَنَّ صَاحِبَكُمْ هَذَا قَدْ جَاءَ بِخَيْرٍ فَهَلْ عِنْدَكَ شَيْءٍ تُدَاوِيْهِ فَرَقَيْتُهُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ فَأَعْطُونِي مِائَةَ شَاةٍ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ (ﷺ) فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ « هَلْ إِلَّا هُذَا ». وَقَالَ مُسَدَّدٌ فِي مَوْضِعِ اخَرَ « هَلْ قُلْتَ غَيْرَ هَذَا». قُلْتُ لَا. قَالَ « خُذْهَا فَلَعَمْرِى لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ لَقَدْ أَكَلْتَ بِرُقْيَةِ حَقٍ

অর্থ : তিনি নবী (ﷺ) -এর নিকট এসে ইসলাম কবূল করেন। তিনি সেখানে থকে যাবার এমন এক কাওমের নিকট যান, যেখানে একটি পাগল শিকলে বাঁধা ছিল। তখন তার আত্মীয়রা তাকে বলে : আমরা শুনেছি তোমাদের এক সাথী নবী (সা) অনেক ভাল জিনিস নিয়ে এসেছেন; তোমার কাছে এর কিছু আছে কি, যা দিয়ে তুমি পাগলের চিকিৎসা করতে পার? তখন আমি সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দেয়ায় সে
ভাল হয়ে যায়। তখন তারা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে একশত বকরী দেয়। আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট এসে এ ঘটনা বলি।

তখন তিনি বলেন ঃ তুমি কি এ সূরাই পড়েছিলে? রাবী মুসাদাদ্দ (র) অন্যখানে বর্ণনা করেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেন : তুমি কি এ সূরা ছাড়া অন্য কিছু পড়েছিলে? আমি বলি ঃ না। তখন তিনি তাঁর জীবনের কছম দিয়ে বলেন : তুমি ইহা গ্রহণ কর, লোকেরা তো মিথ্যা তন্ত্র মন্ত্র (ঝাঁড়ফুঁক) পাঠ করে রোজগার করে খায়, আর তুমি তো সত্য দু’আ (ঝাঁড়ফুঁক) পড়ে খাচ্ছ। সুনানে আবু দাউদঃ ৩৮৯৬। হাদিসটি সহিহ।

ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা

ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা অন্য বর্ণনায় আছে-

عَنْ خَارِجَةَ بْنِ الصَّلْتِ النَّبِمِيْنِ عَنْ عَيْهِ قَالَ أَقْبَلُنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ مَّا فَأَتَيْنَا عَلَى حَيَّ مِنَ الْعَرَبِ فَقَالُوا إِنَّا أَنْبِثْنَا أَنكُمْ جِئْتُمْ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ بِخَيْرٍ فَهَلْ عِندَكُمْ مِنْ دَوَاءٍ أَوْ رُقْيَةٍ فَإِنَّ عِنْدَنَا مَعْتُوها في القيود قَالَ فَقُلْنَا نَعَمْ. قَالَ فَجَاءوا بمَعْتُوه في القيود قَالَ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ غُدُوَةً وَعَشِيَّةً كَلَّمَا خَتَيْتُهَا أَجْمَعُ بُرَاقِ ثُمَّ اثْفُلُ فَكَأَنَّمَا نُشِطَ مِنْ عِقَالٍ قَالَ فَأَعْطَوْنِي جُعْلاً فَقُلْتُ لَا حَتَّى أَسْأَلَ رَسُوْلَ اللهِ لا فَقَالَ كُل فَلَعَمْرِى مَنْ أَكُلَ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ لَقَدْ أَكْلْتَ بِرُقْيَةِ حَقِّ».

অর্থ: হযরত খারিজা ইব্‌ন সালত তামিমী (রা) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাজা)-এর নিকট হতে বিদায় নেওয়ার পর আরবের বলেন : আমরা আল্লাহর রাসূল সাঃ একটি গোত্রের নিকট যাই। তারা বলেঃ আমরা শুনেছি, তোমরা ঐ ব্যক্তির (নবী সা.) থেকে উত্তম কিছু নিয়ে এসেছ। তোমাদের কাছে কোন ঔষধ-পত্র বা দু’আর ব্যবস্থা আছে কি? কেননা, আমাদের কাছে শিকলে বাধা একজন পাগল আছে। রাবী বলেন, আমরা বললামঃ হাঁ।

রাবী বলেন : তখন তারা সে পাগলকে নিয়ে আসে। রাবী বলেন : তারা আমাকে এর বিনিময় দেয়। তখন আমি বলি : এখন এটা নিব না, যতক্ষণ না আমি আল্লাহর রাসূল সাঃ-কে জিজ্ঞাসা করি। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেনঃ তুমি তা নাও এবং খাও। আমার জীবনের কসম! লোকেরা তো মিথ্যা মন্ত্র-তন্ত্র পড়ে বিনিময় গ্রহণ করে খায়, আর তুমি তো সত্য দু’আ পাঠ করে তার বিনিময় গ্রহণ করে খাচ্ছ। সুনানে আবু দাউদঃ ৩৮৯৭, ইবনুস সুন্নি: ৬৩৫।

ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা

ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. এর সূত্রে বর্ণিত-

أَنَّهُ قَرَأَ فِي أُذُنِ مُبْتَلَى فَأَفَاقَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ : مَا قَرَأْتَ فِي أُذُنَيْهِ؟ قَالَ : قَرَأْتُ أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا حَتَّى فَرَغَ مِنْ آخِرِ السُّورَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ : لَوْ أَنَّ رَجُلًا مُوْقِنًا قَرَأَ بِهَا عَلَى جَبَلٍ لَزَالَ.

অর্থ: তিনি একবার একজন বেহুশ রোগীর কানে কিছু পড়ে ফুঁক দিলেন, সে হুশ ফিরে পেল । তখন আল্লাহর রাসুল রোলার কো তাকে বললেন, তুমি কি পড়ে তার কানে ফুঁ দিয়েছিলে? তিনি বললেন, এই আয়াতগুলো পড়ে ফুঁ দিয়েছি। আল্লাহর রাসুল বললেন, যদি কোনো ব্যক্তি একীনের সাথে পাহাড়ের ওপর এ আয়াতগুলো পড়ে, তাহলে পাহাড় টলে যাবে। আয়াতগুলো-

أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَقًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ. فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ. وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهَا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ، فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ ، إِنَّكَ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ. وَقُلْ رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ.

অর্থ: ১১৫. তবে কি তোমরা এ ধারণা করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি? আর এটাও (ধারণা করছিলে) যে, তোমাদেরকে আমার নিকটে আনা হবে না। ১১৬. অতএব, আল্লাহ তা’আলা অতি উচ্চ মর্যাদাবান, যিনি প্রকৃত বাদশাহ, তিনি ভিন্ন কেউ ইবাদতের যোগ্য নেই, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

১১৭. আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যেরও ইবাদত করে যার পক্ষে তার নিকট কোনোই প্রমাণ নেই, সুতরাং তার প্রভুর সমীপে তার হিসাব- নিকাশ হবে; নিঃসন্দেহে কাফেরদের সফলতা লাভ হবে না। ১১৮. আর আপনি এ কথা বলুন যে, হে আমার প্রভু! আমাকে মার্জনা করুন এবং অনুগ্রহ করুন, আপনি সকল অনুগ্রহকারী অপেক্ষা অধিক অনুগ্রহকারী।

টিকা : ১১৭নং আয়াতে مَعَ اللهِ “আল্লাহর সাথে” শব্দটি যোগ করে কাফেরদের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। কেননা তারা আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করত। পক্ষান্তরে এ শব্দটি যোগ করার ফলে নাস্তিকদের স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয়ে পড়েছে। কেননা বহু মূর্তি পূজকরাও আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করে না। আর এরা কোনো দেবতার উপাসনা না করেও খোদার অস্তিত্ব মানে না। মোটকথা, ইবাদতের ইচ্ছাই এদের নেই। (বয়ানুল কুরআন)৷ ইবনুস সুন্নি: ৬৩১ । হাদিসটি দুর্বল। সুরা মুমিনুনঃ ১৫-১৮।

আরো পড়ুন : সাপে কাটা ব্যক্তির শরীরে যেই দোয়া পরে ফু দিতে হয়

ট্যাগ সমূহ : ঝাঁড়ফুঁক,ঝাঁড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা,ঝাঁড়ফুঁক করা যাবে কিনা,ঝাড়ফুঁকের বিষয়ে কী আছে কোরআনে,ঝাড়ফুঁক ইসলাম কী বলে,সুস্থতার জন্য ঝাড়ফুঁক করা যাবে কি?,ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় নেওয়া যাবে?ঝাড়ফুঁক কি ইসলামে জায়েয?,ঝাড়ফুঁক english,বাচ্চাদের ঝাড়ফুঁকের দোয়া,ঝাড়ফুঁক নিয়ে হাদিস,ঝাড় ফুকের দোয়া,পানিতে ফু দেয়ার দোয়া,ঝাড় ফুকের বই pdf,ভয় পেলে কি দোয়া পড়তে হয়,বাচ্চাদের বদনজরের দোয়া

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top