জান্নাত কয়টি

জান্নাত শব্দের অর্থ কি,জান্নাত কয়টি,জান্নাত কয়টি ও কি কি,জান্নাত কয়টি, ৮ টি জান্নাতের নাম
জান্নাত কয়টি ও কি কি

জান্নাত শব্দের অর্থ কি

জান্নাত এর শাব্দিক অর্থ : বেহেস্ত, আবাস স্থল, সুখ নীড়, শান্তিস্থল।

জান্নাত কয়টি

জান্নাত মূলতঃ একটাই। কিন্তু এর ফটোক বা গেট আছে ৮ টি তাই ৮ টি বেহেস্ত বলা হয়।
জান্নাত মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তার প্রিয় বান্দাদের জন্য এমন এক নেয়ামত যা তিনি সৎকর্মশীলদেরকে তাদের কর্মের প্রতিদান স্বরূপ দান করবেন।
যেখানে তারা তাদের ইচ্ছা মত সকল প্রকার আনন্দ ও চিত্তবিনোদন এবং নেয়ামত উপভোগ করবেন। যে সকল নেয়ামত রাজী সারাক্ষনই তাদের জন্য বিদ্যমান থাকবে।
আল্লাহ বলেন- ان الابرار لفي نعيم

অর্থাৎ, নেককারগণ বেহেস্ত যাবে।

জান্নাতের ৮টি ফটকের নাম :

১. জান্নাত।

২. জান্নাতুল ফেরদাউস।

৩.জান্নাতুন নাঈম।

৪. দারুস সালাম।

৫. জান্নাতুল খুলদ।

৬. জান্নাতুল আলীয়া।

৭.জান্নাতুল আদন।

৮. জান্নাতুল মাওয়া।

কে কোন জান্নাতে যাবে :

সকল বেহেশতবাসীর মর্যাদা এক নয়। আল্লাহর বিধান যারা মেনে চলেন তারা জান্নাতে যাবেন সত্য। কিন্তু বেহেশত তো এক প্রকারের নয়, বরং আট প্রকার। এই আট প্রকারের জান্নাত একটি হতে অপরটি ভিন্ন। মানুষ তার সৎ আমল অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন জান্নাত লাভ করবে। জান্নাতের ৮টি ফটক যাদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। তাদের আমল ও বরাদ্দ কৃত বেহেশতের নাম নিম্নরূপ :

১. জান্নাত :
وبشر الذين امنوا و عملوا الصـالـحـات أن لـهـم جـنـات تـجـرى من تحتها الأنهار

অর্থাৎ, আর মু’মিন ও সৎকর্মশীল বান্দাদের সুসংবাদ দিন তাদের জন্য রয়েছে নহর বিশিষ্ট জান্নাত। (সূরা বাকারা-২৫)


২. জান্নাতুল ফেরদৌস :
إن الذين امنوا وعملوا الصـلحـت كانت لهم جنت الفردوس نزلا
অর্থাৎ, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের অভ্যার্থনার জন্য রয়েছে জান্নাতুল
ফেরদাউস। (সূরা কাহাফ-১০৭)


৩. জান্নাতুন নাঈম :

ولئك الـمـقـربـون ـ في جنت النعيم
অর্থাৎ, অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই। এরাই থাকবে অবদানের উদ্যান সমূহে।
(সূরা ওয়াকিয়া-১১, ১২)

হাশরের ময়দানে মানুষ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হবে :

প্রথম দল : প্রথম দল আরশের ডান পার্শ্বে থাকবে তারা আদম (আ) এর ডানপাশ থেকে পয়দা হয়েছিলেন। তাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে। তারা সবাই জান্নাতি ।
দ্বিতীয় দল : দ্বিতীয় দল আরশের বাম দিকে একত্রিত হবে। তারা আদম (আ) এর বাম পার্শ্ব দিয়ে পয়দা হয়েছিলেন এবং তাদের আমলনামা বাম হাতে থাকবে। তারা সবাই জাহান্নামী।
তৃতীয় দল : তৃতীয় দল হবে অগ্রবর্তীদের দল। তারা মহান আল্লাহর সামনে বিশেষ নৈকট্যের আসনে থাকবে। তারা হবেন নবী, রাসূল, সিদ্দীক, শহীদ ও ওলীগণ। তাদের সংখ্যা প্রথমোক্তদের তুলনায় কম হবে। তারা সকলে জান্নাতুন নাঈমের অধিবাসী (তাফসীরে ইবনে কাসীর)


৪. দারুস্ সালাম :
لـهـم دار السّـلـم عـنـد ربـهـم وهـو ولـيـهـم بـما كانوا يعملون
অর্থাৎ, তাদের জন্য তাদের প্রতি পালকের কাছে রয়েছে নিরাপত্তার গৃহ। তিনি (আল্লাহ) তাদের বন্ধু তাদের কর্মের কারনে। (সূরা আনআম-১২৭)


অর্থাৎ, যারা মুক্ত মনে উপদেশ গ্রহণের অভিপ্রায়ে কোরআনের পয়গাম নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন এবং এর পরিণতি স্বরূপ কোরআনী নির্দেশ মেনে চলেন তাদের জন্য তাদের পালন কর্তার কাছে দারুস্ সালাম নামক বেহেশ্ত রয়েছে ।

৫. জান্নাতুল খুলুদ :
قل اذلـك خيـرام جنة الخلد التي وعد الـمـنـقـون كـانـت لـهـم جـزاء و مصيرا
অর্থাৎ, বলুন এটা উত্তম, চিরকাল বসবাসের জান্নাত। যার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে মুত্তাকিদেরকে। সেটা হবে তাদের প্রতিদান ও প্রত্যাবর্তনস্থল। (সূরা ফুরকান-১৫)

৬. জান্নাতুল আলীয়া :

في جنة عالية

অর্থাৎ, তারা উঁচু দরের বেহেস্তে থাকবে। (সূরা গাশিয়া-১০)

৭. জান্নাতুল আদান :
ومسكن طيبة في جنت عدن ذلـك الـفـوز العظيم –
অর্থাৎ, বসবাসের জান্নাত, উত্তম বাস গৃহ। এটা মহা সাফল্য। (সূরা সফ-১২)
অর্থাৎ, যারা ঈমান সহকারে আল্লাহর পথে জান-মাল ব্যয় করে বিনিময়ে আল্লাহর ন্তুষ্টি ও পরকালের চিরস্থায়ী সাফল্য কামনা করে তাদেরকে আল্লাহ জান্নাতুল আদন দান করবেন।


৮. জান্নাতুল মাওয়া :
ولقد راه نـزلـة أخـرى عند سدرة المنتهى عـنـدهـا جـنـة الـمـأولى
অর্থাৎ, আর নিশ্চয়ই সে (মুহাম্মদ স.) তাকে (জিব্রাঈলকে) আর একবার দেখে ছিল ছিদরাতুল মুনতাহার নিকটে। যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত, জান্নাতুল মাওয়া। (সূরা নজম : ১৩, ১৫)


জান্নাতের পরিধি :

জান্নাতের পরিধি বিশাল। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
وجنة عرضها كعرض السّماء والارض
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই একটি জান্নাতের প্রশস্ততা আসমান ও জমিনের সমান।

ট্যাগ সমূহ: জান্নাত শব্দের অর্থ কি,জান্নাত কয়টি,জান্নাত কয়টি ও কি কি,জান্নাত কয়টি, ৮ টি জান্নাতের নাম,jannat koyti,জান্নাতের পরিধি,জান্নাত শব্দের অর্থ কি,জান্নাতের পরিধি, ৮ টি জান্নাতের নাম,৮ টি জান্নাতের নাম,জান্নাত শব্দের অর্থ কি,জান্নাতের পরিধি,জান্নাত শব্দের অর্থ কি,jannat koyti,
জান্নাত কয়টি

আরো পড়ুন :

মাহে রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি

নামাজের ওয়াজিব সমূহ

নামাজের ফরজ সমূহ

ইনশাআল্লাহ কখন বলতে হয় এবং এর গুরুত্ব ও ফজিলত

আলহামদুলিল্লাহ এর ফজিলত ও গুরুত্ব এবং এর ব্যবহার বিস্তারিত



Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top