বিদআত শব্দের অর্থ কি

বিদআত শব্দের অর্থ কি,বিদআত কাকে বলে,বিদআত,বিদআত কি,বিদআত শব্দের অর্থ,বিদআত মানে কি,বিদআতের সংজ্ঞা কি,বিদআতের সংজ্ঞা,বিদয়াতের পরিচয়

বিদআত শব্দের অর্থ কি

ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহের মাঝে বিদয়াত অন্যতম। দীনের মধ্যে যদি এমন নতুন কিছু সংযোজন করা হয়, যা রাসূল (স)-এর উপস্থাপিত জীবনাদর্শে পাওয়া যায় না, এমনকি কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায় না, তবে তা বিদয়াত হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের বিদয়াতকে মহানবী (স) ভ্রষ্টতা বলেছেন । নিম্নে প্রশ্নালোকে বিদয়াতের পরিচয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

বিদয়াতের পরিচয় :

বিদয়াত (بدعة)-এর আভিধানিক অর্থ :
1. পূর্বনমুনা ছাড়া কোনো জিনিস সৃষ্টি করা।
২. নতুন কিছু উদ্ভাবন করা।
৩. ধর্মে নতুন বিষয় আবিষ্কার করা।
৪. অভিনব কোনো কিছু তৈরি করা।

বিদআত কাকে বলে

বিদয়াত (بدعة)-এর পারিভাষিক সংজ্ঞা : ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় বিদয়াত (بدعة) হলো দীনের মধ্যে এমন সব নব আবিষ্কার, যা কুরআন, হাদীস ও ইজমায়ে উম্মাহ কর্তৃক সমর্থিত নয়।

ইমাম নবুবী (র)-এর ভাষায়- পূর্ববর্তী যুগে যার দৃষ্টান্ত নেই এমন কিছু সৃষ্টি করাকে بدعة বলা হয়।
ইমাম শাতেবী বলেন- ইতঃপূর্বে কারো দ্বারাই সংঘটিত হয়নি এমন পথের সূচনা করাই বিদয়াত।

কুরআনের আলোকে বিদয়াত : মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বিদয়াত শব্দটির যথেষ্ট ব্যবহার রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহর বাণী-
بـديـع الـسـمـوت والارض1ـ
2- ۔ قل ما كنت بدعا من الرسول وما ادرى ما يفعل بي ولا بكم
3- ورهبانية ابتدعوها ما كتبناها عليهم إلا ابتغاء رضوان الله
আলোচ্য আয়াতগুলোতে বিদয়াত শব্দটি অভিনবত্ব বা নবসৃষ্টি অর্থে ব্যবহার হয়েছে। বিশেষ করে শেষ আয়াতে যে বিদয়াত বলা হয়েছে, তা আল্লাহ তায়ালা ব্যবস্থা করে দেননি; বরং লোকেরা নিজেদের থেকে তা রচনা করেছে এবং এখানে ব্যবহৃত বিদয়াত শব্দটি সুন্নাতের বিপরীত শব্দ হিসেবে এসেছে।

সুতরাং আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, আল্লাহ বান্দাদের জন্য যে সম্পর্কে সরাসরি বিধিবিধান দেননি, বান্দারা নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত জ্ঞান দ্বারা যা রচনা করে ইবাদত হিসেবে গণ্য করার চেষ্টা করে, তাই বিদয়াত ।

হাদীসের আলোকে বিদয়াত : হাদীসের আলোকে বিদয়াত শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচিত। কারণ হাদীসে যেমন সুন্নাতের প্রতি আহ্বান করা হয়েছে, তেমনি বার বার বিদয়াত থেকে সতর্ক করা হয়েছে। হাদীসের ভাষায় বিদয়াত কুরআন ও শরীয়তের পরিপন্থি। যার আগমনই হয়েছে সুন্নাত উৎখাত করার জন্য। এজন্যই রাসূল (স) শক্তভাবে বলেছেন-সমস্ত নব আবিষ্কৃত ইবাদত ভ্রষ্টতার অন্তর্ভুক্ত।

আসারুস সাহাবার আলোকে বিদয়াত : সাহাবীদের জীবনী, কর্মনীতি ও ইবাদত পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, তাঁরাও বিদয়াতের চরম বিরোধী ছিলেন। যেমন- রাসূল (স)-এর তিরোধানের পর ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেন খোলাফায়ে রাশেদীনগণ। তাঁরা তা-ই প্রবর্তন করেছেন, যা রাসূল (স) করতে বলেছেন বা পথ বলে দিয়েছেন। তাঁরা রাসূল (স)-এর আদর্শের বিরোধিতা করেননি এবং দীন ইসলামেও তাঁরা কোনো নতুন জিনিসের উদ্ভাবন করেননি।

বিদয়াত সুন্নাতের পরিপন্থি। এটা দ্বারা সাওয়াবের প্রত্যাশা করেও কোনো লাভ নেই; বরং সুন্নাত পরিপন্থি হিসেবে গুনাহগার হতে হয়। তাই বিদয়াত থেকে বিরত থাকা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

আরো পড়ুন :

বেদআতির পরিণাম

সমাজে প্রচলিত কিছু বিদআত

সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ট্যাগ সমূহ : বিদআত শব্দের অর্থ কি,বিদআত কাকে বলে,বিদআত,বিদআত কি,বিদআত শব্দের অর্থ,বিদআত মানে কি,বিদআতের সংজ্ঞা কি,বিদআতের সংজ্ঞা,বিদয়াতের পরিচয়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top