নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম : যখন কেউ নামায পড়ার ইচ্ছা করবে তখন তাকে এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে হবে যে, নামাযের শর্তগুলোর মধ্যে কোনোটা বাদ যায়নি তো। তারপর একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করে ধারণা করতে হবে যে, সে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারপর একনিষ্ঠ হয়ে পূর্ণ অনুভূতির সাথে নিম্নের দোয়া পড়ে নেবে।
اِنِّيْ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ حَنِيْفًا وَّمَآ اَنَا۠ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَۚ…..اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ …..لَا شَرِیۡکَ لَهٗ ۚ وَ بِذٰلِکَ اُمِرۡتُ وَ اَنَا اَوَّلُ الۡمُسۡلِمِیۡنَ
“আমি পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আমার মুখ সেই সত্তার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছি যিনি আসমান ও যমীন পয়দা করেছেন এবং আমি তাদের মধ্যে নই যারা তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করে । বস্তুত আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহরই জন্য যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের প্রভু । তাঁর কোনো শরীক নেই । আমার ওপরে তারই হুকুম হয়েছে এবং অনুগতদের মধ্যে আমিই সকলের প্রথমে অনুগত ।” (আল-আনয়াম ৭৯ ও ১৬২-১৬৩)
অতপর নামাযী সোজা দাঁড়িয়ে নামাযের নিয়ত করবে। অর্থাৎ মনে এ ইচ্ছা পোষণ করবে যে, সে অমুক ওয়াক্তের এতো রাকায়াত নামায পড়ছে। নিয়ত আসলে মনের এরাদার নাম । আর এটারই প্রয়োজন । (তবে এ এরাদাকে শব্দের দ্বারা মুখে উচ্চারণ করা ভালো) । যেমন “আমি মাগরিবের তিন রাকায়াত ফরয নামায পড়ছি।” আর যদি ইমামের পেছনে নামায পড়া হয় তাহলে এ নিয়তও করতে হবে যে, “এ ইমামের পেছনে নামায পড়ছি”।
তাকবীর
দেহকে স্বাভাবিক অবস্থায় রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’পায়ের মাঝখানে অন্তত চার আঙুল ফাঁক যেন অবশ্যই থাকে । দৃষ্টি সিজদার স্থানের ওপর রাখুন এবং নিয়তের সাথে সাথে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দু’হাত কানের গোড়া পর্যন্ত উঠান, যেন হাতুলি কেবলার দিকে থাকে এবং আঙুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় খোলা থাকে। তারপর দু’হাত নাভির নীচে এমনভাবে বাঁধুন যেন ডান হাতুলি বাম হাতের পিঠের ওপর থাকে । ডান হাতের বুড়ো আঙুল ও ছোট আঙুল দিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরুন। ডান হাতের বাকী আঙুলগুলো বাম হাতের ওপর ছড়িয়ে রাখুন।
তারপর নিম্নের দোয়া বা সানা পড়ুন :-
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। (তিরমিজি, আবু দাউদ মিশকাত)
অর্থ : “তুমি পাক ও পবিত্র হে আল্লাহ! তুমিই প্রশংসার উপযুক্ত । তুমি বরকতদানকারী এবং মহান। তোমার নাম ও মর্যাদা বহু উচ্চে । তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই ।” সানার পর আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পুরা পড়ুন।
সূরা ফাতিহা ও কুরআন পাঠ
তারপর সূরা ফাতিহা পড়ে আমীন বলুন । আর যদি আপনি মুক্তাদী হন তাহলে সানা পড়ার পর চুপচাপ ইমামের কেরাত শুনূন। ইমাম সূরা ফাতিহা শেষ করলে আমীন বলুন । তারপর কুরআনের কোনো সূরা বা কয়েকটি আয়াত পড়ুন অন্তত ছোট ছোট তিনটি আয়াত । আপনি মুক্তাদী হলে চুপ থাকতে হবে ।
রুকূ’
কেরাত করার পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে রুকূ’তে যান।’ রুকূ’তে হাত হাঁটুর ওপর রেখে আঙুল দিয়ে হাঁটু ধরুন । দু’হাত সোজা রাখুন । রুকূ’র সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, মাথা যেন কোমর থেকে বেশী নীচে নেমে না যায় অথবা উঁচু না হয় । বরঞ্চ কোমর এবং মাথা একেবারে বরাবর থাকবে । তারপর তিনবার নিম্ন তাসবীহ পড়বেন ।
রুকূ’তে তাসবীহ
سبحان ربى العظيم সমস্ত দোষত্রুটি থেকে পাক আমার মহান প্রভূ।’ এ তাসবীহ তিনবারের বেশী পাঁচ, সাত, নয় অথবা আরও বেশী বার বলতে পারেন। যদি আপনি ইমাম হন তাহলে মুক্তাদীদের প্রতি খেয়াল রাখবেন । এতো বেশী পড়বেন না যাতে তাঁরা পেরেশানী বোধ করেন। তবে যতোবারই পড়ুন বেজোড় পড়বেন।
কাওমা
কাওমা রুকূ’র পরে سمع الله لمن حمده (আল্লাহ তার কথা শুনেছেন, যে তাঁর তারীফ করেছে) বলে বিলকুল সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং বলুন shar os (হে আমার রব! সমস্ত প্রশংসা তোমারই)। যদি আপনি মুক্তাদি হন তাহলে দ্বিতীয়টি পড়বেন । আর ইমাম হলে প্রথমটি পড়বেন।
সিজদা
তারপর তাকবীর বলে সিজদায় যান। সিজদা এভাবে করুন যেন প্রথমে দু’হাঁটু যমীনে রাখেন, তারপর দু’হাত, তারপর নাক এবং তারপর কপাল। চেহারা দু’হাতের মাঝখানে থাকবে। বুড়ো আঙুল কানের বরাবর থাকবে। হাতের আঙুল মেলানো থাকবে এবং সব কেবলামুখী থাকবে । দু’কনুই যমীন থেকে ওপরে থাকবে এবং হাঁটুও রান থেকে আলাদা থাকবে এবং পেটও রান থেকে আলাদা থাকবে। কনুই যমীন থেকে এতটা উঁচুতে থাকবে যেন একটা ছোট ছাগল ছানা ভেতর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে । দু’পা আঙুলের ওপর ভর করে মাটিতে লেগে থাকবে এবং আঙুলগুলো কেবলামুখী থাকবে। সিজদায় কন্ততপক্ষে তিনবার থেমে থেমে سبحان ربى الاعلى পড়ুন ।
জলসা
তারপর তাকবীর বলে প্রথমে কপাল তারপর হাত উঠিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বসুন । বসার পদ্ধতি এই যে, ডান পা খাড়া থাকবে এবং বাম পা বিছিয়ে তার ওপর দু’জানু হয়ে বসুন । তারপর দু’হাত দু’জানুর উপর এমনভাবে রাখুন যেন আঙুলগুলো হাটুর ওপর থাকে । তারপর তাকবীর বলে দ্বিতীয় সিজদায় যান । প্রথম সিজদার মতো এ সিজদা করুন। দু’সিজদা করার পর তাকবীর বলে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়ান। তারপর বিসমিল্লাহ, সূরা ফাতিহা এবং কেরাত করে দ্বিতীয় রাকায়াত পুরা করুন।
কা’দা
তারপর প্রথম রাকয়াতের মতো রুকূ’, কাওমা, সিজদা ও জলসা করুন এবং দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে কা’দায় বসে যান। কা’দায় বসার ঐ একই পদ্ধতি যা জলসায় বসার বর্ণনা করা হয়েছে। তারপর নিশ্চিন্ত মনে থেমে থেমে তাশাহ্হুদ পড়ুন।
তাশাহুদ
التَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ، وَالصَّلَوْاتُ، وَالطَّيِّباتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণ : আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি, অসসলাওয়াতু, অততয়য়িবাতু, আসসলামু আলাইকা, আইয়ুহান-নাবিয়ইউ, অ-রহমাতুল্লাহি, অ-বারাকাতুহ,আসসালামু আলাইনা অ-য়ালা ইবাদিল্লাহিস সলিহিন, আশহাদু আল্লা ইলাহা, ইল্লাললাহু অ-আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অ-রসূলূহ।
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা, সমস্ত ইবাদাত ও সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর জন্য । হে নবী আপনার ওপর সালাম। তাঁর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক আপনার ওপর। সালামতি (শান্তি) হোক আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি মহাম্মাদ (সা:) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল।”
লা ইলাহা বলার সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুল এবং মধ্যমা আঙুল দিয়ে চক্র বানিয়ে অন্যান্য আঙুলগুলো বন্ধ করে শাহাদাত আঙুল আসমানের দিকে তুলে ইশারা করুন এবং ইল্লাল্লাহ বলার সময় আঙুল নামিয়ে নিন। সালাম ফেরানো পর্যন্ত আঙুলগুলো ঐভাবে রাখুন । যদি চার রাকায়াতওয়ালা নামায হয় তাহলে তাশাহহুদ পড়ার পর তাকবীর বলে তৃতীয় রাকয়াতের জন্য দাঁড়ান। তারপর ঐভাবে বিসমিল্লাহ ও সূরা ফাতিহা পড়ন ৷
যদি সুন্নাত বা নফল নামায হয় তাহলে তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকায়াতে সূরা ফাতিহার পর কোনো সূরা বা কয়েকটি আয়াত পড়ুন । যদি ফরয নামায হয় তাহলে তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকায়াতে সূরা ফাতিহার পর কুরআনের কোনো অংশ পড়বেন না। শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে রুকূ’তে চলে যান । চতুর্থ রাকায়াতে উভয় সিজদা করার পর ‘আত্তাহিয়্যাতু’ পড়ুন । তারপর নিম্নের দরূদ শরীফ পড়ুন-
اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ।
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউঅআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকাহামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউঅ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্খ : “হে আল্লাহ! সালাম ও রহমত বর্ষণ কর মুহাম্মাদ (সা:) আজহার ও তাঁর পরিবারের ওপর যেমন তুমি রহমত নাযিল করেছ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারের ওপর । হে আল্লাহ! বরকত নাযিল কর মুহাম্মাদ (সা:) সাভাতার ও তাঁর পরিবারের ওপর যেমন তুমি বরকত নাযিল করেছ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার পরিবারের ওপর।”
দুরূদের পর দোয়া
দুরূদের পর নিম্নের দোয়া পড়ুন
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ –
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি । মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা । ওয়ার হামনি । ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।
অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি আমার ওপরে বড় যুলুম করেছি এবং তুমি ছাড়া এমন কেউ নেই, যে গুনাহ মাফ করতে পারে। অতএব তুমি আমাকে তোমার খাস মাগফিরাত দান কর এবং আমার ওপর রহম কর। অবশ্যই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াশীল।”
অথবা নিম্নের দোয়া পড়ুন কিংবা উভয়টি পড়ুন
اللهم إني أعوذ بك من عذاب جهنم ومن عذاب القبر وأعوذبك من فتنة المسيح الدجال وأعوذبك من فتنة المحيا والممات اللهم إني أعوذبك من النائم والبخرم –
“হে আল্লাহ! আমি তোমার পানাহ (আশ্রয়) চাই জাহান্নামের আযাব থেকে এবং কবরের আযাব থেকে, পানাহ চাই মাসীহে দাজ্জালের ফেত্না থেকে, পানাহ চাই জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে । হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই গুনাহ থেকে এবং প্রাণান্তকর ঋণ থেকে।”
সালাম
এ দোয়া পড়ার পর নামায শেষ করার জন্য প্রথমে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে বলুন ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ তারপর বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে বলুন ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’। এ কথাগুলো বলার সময় মনে করতে হবে যে, আপনার এ সালামতি ও রহমতের দোয়া নামাযে অংশগ্রহণকারী সকল নামাযীদের এবং ফেরেশতাদের জন্য। নামায শেষ করে যে কোনো জায়েয দোয়া করতে পারেন। নবী (সা:) থেকে বহু দোয়া ও যিকির বর্ণিত আছে । এসব দোয়া ও যিকিরের অবশ্যই অভ্যাস করবেন । কিছু দোয়া নিম্নে দেয়া হলো-
নামাযের পরে দোয়া
استغفر الله استغفر الله استغفر الله اللهم أنت السلام ومنك السلام تباركت ياذا الجلال والاكرام
“আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাই (তিনবার)। হে আল্লাহ তুমিই শান্তির প্রতীক, শান্তিধারা তোমার থেকেই প্রবাহিত হয়। তুমি নেহায়েত মঙ্গল ও বরকত ওয়ালা, হে দয়া ও অনুগ্রহের মালিক”- (মুসলিম-৫৫১)।
২. একদিন নবী আলা হযরত মাআয লিল্লাহ-এর হাত ধরে বলেন, মাআয! আমি রাদিয়াল্লাহ্-এর তোমাকে ভালোবাসি। তারপর বলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি কোনো নামাযের পর এ দোয়াটি যেন পড়তে ভুলো না । প্রত্যেক নামাযের পর অবশ্যই পড়বে- اللهم أعني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك (رياض الصلحين)
“হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সাহায্য কর যেন আমি তোমার শোকর আদায় করতে পারি এবং ভালভাবে তোমার বন্দেগী করতে পারি।”
لا إله إلا الله وحده لاشريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير – اللهم .. لا مانع لما أعطيت ولا معطي لما منعت ولا ينفع ذالجد منك الجد (بخاری-مسلم)
“আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক ও একক, তাঁর শরীক নেই। কর্তৃত, প্রভুত্ব, বাদশাহী একমাত্র তাঁরই এবং প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা লাভের একমাত্র অধিকারী তিনি। তিনি প্রত্যেক বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান । হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর কেউ ঠেকাতে পারে না । যা তুমি দাও না তা আর কেউ দিতে পারে না । কোনো মহান ব্যক্তির মহত্ব তোমার মুকাবিলায় কোনোই কাজে আসে না” -(বুখারী ও মুসলিম)
৪. সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ পাক ও পবিত্র) ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ (সব প্রশংসা আল্লাহর) ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সকলের বড়ো) ৩৩ বার এবং একবার لا إله إلا الله وحده لاشريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير –
“আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই । তিনি এক এবং তাঁর কোনো শরীক নেই। বাদশাহী তাঁর এবং প্রশংসা বলতে একমাত্র তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান”- (সহীহ মুসলিম- আবু হুরায়রা হতে)।
আরো পড়ুন :
ট্যাগ সমূহ : নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সহীহ হাদিস,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম ছবি সহ,সুন্নত নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম ও দোয়া, নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম,নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম, |