নামাজের নিষিদ্ধ সময়

নামাজের নিষিদ্ধ সময়

আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। কিন্তু নামাজ কখন পড়তে হবে কিভাবে পড়তে হবে তার সঠিক নিয়ম আমাদের জানা প্রয়োজন। আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ আদায় না করলে সেই নামাজ অবাঞ্ছিত। তাই আমাদের সকলের উচিত সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করা। নামাজের কিছু নিষিদ্ধ সময় রয়েছে। সেই সময়ে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে না। তাই নামাজের নিষিদ্ধ সময় গুলো আমাদের প্রত্যেকের জানা একান্ত কর্তব্য। নিচে নামাজের নিষিদ্ধ সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করা হলো –

ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হল সালাত বা নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরের মাঝে বড় পার্থক্য হল নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামী শরিয়তে রয়েছে।

হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে নফল নামাজ তা পূরণ করে দেয়। তাই তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়।’ ফরজ নামাজের রাকায়াত সংখ্যা এবং সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকায়াত সংখ্যা নেই এবং সময়ও নেই। ফকিহরা বলেন, তিন সময়ে ফরজ-নফল সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। এমনকি এ সময় জানাজা এবং তিলাওয়াতে সিজদাহ করাও নিষেধ।

নামাযের মাকরূহ সময় তিন প্রকারের। এক. যে সময় প্রত্যেক নামায নিষিদ্ধ। দুই. যে সময়ে প্রত্যেক নামায মাকরূহ। তিন. যে সময়ে শুধু নফল নামায মাকরূহ।

যে সময়ে প্রত্যেক নামায নিষিদ্ধ

১. সূর্য যখন উঠতে থাকে এবং যতোক্ষণ না তার হলুদ রং ভালোভাবে চলে যায় এবং আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে না পড়ে।
২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়-যতোক্ষণ বেলা গড়িয়ে না যায় ।
৩. সূর্য লালবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত । তবে যদি কোনো কারণে ঐ দিনের আসরের নামায পড়া না হয়ে থাকে, তাহলে পড়তে হবে । কাযা করা চলবে না ।

উপরোক্ত তিন সময়ে প্রত্যেক নামায নিষিদ্ধ তা সে ফরয হোক, সুন্নাত কিংবা নফল, ওয়াজিব হোক বা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ । এ সময়ে শুকরিয়া সিজদা এবং সিজদা তেলাওয়াতও নিষিদ্ধ । প্রথম থেকে নামায শুরু করার পর যদি এ মাকরূহ সময় এসে পড়ে তাহলে নামায বাতিল হয়ে যাবে। তবে জানাযা এলে তা বিলম্ব না করে পড়ে নিতে হবে।

যে যে সময়ে নামায পড়া মাকরূহ

১. যখন পেশাব পায়খানার চাপ অথবা বায়ু নিঃসরণের প্রয়োজন হয় ।
২. ভয়ানক ক্ষুধা লেগেছে এবং খানা সামনে হাযির । যদি মনে হয় যে, খানা না খেলে নামাযে মন বসবে না। এ অবস্থায় নামায পড়লে হয়ে যাবে কিন্তু মাকরূহ হবে। এসব প্রয়োজন সেরে নামায পড়া উচিত, যাতে করে নিবিষ্ট মনে নামায পড়া যায় ।

যে যে সময় শুধু নফল নামায মাকরূহ

১. যখন ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য নিজের জায়গা থেকে উঠবেন । তা জুমার খুতবা হোক, ঈদের হোক, বিয়ের হোক বা হজ্জের হোক।
২. ফজরের নামাযের পর সূর্য উদয় এবং তাঁর আলো ছড়িয়ে পড়া পর্যন্ত সময়ে।
৩. আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
৪. ফজরের সময় ফজরের সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায।
৫. ফরয নামাযের সময় যখন তাকবীর বলা হয়।
৬. ঈদের নামাযের আগে ঘরে হোক বা মাঠে
৭. ঈদের নামাযের পর ঈদগাহে নফল নামায।
৮. আরাফাতে যোহর আসরের মাঝে এবং আসরের পরে।
৯. মুযদালিফায় মাগরিব এশার মাঝে এবং পরে।
১০. মাগরিবের সময় মাগরিবের নামাযের প্রথমে।

এশার নামায বেশী বিলম্বে পড়া এবং অর্ধেক রাতের পরে পড়াও মাকরূহ। মাগরিব নামায বিলম্বে পড়া যখন তারকা পুঞ্জ ভালভাবে বের হয়ে আসে।

আরো পড়ুন :

আওসাতে মুফাসসাল 

কেসারে মুফাসসাল

তোওয়ালে মুফাসসাল

ইসলামে আদা কি

জানাজার নামাজের বিধান

লাশ বহন করার নিয়ম

মহিলাদের কাফনের কাপড় পড়ানোর নিয়ম

পুরুষের কাফন পরানোর নিয়ম

মৃত ব্যক্তিকে কাফন দেওয়ার বিধান

মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

৭৭.সূরা মুরসালাত Surah Mursalat سورة المرسلات এর তাফসির ও শানে নুযুল

৭৯.সূরা নাযিয়াত سورة النازعات Surah An Naziat এর তাফসির ও শানে নুযুল

৮০.সূরা আবাসা سورة عبس Surah Abasa এর তাফসির ও শানে নুযুল

৮১.সূরা আত তাকভীর سورة التكوير Surah At Takwir এর তাফসির ও শানে নুযুল

ট্যাগ সমূহ :নামাজের নিষিদ্ধ সময় সমূহ,নামাজের নিষিদ্ধ সময়সূচি,নামাজের নিষিদ্ধ সময় কেন,নামাজের নিষিদ্ধ সময়সূচী ২০২৩,নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট,নামাজের নিষিদ্ধ সময় ২০২৩,নামাজের নিষিদ্ধ সময় হাদিস,নামাজের নিষিদ্ধ সময় চট্টগ্রাম,,namajer nishiddho somoy,namajer nishiddho somoy today,namajer nishiddho somoy dhaka,নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট,নামাজের নিষিদ্ধ সময় কেন,নামাজের নিষিদ্ধ সময় কয়টি,নামাজের নিষিদ্ধ সময় হাদিস,নামাযের মাকরূহ সময়,নামাযের নিষিদ্ধ সময় কখন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top