“ইনশাআল্লাহ” শব্দটির অর্থ :
“ইনশাআল্লাহ” শব্দটির অর্থ হচ্ছে ‘আল্লাহ যদি চান।’
ভবিষ্যতের কোন কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে “ইনশাআল্লাহ” শব্দটি ব্যবহার করতে হয়।
“ইনশাআল্লাহ” শব্দটির গুরুত্ব :
ইসলামী শরীয়তে ভবিষ্যতের কোন কাজ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দৃঢ় ইচ্ছা ব্যক্ত করার সময় “ইনশাআল্লাহ” বলার গুরুত্ব অপরিসীম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
“হে নবী কখনোই তুমি কোন বিষয়ে এ কথা বলো না যে, আমি এটা আগামীকাল করবো; যতক্ষণ না “ইনশাআল্লাহ” বল।” (সূরা কাহাফ, আয়াত : ২৩ ২৪)
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন (আলহামদুলিল্লাহ) । দিয়েছেন বিবেক বুদ্ধি ইচ্ছা শক্তি এবং পথ চলার দিয়েছে স্বাধীনতা। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে মানবজাতি কোন কাজ করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
“তোমরা ইচ্ছা পোষণ করতে পারো না যদি জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ ইচ্ছা না করেন” (সুরা- তাকভীর, আয়াত : ২৯)
যেহেতু বান্দা আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে কোন কাজ করতে পারে না তাই তার উচিত প্রতিটি কাজ সম্পাদনের পূর্বে “ইনশাআল্লাহ” বলা।
ইনশাআল্লাহ শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা।
কেউ যদি বলে ইনশাআল্লাহ ভালো আছি তাহলে তার এই বাক্যটি অশুদ্ধ হবে। কেননা ইনশাআল্লাহ ব্যবহার হয় কেবলমাত্র ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে।
বৈধ কাজে “ইনশাআল্লাহ” বলা ফজিলতপূর্ণ এতে সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু অবৈধ কোন কাজ করার জন্য “ইনশাআল্লাহ” বলা জায়েজ নেই। যেমন চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, কর্মকাণ্ড সহ যাবতীয় অপরাধ ও অনৈতিক কাজে “ইনশাআল্লাহ” বলা সম্পূর্ণ হারাম।
ইনশাআল্লাহ শব্দ ব্যবহার যখন নিষিদ্ধ :
কখনো আবার কিছু বৈধ কাজও ইনশাআল্লাহ বলা নিষিদ্ধ। যেমন আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করা যে, “হে আল্লাহ, তুমি চাইলে আমাকে অমুক জিনিসটি দান করো। তোমার মর্জি হলে আমাকে আরোগ্য দান করো। তুমি চাইলে আমাকে ক্ষমা করো ইত্যাদি। এভাবে দোয়া করলে এক ধরনের অবজ্ঞা ও অবহেলা প্রকাশ পায়। নিরলিপ্ততা ও অবহেলা উদাসীনতা দেখা দেয়।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, “তোমাদের কেউ যেন দোয়া না করে যে, হে আল্লাহ তুমি চাইলে আমাকে ক্ষমা করো। তুমি চাইলে আমার প্রতি দয়া করো। বরং দৃঢ়তার সঙ্গে দোয়া করো। কেননা আল্লাহ যা চান তাই করেন। তাকে বাধ্য করার মতো কেউ নেই।”( সহীহ বুখারী, হাদিস : ৬৩৩৯ )