
ওয়াজিব বলতে ওই সব কাজকেই বোঝায়, যার কোন একটি ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিতে হয়। সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবে। তাই নামাজের ওয়াজিবগুলো যথাযথভাবে আদায় না করলে নামাজ হবে না।
নামাজের ওয়াজিব সমূহ:
১. সুরা ফাতিহা সম্পূর্ণভাবে পড়া। (বুখারী : ৭৫৬)
২. সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা অথবা কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা। (বুখারী : ৭৭৬)
৩. ফরজের প্রথম দুই রাকাত কে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (বুখারী : ৭৭৬)
৪. সূরা ফাতিহা অন্য সূরার আগে পড়া। (বুখারী : ৭৪৩)
৫. নামাজের সব রোকন ধীরস্থির ভাবে আদায় করা। {অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে বসে কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ দেরি করা।} ( বুখারী : ৭৯৩)
৬. প্রথম বৈঠক করা। {অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দুই রাকাতের পর বসা।} ( বুখারী : ৮২৮)
৭. উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পড়া। (বুখারী : ৮৩০,৮৩১)
৮. প্রতি রাকাতে ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর তারতীব অর্থাৎ ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা। (বুখারী : ৬২৫১)
৯. ফরজ না ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। (বুখারী : ৬২৫১)
১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতের পর কোন দোয়া পড়া। {অবশ্য দোয়া কুনুত পাঠ করলে ওয়াজিব এর সাথে সুন্নত ও আদায় হয়ে যাবে।} (বুখারী : ১০০২)
১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবু দাঊদ : ১১৫৩)
১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় ভিন্ন ভাবে তাকবীর বলা।
১৩. ইমামের জন্য জোহর, আছর এবং দিনের বেলায় সুন্নত, নফল নামাজ গুলোর কেরাত গুলো আস্তে পাঠ করা। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা,তারাবি ও দুই ঈদ এর নামাজ এবং রমজানের বিতর নামাজের কেরাত শব্দ করে পড়া। (মুসলিম : ২৫৯)
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এখানে আস্তে পাঠ করার অর্থ মনে মনে পাঠ করা না। কেননা এতে নামাজ শুদ্ধ হয় না। তাই শব্দ না করে মুখে উচ্চারণ করা জরুরি।
১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (বুখারী : ৮৩৭)