হায়েযের মাসআলা ও হায়েয এর সময় কত দিন

হায়েয মানে কি, হায়েয কি, হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার নিয়ম,হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত,হায়েয কাকে বলে,হায়েয অবস্থায় সহবাস করলে কি হয়,হায়েয অবস্থায় তালাক, হায়েয ও নেফাস, হায়েজ অবস্থায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে কুরআন পড়ার হুকুম কী,হায়েজ অর্থ কি, হায়েয মানে কি,হায়েয এর রং, হায়েয কি, হায়েয এর সময়সীমা, হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার নিয়ম, হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত, হায়েয এর মাসআলা, হায়েয এর সময় কত দিন,হায়েযের বিবরণ,হায়েযের সময়-কাল,হায়েয হওয়ার বয়স,হায়েযের মাসআলা,
হায়েয মানে কি

হায়েয কাকে বলে ও হায়েযের মাসআলা

হায়েজ অর্থ কি : হায়েজ একটি আরবি শব্দ। হায়েযের আভিধানিক অর্থ হলো প্রবাহিত হওয়া।

হায়েয হলো- সাবালিকা হওয়ার পর মেয়েদের প্রস্রাবের দ্বার দিয়ে স্বভাবত যে রক্ত নির্গত হয় তাকে হায়েয বলে । এ রক্ত নাপাক । কাপড় এবং শরীরে লাগলে তা নাপাক হয়ে যাবে ।

হায়েয হওয়ার বয়স

হায়েয হওয়ার বয়স কমপক্ষে ন’ বছর। ন’ বছরের পূর্বে কোনো মেয়ের যদি রক্ত আসে তাহলে তা হায়েয বলে গণ্য হবে না। তারপর সাধারণত মেয়েদের পঞ্চান্ন বছর পর্যন্ত হায়েয হয়ে থাকে । পঞ্চান্ন বছরের পর রক্ত এলে তা আবার হায়েয বলা যাবে না। হাঁ, তবে এ বয়সে রক্তের রং যদি গাঢ় লাল হয় অথবা কালচে লাল হয়, তাহলে হায়েয মনে করা হবে।

হায়েযের সময়-কাল

হায়েযের মুদ্দৎ কমপক্ষে তিন দিন তিন রাত এবং ঊর্ধে দশ দিন দশ রাত । তিন দিন তিন রাতের কম রক্ত এলে তা হায়েয বলা যাবে না। তেমনি দশদিন দশ রাতের বেশী রক্ত এলে অতিরিক্ত যে রক্ত আসবে তা হায়েযের রক্ত বলা যাবে না । একে বলা হবে এস্তেহাযার রক্ত যা রোগের কারণে হয়ে থাকে । তার হুকুম হায়েয থেকে পৃথক ।

হায়েযের মাসআলা

 হায়েযের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে একেবারে সাদা রঙের ব্যতীত যে রঙের রক্ত আসবে তা লাল হলুদ, খাকি, সবুজ, কালো যাই হোক না কেন, সব হায়েয ড্রাগ বলে গণ্য হবে ।

 যেসব মেয়েদের পঞ্চান্ন বছরের আগেও গাঢ় লাল বর্ণের ছাড়াও সবুজ, খাকি এবং হলুদ বর্ণের রক্ত আসে, তা পঞ্চান্ন বছরের পরেও সবুজ, খাকি এবং হলুদ বর্ণের রক্ত এলে তা হায়েয মনে করতে হবে ।

 তিন দিন তিন রাতের সময়ের কিছু কম সময় রক্ত এলে তাও হায়েয হবে না । যেমন কোনো মেয়ের জুমার দিন সূর্য উঠার সময় রক্ত এলো অর্থাৎ তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হতে কিছু সময় বাকী থাকলো, তাহলে এ রক্ত হায়েযের মনে করা হবে না, বরঞ্চ এস্তেহাযার ।

  যদি কোনো মেয়ের তিন চার দিন রক্ত আসার অভ্যাস আছে। তারপর কোনো মাসে তার অধিক দিন এলো, তাহলে তা হায়েয হবে । কিন্তু দশ দিনের কিছু বেশী সময় যদি রক্ত আসে তাহলে যত দিনের অভ্যাস ছিল ততদিন হায়েয মনে করা হবে এবং বাকী দিনগুলো এস্তেহাযা ।

  দু’হায়েযের মধ্যবর্তী পাক অবস্থার মুদ্দত কমপক্ষে পনেরো দিন এবং বেশী হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। অতএব কোনো মেয়ে যদি কয়েক মাস পর্যন্ত অথবা সারা জীবন রক্ত না আসে তাহলে সে পাকই থাকবে । অথবা এক দুই দিন রক্ত এলো তারপর দশ বারো দিন ভালো থাকলো, তারপর এক দুই দিন রক্ত এসে বন্ধ হলো, তাহলে পুরো সময়টা এস্তেহাযা ধরতে হবে ।

  কোনো মেয়েলোকের হায়েযের মুদ্দতের কম সময় অর্থাৎ দু’একদিন রক্ত আসার পর ১৫ দিন সে পাক থাকলো । পরপর আবার দু’একদিন রক্ত এলো । এ ১৫ দিন তো সে পাক থাকবেই তারপর যে রক্ত এলো সেটা হবে এস্তেহাযা।

  কারো প্রথম রক্ত দেখা দিল। তারপর কয়েক মাস পর্যন্ত চললো । যেদিন প্রথমে রক্ত দেখা দিল সেদিন থেকে দশ দিন হায়েয, বাকী অতিরিক্ত দিন এস্তেহাযা । এভাবে প্রত্যেক মাসের প্রথম দশ দিন হায়েয এবং বাকী দিন এস্তেহাযা ধরতে হবে।

  কোনো মেয়ে লোকের দু’একদিন রক্ত আসার পর ১৫ দিনের কম পাক থাকলো । তারপর আবার রক্ত আসা শুরু হলো। তাহলে এ পাক থাকার কোনো বিশ্বাস নেই বরঞ্চ মনে করতে হবে যে, তার রক্ত বরাবর চলতে ছিল । এখন সে মেয়েলোকের অভ্যাস অনুযায়ী সময়কাল তো হায়েয ধরা হবে আর বাকী সময়টা এস্তেহাযা । আর প্রথমবার তার রক্ত এলে প্রথম দশ দিন হায়েয এবং বাকী সময় এস্তেহাযা ধরতে হবে।

যেমন ধরুন, কোনো মেয়েলোকের মাসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে হায়েয হওয়ার অভ্যাস অতপর কোনো মাসে একই দিন রক্ত এসে বন্ধ হয়ে গেলে, তারপর চৌদ্দ দিন পাক থাকলো । তারপর ষোল দিনে আবার রক্ত এলো । তাহলে বুঝতে হবে ষোল দিন বরাবর রক্ত এসেছে তাহলে অভ্যাস অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন হায়েয ধরা হবে এবং বাকী তের দিন এস্তেহাযা । যদি চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন হায়েযের অভ্যাস থাকে, তাহলে এগুলো হায়েযের দিন মনে করতে হবে এবং প্রথম তিন দিন এবং শেষের দশ দিন এস্তেহাযা মনে করতে হবে ।

  যদি কোনো মেয়েলোকের কোনো অভ্যাস নির্দিষ্ট নেই। কখনো চার দিন, কখনো সাত দিন, কখনো দশ দিন । তাহলে এসব হায়েয বলে গণ্য হবে । তার যদি আবার দশ দিনের বেশী রক্ত আসে, তাহলে দেখতে হবে গত মাসে কত দিন এসেছিল । ততদিন হায়েয ধরা হবে এবং বাকী দিন এস্তেহাযা।

আরো পড়ুন :

নেফাসের সর্বোচ্চ সময়সীমা কত দিন

হায়েয নেফাসের হুকুম

নেফাসের মাসয়ালা

নেফাস কাকে বলে

নামাজের সুন্নাত সমূহ

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাযের ওয়াজিব সমূহ

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

জানাজার নামাজের বিধান

তায়াম্মুমের নিয়ম

তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি

ট্যাগ সমূহ : হায়েয মানে কি, হায়েয কি, হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার নিয়ম,হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত,হায়েয কাকে বলে,হায়েয অবস্থায় সহবাস করলে কি হয়,হায়েয অবস্থায় তালাক, হায়েয ও নেফাস, হায়েজ অবস্থায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে কুরআন পড়ার হুকুম কী,হায়েজ অর্থ কি, হায়েয মানে কি,হায়েয এর রং, হায়েয কি, হায়েয এর সময়সীমা, হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার নিয়ম, হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত, হায়েয এর মাসআলা, হায়েয এর সময় কত দিন,হায়েযের বিবরণ,হায়েযের সময়-কাল,হায়েয হওয়ার বয়স,হায়েযের মাসআলা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top