পুরুষের কাফনের কাপড় কয়টি
পুরুষের তিন কাপড় দ্বারা দাফন করা হয়। কেননা রাসূল (সা:) কে তিন কাপড়ে দাফন করা হয়েছিল ।
পুরুষের তিন কাপড় হলোঃ (ক) ইযার – তার পরিমাণ হলো মাথা থেকে পা পর্যন্ত লম্বা হওয়া,
(খ) কামিস, অর্থাৎ সেলাইবিহীন জামা, যার পরিমাণ হলো কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত লম্বা হওয়া। কিন্তু এই জামায় আস্তিন বা কল্লি হবে না, শুধু মাঝখান দিয়ে (ফেড়ে) কেটে দিবে যাতে মাথা ঢুকানো যায়,
(গ) লেফাফা বা চাঁদর যা ইযারের থেকে এক হাত বেশী লম্বা হবে- যাতে করে মাথা এবং পা উভয় দিকে মুষ্টি করে বাধা যায়। [ফাতওয়ায়ে শামী – (৩/৯৮)। ২. হিদায়া – (১/১৫৯)]
কাপড় তৈরীর পদ্ধতি
কাপড় মাপার ফিতা অথবা রশি অথবা লাঠি দিয়ে মৃত ব্যক্তির দেহের (দৈর্ঘ্য) কতটুকু লম্বা তা নির্ণয় করবে, এবং কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত কতটুকু তাও নির্ণয় করবে, আর সিনার উপর দিয়ে তার নিচ পর্যন্ত কতটুকু তাও মেপে নিবে, অতপর মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরিমাপের এমন একটি লম্বা কাপড় নিবে যা প্রস্তের দিক দিয়ে মৃত ব্যক্তিকে আচ্ছাদিত করতে পারে। এই কাপড়টি হবে ইযার, আর এই ইযার থেকে পা পর্যন্ত যতটুকু লম্বা হওয়াকে নির্ণয় করা হয়েছিল, তার দ্বীগুণ লম্বা আরেকটি কাপড় নিয়ে মাঝখানে কেটে এতটুকু ফুটা করবে যাতে করে মাথার দিক থেকে ঐ কাপড়টি কাঁধ পর্যন্ত আনা যায়, এটি হবে কামিস। [আহাকামুল মাইয়্যিত – (৫১)]
পুরুষের কাফন পরানোর নিয়ম
কাফনের কাপড় বিছানো পূর্বে কাপড়ে, একবার অথবা দুইবার অথবা তিনবার অথবা পাঁচবার সুগন্ধি লাগাবে। অতপর সর্বপ্রথম খাটিয়ার মধ্যে লিফাফা বিছাবে, তার উপর ইয়ার বিছাবে, তার উপর কামিস রাখবে, এরপর লাশটি কাপড়ের উপর রেখে কামিসের ছিদ্র দিয়ে মাথার উপরের দিক থেকে এক পাট শরীরের উপরে রাখবে আর অপর পাট নিচে থাকবে। অতপর বাম দিক থেকে ইয়ারের পাট উঠাবে যাতে করে ডান পাটখানা উপরে দিকটা উঠাবে যাতে করে ডান পাটখানা উপরে থাকে। খুলে যাওয়ার আশংকা থাকলে গিড়া দিয়ে দিবে। এই হলো পুরুষকে কাফন পরানের পদ্ধতি। [ফাতওয়ায়ে শামী (৩/৯৫), আলবারুর রায়েক – (২/৩১০), বাদায়ে (২/৩৬)]
আরো পড়ুন :
মৃত ব্যক্তিকে কাফন দেওয়ার বিধান
ট্যাগ সমূহ : কাফনের কাপড়, পুরুষের কাফন দেওয়ার নিয়ম, পুরুষের কাফন পরানোর নিয়ম, পুরুষের কাফনের কাপড় কয়টি, কাফনের কাপড় কাটার নিয়ম, কাফন পরানোর পদ্ধতি,কাফন কাটার সঠিক নিয়ম,পুরুষের কাফন দেওয়ার পদ্ধতি |