তায়াম্মুমের নিয়ম ও তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি

তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুম নিয়ম,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি,তায়াম্মুম করার নিয়ম,তায়াম্মুমের নিয়ম কি,তায়াম্মুম,তায়াম্মুমের ফরজ,গাড়িতে তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি কি কি,তায়াম্মুম শব্দের অর্থ কি,তায়াম্মুমের নিয়ত,তায়াম্মুম করার নিয়ম,তায়াম্মুম অর্থ কি,তায়াম্মুম কাকে বলে,তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম,তায়াম্মুম করার পদ্ধতি,তায়াম্মুম কি,তায়াম্মুম কখন করতে হয়,তায়াম্মুম শব্দের অর্থ কি,তায়াম্মুম কখন ফরজ হয়,তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি,কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যায়,তায়াম্মুম কাকে বলে, মাটি ছাড়া তায়াম্মুমের নিয়ম, তায়াম্মুম কখন করা যাবে,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও কি কি, তায়াম্মুমের ৩ ফরজ, তায়াম্মুমের আরবি নিয়ত, দেয়ালে তায়াম্মুম করার নিয়ম، তায়াম্মুমের নিয়ম মাটি ছাড়া, তায়াম্মুম কি, কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যায়,
তায়াম্মুমের নিয়ম

তায়াম্মুমের নিয়ম

তাহারাত হাসিল করার আসল মাধ্যম পানি যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর বিশেষ মেহেরবানীতে বান্দাদের জন্য প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ করে রেখেছেন । তথাপি এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে যে, কোনো স্থানে পানি পাওয়া যাচ্ছে না, অথবা পাওয়া গেলেও পানি দিয়ে তাহারাত হাসিল করা মানুষের সাধ্যের বাইরে, অথবা পানি ব্যবহারে ভীষণ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এসব অবস্থায় আল্লাহ তা’আলা অতিরিক্ত মেহেরবানী এই করেছেন যে, তিনি মাটি দিয়ে তাহারাত হাসিল করার অনুমতি দিয়েছেন । তার পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন যাতে করে বান্দাহ দ্বীনের ওপর আমল করতে কোনো অসুবিধা বা সংকীর্ণতার সম্মুখীন না হয় ।

কুরআনে বর্ণিত আছে-
فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡهِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡهُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰهُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَهِّرَکُمۡ وَ لِیُتِمَّ نِعۡمَتَهٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ (المائده : 1)
“আর তোমরা যদি পানি না পাও, তাহলে পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও । তাতে হাত মেরে চেহারা এবং হাত দুটির ওপর মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদেরকে সংকীর্ণতার মধ্যে ফেলতে চান না। বরঞ্চ তিনি তোমাদেরকে পাক-পবিত্র করতে চান এবং চান যে তোমাদের ওপর তাঁর নিয়ামত পরিপূর্ণ করে দিবেন যাতে তোমরা শোকর গোযার হতে পার”। -(সূরা মায়েদাহ : ৬)

তায়াম্মুম অর্থ কি

তায়াম্মুমের অর্থ : অভিধানে তায়াম্মুম শব্দের অর্থ হচ্ছে ধারণা ও ইচ্ছা করা। ফেকাহের পরিভাষায় এর অর্থ হলো মাটির দ্বারা নাজাসাতে হুকমী থেকে পাক হওয়ার এরাদা করা । তায়াম্মুম অযু এবং গোসল উভয়ের পরিবর্তে করা যায় । অর্থাৎ তার দ্বারা হাদাসে আসগার এবং হাদাসে আকবার উভয় থেকেই পাক হওয়া যায় । তায়াম্মুমের এ অনুমতি নবী আমার কর-এর উম্মতের ওপর এক বিশিষ্ট দান ।

যে উম্মতের কাজের পরিধি ও পরিসর গোটা দুনিয়ার মানবতা এবং যার সময়কাল কিয়ামত পর্যন্ত, তার এ সুবিধা (Concession) লাভ করার অধিকারন্যায়সঙ্গতভাবেই রয়েছে যাতে করে যে কোনো যুগে যে কোনো অবস্থায় এবং দুনিয়ার যে কোনো প্রান্তে দ্বীনি আহকামের ওপর আমল করার ব্যাপারে উম্মাহকে কোনো সংকীর্ণতা বা অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় ।

তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি

তায়াম্মুমের তিন ফরয।
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পাক-পবিত্র হওয়ার নিয়ত করা ।
২. দু’হাত মাটির উপর মৃদু আঘাত করে সমস্ত চেহারার ওপর মর্দন করা।
৩. তারপর দু’হাত মাটির ওপর মৃদু আঘাত করে বা ঝেড়ে নিয়ে কনুই পর্যন্ত দু’হাত মর্দন করা ।

তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি

তায়াম্মুমের সুন্নত সমূহ :
১. তায়াম্মুমের প্রথমে বিসমিল্লাহ বলা ।
২. মাসনূন তরীকায় তায়াম্মুম করা। অর্থাৎ প্রথমে চেহারা মাসেহ করা এবং তারপর দু’হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।
৩. পাক মাটির ওপর হাতের ভেতর দিক মারতে হবে, পিঠের দিক নয় ।
৪. হাত মাটিতে মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলা ।
৫. মাটিতে হাত মারার সময় আঙুলগুলো প্রসারিত রাখা যাতে ভেতরে ধূলা পৌঁছে যায়
৬. অন্ততপক্ষে তিন আঙুল দিয়ে চেহারা ও হাত মাসেহ করা।
৭. প্রথম ডান হাত পরে বাম হাত মাসেহ করা ।
৮. চেহারা মাসেহ করার পর দাড়ি খেলাল করা ।

তায়াম্মুম করার নিয়ম

তায়াম্মুমের নিয়ম : ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ বলে তায়াম্মুমের নিয়ত করবে তারপর দু’হাতের তালু একটু প্রসারিত করে আস্তে পাক মাটির ওপর মারবে । বেশী ধূলাবালি হাতে লেগে গেলে ঝেড়ে নিয়ে অথবা মুখ দিয়ে ফুঁক দিয়ে তা ফেলে দেবে । তারপর দু’হাত এভাবে সমস্ত মুখমণ্ডলের ওপর মৃদু মর্দন করবে যাতে চুল পরিমাণ স্থান বাদ পড়ে না যায়। দাঁড়িতে খিলালও করতে হবে।

তারপর দ্বিতীয় বার এভাবে মাটির ওপর হাত মেরে এবং হাত ঝেড়ে নিয়ে প্রথমে বাম হাতের চার আঙুলের মাথার নিম্নভাগ দিয়ে ডান হাতের তালু কনুইয়ের ওপরের অংশের ওপর মর্দন করে হাতের পিঠের ওপর দিয়ে ডান হাতের আঙুল পর্যন্ত নিয়ে যাবে এবং আঙুলগুলোর খিলালও করবে। এভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাত মর্দন করবে । হাতে কোনো ঘড়ি বা আংটি থাকলে তা সরিয়ে তার নীচেও মর্দন করা জরুরী ।

কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়েয বা নাজায়েয হয়

১. পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম জায়েয তো বটে, উপরন্তু মাটির ধরনের সকল বস্তু দিয়েই জায়েয। যে সব বস্তু আগুনে জ্বালালে ছাই হয়ে যায় না, নরম হয়ে যায় না, মাটির মতই, যেমন সুরমা, চুন, ইট, পাথর, বালু, কংকর, মরমর পাথর অথবা আকীক, ফিরোজা প্রভৃতি এসব দিয়ে তায়াম্মুম জায়েয ।

২. ঐ সব জিনিস দিয়ে তায়াম্মুম নাজায়েয যা মাটির ধরনের নয়, যা আগুনে দিলে জ্বলে ছাই হয়ে যায় অথবা গলে যায়। যেমন- কাঠ, লোহা, সোনা, চাদি, তামা, পিতল, কাঁচ, রং এবং সকল প্রকার ধাতব দ্রব্যাদি, কয়লা, খাদ্য শস্য, কাপড়, কাগজ, নাইলন, প্লাস্টিক, ছাই এসব দিয়ে তায়াম্মুম নাজায়েয।

৩. যেসব জিনিসে তায়াম্মুম নাজায়েয তার ওপর যদি এতোটা ধূলোবালি জমে যায় যে, হাত মারলে উড়ে যায়, অথবা হাত রেখে টানলে দাগ পড়ে তাহলে তা দিয়ে তায়াম্মুম জায়েয হবে। যেমন- কাপড়ের থানের ওপর ধূলা পড়েছে, চেয়ার টেবিলে ধূলা পড়েছে অথবা কোনো মানুষের গায়ে ধূলা পড়েছে।

৪. যেসব জিনিস দিয়ে তায়াম্মুম জায়েয, যেমন- মাটি, ইট, পাথর, মাটির পাত্র প্রভৃতি, এসব যদি একেবারে ধোয়া হয় এবং তার ওপর কোনোরূপ ধুলাবালি না থাকে, তথাপি তা দিয়ে তায়াম্মুম জায়েয হবে ।

কি কি অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয

১. এমন এক স্থানে অবস্থান যেখানে পানি পাওয়ার কোনো আশা নেই । কারো কাছে জানারও উপায় নেই এবং এমন কোনো নিদর্শনও পাওয়া যায় না যে, এখানে পানি পাওয়া যেতে পারে অথবা পানি এক মাইল অথবা আরও দূরবর্তী স্থানে আছে এবং সেখানে যেতে বা সেখান থেকে পানি আনতে ভয়ানক কষ্ট হবার কথা। এমন অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয ।

২. পানি আছে তবে তার পাশে শত্রু আছে অথবা হিংস্র পশু বা প্রাণী আছে, অথবা ঘরের বাইরে পানি আছে কিন্তু চোর-ডাকাতের ভয় আছে, অথবা কুয়া আছে কিন্তু পানি উঠাবার কিছু নেই, অথবা কোনো মেয়ে মানুষের জন্য বাইরে থেকে পানি আনা তার ইয্যত আবরুর জন্য ক্ষতিকারক এমন সব অবস্থাতে তায়াম্মুম জায়েয।

৩. পানি নিজের কাছেই রয়েছে । কিন্তু পরিমাণে এতো কম যে, যদি তা দিয়ে অযু বা গোসল করা হয় তাহলে পিপাসায় কষ্ট হবে অথবা খানা পাকানো যাবে না, তাহলে তায়াম্মুম জায়েয হবে।

৪. পানি আছে কিন্তু ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে, অথবা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে অবশ্য কোনো কুসংস্কারবশে নয়, যেমন ধরুন কোনো ব্যক্তি শীতের দিনে গরম পানি দিয়ে অযু গোসল করতে অভ্যস্ত, তার অযু বা গোসলের প্রয়োজন হলে এবং পানিও আছে কিন্তু তা ঠাণ্ডা পানি । তার অভিজ্ঞতা আছে যে, ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করলে তার অসুখ হয় অথবা স্বাস্থ্যের হানি হয়। এমন অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয। গরম পানির অপেক্ষায় নাপাক থাকা অথবা নামায কাযা করা ঠিক নয়, বরঞ্চ তায়াম্মুম করে পাক হবে এবং নামায ইত্যাদি আদায় করবে ।

৫. পানি পাওয়া যায় কিন্তু পানিওয়ালা ভয়ানক চড়া দাম চায়, অথবা পানির দাম ন্যায়সংগত কিন্তু অভাবগ্রস্ত লোকের সে দাম দেয়ার সংগতি নেই, অথবা দাম দেয়ার মতো পয়সা আছে কিন্তু পথ খরচের অতিরিক্ত নেই এবং তা দিয়ে পানি কিনলে অসুবিধায় পড়ার আশঙ্কা আছে এমন অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয ।

৬. পানি আছে কিন্তু এতো শীত যে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারে প্রাণ যেতে পারে অথবা পক্ষাঘাত রোগ হতে পারে অথবা কোনো রোগ যেমন নিউমুনিয়া প্রভৃতির আশঙ্কা আছে, পানি গরম করার সুযোগও নেই। এমন অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয।

৭. অযু বা গোসল করলে এমন নামায ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে যার কাযা নেই, যেমন জানাযা, ঈদের নামায, কসূফ ও খসূফের নামায, তাহলে তায়াম্মুম করা জায়েয হবে।

৮. পানি ঘরেই আছে কিন্তু এতো দুর্বল যে, উঠে পানি নেয়ার ক্ষমতা নেই, অথবা টিউবওয়েল চাপতে পারবে না, এমন অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয।

৯. কেউ রেল, জাহাজ অথবা বাসে সফর করছে । যানবাহন ক্রমাগত চলতেই আছে এবং যানবাহনে পানি নেই অথবা পানি আছে কিন্তু এতো ভিড় যে, তাতে অযু করা সম্ভব নয়, অথবা যানবাহন কোথাও থামলো এবং নীচে নামলে তা ছেড়ে দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে, অথবা কোনো কারণে নীচে নামাই গেল না এমন অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েয।

১০. শরীরের অধিকাংশ স্থানে যখম অথবা বসন্ত হয়েছে তাহলে তায়াম্মুম জায়েয ।

১১. সফরে পানি সংগে আছে । কিন্তু সামনে কোথাও কোনো পানি পাওয়া না যেতে পারে যার ফলে পিপাসায় কষ্ট হবে অথবা প্রাণ যাওয়ারই আশঙ্কা আছে এমন অবস্থায় পানি সংরক্ষণ করে তায়াম্মুম করা জায়েয ।

যেসব জিনিসে তায়াম্মুম নষ্ট হয়

১. যেসব জিনিসে অযু নষ্ট হয় ঐসব জিনিসে তায়াম্মুম নষ্ট হবে। যেসব কারণে গোসল ওয়াজিব হয়, সে কারণে অযুর বদলে তায়াম্মুম এবং গোসলের বদলে তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে যায় ।

২. অযু এবং গোসল উভয়ের জন্য একই তায়াম্মুম করলে যদি অযু নষ্ট হয় তাহলে অযুর তায়াম্মুম নষ্ট হবে কিন্তু গোসলের তায়াম্মুম নষ্ট হবে না। তবে গোসল ওয়াজিব হয় এমন কোনো কারণ ঘটলে গোসলের তায়াম্মুমও নষ্ট হবে।

৩. যদি নিছক পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুম করা হয়ে থাকে তাহলে পানি পাওয়ার সাথে সাথে তায়াম্মুম নষ্ট হবে ।

৪.কোনো ওযর অথবা রোগের কারণে যদি তায়াম্মুম করা হয়ে থাকে তারপর ওযর অথবা রোগ রইল না, তখন তায়াম্মুম নষ্ট হবে। যেমন কেউ ভয়ানক ঠাণ্ডার জন্য অযু না করে তায়াম্মুম করলো, তারপর গরম পানির ব্যবস্থা হলো তখনই তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে যাবে ।

৫. পানির নিকটে কোনো হিংস্র জন্তু, সাপ অথবা শত্রু থাকার কারণে অযুর বদলে তায়াম্মুম করা হয়েছে। এখন যেই মাত্র এ আশঙ্কা দূরীভূত হবে, তখনই তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে যাবে ।

৬. কেউ যদি রেল, জাহাজ অথবা বাসে ভ্রমণকালে পানির অভাবে তায়াম্মুম করে, অতপর পথ অতিক্রম করার সময় পথে নদীনালা, পুকুর, ঝর্ণা প্রভৃতি দেখতে পায় । কিন্তু যেহেতু চলন্ত গাড়ী বা জাহাজে পানির ব্যবহার করার কোনোই সুযোগ নেই, সে জন্য তার তায়াম্মুম নষ্ট হবে না ।

9. কোনো ব্যক্তি কোনো একটি ওযরের কারণে তায়াম্মুম করলো, শেষে ওযর শেষ হলো কিন্তু দ্বিতীয় একটি ওযর সৃষ্টি হয়ে গেল। তথাপি প্রথম ওযর শেষ হওয়ার সাথে সাথে তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে গেল। যেমন ধরুন, পানি না পাওয়ার জন্য কেউ তায়াম্মুম করলো। কিন্তু পরে পানি পাওয়ার সাথেই সে এমন অসুস্থ হয়ে পড়লো যে পানি ব্যবহার তার পক্ষে সম্ভব নয় । তথাপি তার প্রথম তায়াম্মুম শেষ হয়ে যাবে যা পানি না পাওয়ার কারণে হয়েছিল ।

৮. কেউ অযুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করেছিল। তারপর অযু করার পরিমাণ পানি পেয়ে গেল। তখন তার তায়াম্মুম চলে গেল। কেউ যদি গোসলের পরিবর্তে অর্থাৎ হাদাসে আকবার থেকে পাক হওয়ার জন্য তায়াম্মুম করলো তারপর এতটুকু পানি পেলো যে, তার দ্বারা শুধু অযু হতে পারে কিন্তু গোসল হবে না। তাহলে গোসলের জন্য তায়াম্মুম নষ্ট হবে না।

আরো পড়ুন :

নামাজের সুন্নাত সমূহ

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাযের ওয়াজিব সমূহ

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

জানাজার নামাজের বিধান

ট্যাগ সমূহ : তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুম নিয়ম,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি,তায়াম্মুম করার নিয়ম,তায়াম্মুমের নিয়ম কি,তায়াম্মুম,তায়াম্মুমের ফরজ,গাড়িতে তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি কি কি,তায়াম্মুম শব্দের অর্থ কি,তায়াম্মুমের নিয়ত,তায়াম্মুম করার নিয়ম,তায়াম্মুম অর্থ কি,তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুম কাকে বলে,তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম,তায়াম্মুম করার পদ্ধতি,তায়াম্মুম কি,তায়াম্মুম কখন করতে হয়,তায়াম্মুম শব্দের অর্থ কি,তায়াম্মুম কখন ফরজ হয়,তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি,কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যায়,তায়াম্মুম কাকে বলে, মাটি ছাড়া তায়াম্মুমের নিয়ম, তায়াম্মুম কখন করা যাবে,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও কি কি, তায়াম্মুমের ৩ ফরজ, তায়াম্মুমের আরবি নিয়ত, দেয়ালে তায়াম্মুম করার নিয়ম، তায়াম্মুমের নিয়ম মাটি ছাড়া, তায়াম্মুম কি, কোন কোন বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা যায়,তায়াম্মুম করার নিয়ম,তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি,তায়াম্মুম অর্থ কি,তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি,তায়াম্মুমের নিয়ম,তায়াম্মুমের নিয়ম,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top