মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম

মৃত কে গোসল,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর নিয়ম,ইসলামে গোসল করার নিয়ম, মৃত ব্যক্তিকে গোসল করার নিয়ম, মৃত্যুর গোসল, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার দোয়া, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার ফজিলত, মুর্দাকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,লাশ গোসল দেওয়ার নিয়ম,লাশ গোসলের নিয়ম, মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,লাশের গোসলের নিয়ম,মৃত্যু ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার নিয়ম,মৃত মানুষের গোসলের নিয়ম,মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর নিয়ম,মহিলা মৃত ব্যক্তির গোসলের নিয়ম, মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃত ব্যক্তিকে গোসল করার নিয়ম, মুর্দাকে গোসল দেওয়ার নিয়ম, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার দোয়া, মৃত ব্যক্তির গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃত মহিলা ব্যক্তির গোসলের নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,
মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম

মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া ফরজে কিফায়া। একদল এ কাজ আঞ্জাম দিলে বাকী সবার থেকে বিধানটা লঘু হয়ে যাবে, কিন্তু কেউ যদি গোসল না দেয় তাহলে যারা এই বিষয়টি জানবে তারা সবাই গুনাহগার হবে। যদি কেউ লা-ওয়ারিস হয় তাহলে তাকে গোসলের দায়িত্ব সমষ্টিভাবে সকল মুসলমানের। একবার গোসল দেয়ার দ্বারা এই দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে বাকী গোসলের সময় প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার করে ধোয়া সুন্নত। (বাদায়ে উসসানায়ে ২/২২৪, আল বাহরুক রায়েক ২/৩০৪, ফাতওয়ায়ে শামী – ৩/৯২)

পানিতে ডুবে মৃতকে গোসল দেয়া

এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যেসব লোক নদীতে পরে মারা যায় তাদের শরীর পাক সত্ত্বেও জীবিত ব্যক্তিদের থেকে গোসল দেয়ার হুকুমটা লঘু হবে না। এমনিভাবে বৃষ্টি যদি মৃত ব্যক্তিকে গোসল করায়ে দেয় তার পরও তাকে গোসল দিতে হবে। কেননা গোসল দেয়ার কাজটা জীবিত ব্যক্তিদের দ্বারা সম্পাদিত হয়নি, সুতরাং দ্বিতীয়বার গোসল না দিলেও এমতাবস্থায় ঐ মৃত্যুর জানাযা পড়া যাবে ঠিক, কিন্তু জীবিত ব্যক্তিরা গোনাহগার হবে। হ্যাঁ নদী থেকে উঠানোর সময় যদি- একবার অথবা দু’বার অথবা তিনবার গোসলের নিয়তে নেড়ে উঠায় তাহলে তাদের দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। (ফাতওয়ায়ে শামী ৩/৯২)

গোসল ব্যতীত জানাযা পড়া ও কবরে লাশ রাখা

গোসল ব্যতীত কোন মৃত ব্যক্তির উপর যদি জানাযার নামায পড়া হয়ে যায় তাহলে গোসল দিয়ে পুনরায় নামায পড়তে হবে। এমনিভাবে যদি গোসল ব্যতীত লাশ কবরে রেখে দেয়া হয় তাহলে মাটি দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়েও মৃত ব্যক্তিকে কবর থেকে উঠিয়ে গোসল ও জানাযা পড়ানের আবশ্যকীয়তা বাকী থাকবে। হ্যাঁ, যদি মাটি দ্বারা কবর ভরাট করে ফেলে তাহলে এখন আর লাশ উঠাবে না। গোসল দিয়ে-নিজেরা দায়মুক্ত হওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে। গোসল দেয়ার পর কাফন ও জানাযা নামায পড়ার পর মনে হলো যে গোসলের সময় একটি অঙ্গ ধোয়া হয়নি তাহলে ঐ অঙ্গটি ধুয়ে পুনরায় নামায পড়ে নিবে।

যাদেরকে গোসল দিতে হবে

নিম্ন বর্ণিত মৃত ব্যক্তিদেরকে গোসল দেয়া জীবিত ব্যক্তির জন্য আবশ্যক।
১. মুসলমান মৃতকে গোসল দিতে হবে : কোন মুসলমান মারা গেলে তাকে গোসল দিতে হবে, সুতরাং যদি কাফের মারা যায় তাহলে তাকে গোসল দেয়া মুসলমানদের জন্য জরুরী নয়। তবে যদি ঐ কাফেরের কোন নিকটতম মুসলমান আত্মীয় থাকে তাহলে সুন্নত পদ্ধতির অনুসরণ না করে কোন মতে পানি ঢেলে দিয়ে গোসল করাবে এবং কাপড় পেচায়ে দাফন করে রাখবে। তার লাশের সাথে এ ধরনের আচরণ করা জায়িয আছে। তবে এরকম করাটা ওয়াজিব নয়। লাশের বেশীর ভাগ পাওয়া গেলে গোসল দিতে হবে।

২. মৃত ব্যক্তির শরীরের অর্ধেক থেকে বেশি অংশ, যদিও মাথা ছাড়া হয় অথবা মাথাসহ অর্ধেক অংশ পাওয়া গেলে ঐ অংশকে গোসল দিতে হবে। সুতরাং যদি লাশের কম অংশ পাওয়া যায় অথবা শুধু মাথা পাওয়া যায় তাহলে গোসল দেয়া হবে না। (ফাতওয়ায়ে শামী – (৩/৯২) বাহার – (২/৩০৪) বাদায়ে – ( ২/২৯)

নবজাত শিশুর লাশকে গোসল দিতে হবে

৩. শরীরে গঠন প্রণালী পূর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের পূর্বে যেই সন্তান ভূমিষ্ট হয়। কিন্তু কোন আওয়াজ করেনি তার পরও তাকে গোসল দিতে হবে এবং নাম রাখতে হবে। আর যদি জীবিত হওয়ার আলামত পাওয়া যায় যেমন আওয়াজ করে এরপর মারা যায় তাহলে তো অবশ্যই গোসল দিতে হবে। আর যদি অবয়বই পূর্ণ না হয় তাহলে তাকে গোসল দিতে হবে না। তবে নাম রেখে কাপড়ে মুড়ে কোথাও গর্ত করে দাফন করে রাখবে। [আল বাহরুর রায়েক – (২/৩৩০) আহসানুল ফাতওয়ায়ে – (৪/২০৬), ফাতওয়ায়ে শামী (৩/১২৯-১৩০), বাদায়ে – (২/২৮)]

যাদেরকে গোসল দিতে হবে না

কোন কোন মৃত ব্যক্তি আছে যাদেরকে গোসল দেয়া হবে না। তাদের আবার দুটি শ্রেণী রয়েছে। এক শ্রেণীর লোক হলো, তাদের সম্মান মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদেরকে গোসল দেয়া হবে না। যেমন শহীদগণ, অর্থাৎ যারা আল্লাহর কালিমা, তার দ্বীনকে বুলন্দ করার জন্য শহীদ হয়েছেন। আর আরেক শ্রেণীর লোক রয়েছে যাদেরকে শাস্তি এবং লাঞ্ছনাস্বরূপ তাদেরকে গোসল দেয়া হবে না। যেমন রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তি মারা গেলে, এমনিভাবে ডাকাত- যে ডাকাতি করতে গিয়ে মারা গেছে তাকেও গোসল দেয়া হবে না। যাতে করে তার মৃতদেহের এই শাস্তি দেখে অন্য লোক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। [আলবাহরুর রায়েক (২/৩০৫) আদ দুররুল মুখতাব- (৩/১৬১) বাদায়ে – (২/২৯-৩৩)]

মুসলিম ও অমুসলিম কোন ঘটনায় একসাথে মারা গেলে করণীয়

কোন দুর্ঘটনায় (যেমন বাস এক্সিডেন্ট অথবা নৌকাডুবি ইত্যাদি) যদি মুসলমান এবং অমুসলমান এক সাথে মারা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে করণীয় হলো- আলামত দেখে মুসলমানদের লাশকে আলাদা করে ফেলবে। পরিচিত কেউ না থাকলে, খাতনা, দাড়ি, খেজাব এবং ক্ষৌরকরণের দ্বারা মুসলমান হওয়াটা নির্ণয় করবে, এবং মুসলমানদের নিয়ম মোতাবেক দাফন কাফন করবে। আর যদি কোন আলামতই পাওয়া না যায়, নির্ণয়ের কোন উপায় না থাকে এবং অমুসলিম হওয়ারও কোন আলামত না পাওয়া যায় তাহলে মুসলমানদের দেশ হিসেবে-সব লাশের সাথে মুসলমাদের রীতিনীতির আচরণ করা হবে।” [ফাতওয়ায়ে শামী – (৩/৯৩) আল বাহরুর রায়েক (২/৩০৫), বাদায়ে (২/৩১)]

গোসলদাতাদের বিবরণ

মৃত ব্যক্তিকে এমন ব্যক্তি গোসল দিতে পারবে যার জন্য জীবিত অবস্থায় তাকে দেখা জায়িয ছিল। সুতরাং পুরুষ মহিলাকে আর মহিলা পুরুষকে গোসল দিতে পারবে না। বিধায় সফর অবস্থায় যদি পুরুষদের কাফেলায় মহিলা মারা যায় আর সেখানে অন্য কোন মহিলা না থাকে তাহলে মহিলার মাহরাম পুরুষ তাকে তায়াম্মুম করায়ে দাফন কাফন করবে, আর যদি মাহরাম পুরুষও না থাকে তাহলে যে কোন পুরুষ নিজহাতে কাপড় পেচায়ে তায়াম্মুম দিয়ে দাফন কাফন করবে, অনুরূপ যদি মহিলাদের মাঝে পুরুষ মারা যায় আর তাকে গোসল দেয়ার মতো কোন পুরুষ না থাকে। [আল বাহরুর রায়েক (২/৩০৫), ফাতওয়ায়ে শামী – (৩/৯০), ফাতওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ (৫/২৪৮-২৪৯)]

তবে যদি এমন শিশু বাচ্চা মারা যায় যে এখনও সাবালক হয়নি তাই সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক, পুরুষ মহিলা যে কোন ব্যক্তি তাকে গোসল দিতে পারবে। [আল বাহরুর রায়েক (২/৩০৬)]

মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে দেখা

মৃত্যুর পর স্ত্রী স্বামীকে দেখা ও স্বামী স্ত্রীকে দেখা জায়েজ। আমাদের সমাজে মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে না দেখার যে প্রচলন রয়েছে তা আদৌ ঠিক নয়। তবে স্বামী স্ত্রীকে স্পর্শ করতে পারবে না; কিন্তু স্ত্রী স্বামীকে স্পর্শ করতে ও গোল দিতে পারবে। যেমন-হযরত আবূ বকর (রাঃ) -কে তাঁর স্ত্রী গোসল দিয়েছেন । স্ত্রীর ইন্তেকালের পর তার গোসল দেওয়ার জন্য যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায়, তাহলে শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে স্বামী হাতে কাপড় লাগিয়ে স্বীয় স্ত্রীর গোসল করাতে পারে। তা ছাড়া স্ত্রীকে কাফন পরানোর পর খাট বহন করা, কবরে নামানো ইত্যাদি সকল কাজ স্বামী করতে পারবে। আর স্বামীর ইন্তেকালের পর স্ত্রী সর্বাবস্থায় স্বামীর গোসলসহ অন্যান্য কাজ সমাধা করতে পারবে।

স্বামী স্ত্রী পরস্পর এক অপরকে গোসল দেওয়া

স্ত্রী মারা গেলে স্বামী স্ত্রীকে গোসল দিতে পারবে না। স্ত্রীকে গোসল দেওয়া বা আবরণ ব্যতীত স্পর্শ করা স্বামীর জন্য জায়েজ নেই। তবে যদি স্বামী মারা যায়, তাহলে স্বামীকে গোসল দেওয়া স্ত্রীর জন্য জায়েজ। [ফাতাওয়ায়ে শামী – (৩/৯০), আল বাহরুর রায়েক (২/৩০৬),]

গোসলদাতা নির্বাচন করা

গোসলদাতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মোস্তাহাব হলো, মৃতব্যক্তির নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে নির্বাচন করা, তাদের কেউ যদি গোসল দিতে না পারে তাহলে মুক্তকী পরহেজগার-নেককার লোক দিয়ে গোসলের কাজ আঞ্জাম দেওয়া ভাল। গোসল দানকারীর জন্য গোসল দেওয়ার পূর্বে নিজে অজু গোসল করে নেওয়া জরুরি নয় এমনকি নাপাক অবস্থায়ও যদি কোনো ব্যক্তি মৃতকে গোসল দেয় তাহলেও গোসল বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে আগে নিজে পাক হয়ে নেওয়া ভাল।

গোসলের পদ্ধতি

মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম : মৃত্যুর পর একখানা চৌকি বা গোসলের খাটিয়ার চতুর্দিকে তিনবার অথবা পাঁচবার অথবা সাতবার, লোবান অথবা আগরবাতি জ্বালিয়ে মোর্দাকে উহার উপর শোয়াবে। পূর্ব- পশ্চিম বা উত্তর দক্ষিণ করে শোয়ানো কোনোটাই আবশ্যক নয় যেভাবে সম্ভব এবং সহজ হয় সে দিকে করে শোয়াবে। পরিহিত সব কাপড় খুলে একটি চাদর দ্বারা ঢেকে রাখবে এরপর গোসলদাতা নিজ হাতে কাপড় পেচিয়ে পেশাব পায়খানার জায়গাগুলো পরিষ্কার, করবে, (এ কাজটি না করলেও কোনো অসুবিধা নাই) অতঃপর অজু করাবে। অজু করানের নিয়ম হলোঃ

সর্বপ্রথম সমুদ্বয় মুখমন্ডল, পরে কনুই পর্যন্ত দু’হাত, তারপর মাথা মাসেহ অবশেষে দু’পা ধোয়াবে। হাত পা ধোয়ার ক্ষেত্রে আগে ডান পরে বামটা ধোয়াবে। অজুর সময় নাকে ও মুখে পানি দেওয়ার দরকার নেই। তুলা বা নরম কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের মাড়ি এবং নাকের ভেতর মুছে দিতে হবে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি গোসল ফরজ অবস্থায় অথবা হায়িয নেফাজ অবস্থায় মারা যায় তাহলে ভিজা কাপড় দ্বারা নাকের ও মুখের দাঁতগুলো মুছে দেওয়া আবশ্যক। গোসলের সময় নাকে মুখে যাতে পানি না যায় সে জন্য আগেই কাপড়ের টুকরা দিয়ে নাক কান বন্ধ করে নিবে।

এরপর মৃত ব্যক্তির মাথা সাবান, খইল অথবা অন্য কোনো জিনিস দ্বারা ধোয়ে পরিস্কার করবে। (যদি মাথায় চুল থাকে অন্যথায় নয়) অতঃপর লাশকে বাম কাত করে শোয়ায়ে বরই পাতা দিয়ে হালকা গরম করা পানি মাথা থেকে পা পর্যন্ত এমনভাবে তিনবার ঢালবে যেন বাম কাত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অনুরূপভাবে ডান কাত করে তিনবার পানি ঢালবে। অতঃপর গোসলদাতা নিজের শরীরের সাথে টেক লাগিয়ে মৃত ব্যক্তিকে বসিয়ে আস্তে আস্তে পেটে চাপ দিবে। যাতে পেটের ময়লা বের হয়ে যায়। এভাবে চাপ দেওয়ার পর যদি কোনো ময়লা বের হয় তাহলে মোছার পর ধুয়ে দিবে। এ কারণে পুনরায় অজু ও গোলস করাতে হবে না।

এরপর বাম কাতে শোয়ায়ে আবার পুরো শরীরে পানি ঢেলে দিবে, এই মোট তিনবার গোসল দেওয়া সুন্নত, তবে প্রত্যেকবার আবার তিনবার করে পানি ঢালবে, অতঃপর শুকনো ও পাক কাপড় দিয়ে শরীর মোছে কাফন পড়াবে। [আল বাহরুর রায়েক- (২/৩০৬), বাদয়ে- (২/৩৩), ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম (৫/২৫০), ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া- (২/৩৯৩)]

বরইপাতা না পাওয়া গেলে

যদি কোথাও বরই পাতা পাওয়া না যায় তাহলে শুধু পানিই হালকা গরম করে। গোসল দিবে। [ফাতাওয়ায়ে শামী – (৩/৮৭)]

সুগন্ধি ব্যবহার করা

গোসলের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কাফনের কাপড়ে রাখার সময় মৃত মহিলাদের মাথায় এবং পুরুষের মাথায় ও দাড়িতে আতর, আর কপালে, নাকে, উভয় হাতের তালুতে, উভয় হাঁটুতে এবং উভয় পায়ে অর্থাৎ সেজদার সকল অঙ্গগুলোতে কর্পূর লাগিয়ে দিবে এভাবে লাগিয়ে দেওয়া মোস্তাহাব। অনেক অজ্ঞতাবশত কাফনে আতর লাগায় আবার কেউ তুলায় আতর দিয়ে কানে দেয়, এমনটি করা ঠিক নয় । [ফাতাওয়ায়ে শামী- (৩/৮৪), আল বাহরুর রায়েক – (২/৩০১-৩০৩)]

চুল দাড়ি চিরুনী করা নিষেধ

মৃত ব্যক্তির চুল-দাড়ি চিরনী করা জায়িয নেই। এমননিভাবে নখ ও চুল কাটা এবং খাত্না করানো কোনটাই জায়িয নেই। হ্যাঁ মৃত্যুর পর কোন অঘঠনে যদি নখ ভেঙ্গে যায় তাহলে ঐ নখটা কাফনের মধ্যে দিয়ে দিবে। ত ব্যক্তির হাত পায়ে নীল পালিশ থাকলে যদি কোন মহিলা হাত পায়ের আঙ্গুলে নীল পালিশ লাগায় এবং ঐ অবস্থায় মারা যায় তাহলে তাকে গোসল দেয়ার সময় ঐ নীল পালিশ উঠাতে হবে, অন্যথায় গোসল সুদ্ধ হবে না। ফলে নামাযও সহীহ হবে না, গোসল দেয়ার পর যদি বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে নীলপালিশ উঠায়ে শুধু আঙ্গুলগুলো ধুয়ে নিলেই যথেষ্ট হবে- পুনরায় গোসল দোহরাইতে হবে না। [আহসানুল ফাতওয়া- (৪/২২৭)]

উল্লেখ যে নীলপালিশের ভেতরে পানি যায়না অতএব এসব ব্যবহার করা জায়িয নেই। কেননা এ কারনে অযু গোসল হবে না।

মৃত ব্যক্তির বাধানো দাঁত মুখেই থাকবে

যদি কোন ব্যক্তি দাঁত বাধায়ে থাকে এবং মূল্যবান বস্তু যেমন স্বর্ণদ্বারা দাঁত বাধাই করে এমতাবস্থায় যদি সে মারা যায় তাহলে সহজে বের করা গেলে বের করবে, আর যদি বের করতে অনেক কষ্ট হয়, মৃত ব্যক্তির সম্মানের হানি হয় তাহলে যতমূল্যবানই হোকনা কেন ঐ দাঁত সহ-ই তাকে দাফন করা হবে। কেননা সম্পদের সম্মান ও মূল্য থেকে মুসলমান ব্যক্তির সম্মানের মূল্য অনেক বেশী।

পানি গরম করার পাতিল

মৃত ব্যক্তিকে গোসলের জন্য যেই পানি গরম করা হয় তার জন্য কোন পাতিল নির্দিষ্ট বা নতুন পাতিল হওয়া জরুরী নয়। যে কোন পাতিল দিয়ে গরম করলেই হবে । এমনিভাবে যে কোন লাকড়ী বা গ্যাস ইত্যাদির আগুন দ্বারা গরম করা হবে। নির্দিষ্ট বিশেষ ধরনের লাকড়ি দ্বারা গরম করা জরুরী নয়। কোথাও এ ধরনের প্রথা থাকলে তা বর্জন করবে।

গোসল ও কাফনের পর যদি পায়খানা হয়

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর কাপড় পরিয়ে লাশ নিয়ে চলার সময় যদি পায়খানা বের হয় তাহলে শরীরের যেই অঙ্গে এবং কাপড়ের যতটুকুতে নাপাকী লেগেছে শুধু ততটুকু পাক করে দিলেই যথেষ্ট হবে- পুনরায় গোসল ও কাফন দেয়া জরুরী নয।

আরো পড়ুন :

মৃত ব্যক্তিকে কাফন দেওয়ার বিধান

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ট্যাগ সমূহ : মৃত কে গোসল,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,ইসলামে গোসল করার নিয়ম, মৃত ব্যক্তিকে গোসল করার নিয়ম, মৃত্যুর গোসল, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার দোয়া, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার ফজিলত, মুর্দাকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,লাশ গোসল দেওয়ার নিয়ম,লাশ গোসলের নিয়ম, মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,লাশের গোসলের নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম, মৃত্যু ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার নিয়ম,মৃত মানুষের গোসলের নিয়ম,মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর নিয়ম,মহিলা মৃত ব্যক্তির গোসলের নিয়ম, মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃত ব্যক্তিকে গোসল করার নিয়ম, মুর্দাকে গোসল দেওয়ার নিয়ম, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার দোয়া, মৃত ব্যক্তির গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃত মহিলা ব্যক্তির গোসলের নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,মৃতকে গোসল দেওয়ার নিয়ম,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top