কসর নামাজের নিয়ম ও কসর নামাজের বিধান

কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজের নিয়ত,কসর নামাজের বিধান,কসর নামাজ,কসর নামাজের বাংলা নিয়ত,কসর নামাজের আরবি নিয়ত,কসর নামাজ কতদিন,কসর নামাজের দূরত্ব,কসর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত,ফজরের কসর নামাজের নিয়ম,মাগরিবের কসর নামাজের নিয়ম,মাগরিবের কসর নামাজ কত রাকাত, কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজের বিধান,কসর নামাজের নিয়ত,কসর নামাজের আরবি নিয়ত,কসর নামাজ কত রাকাত,কসর নামাজের দূরত্ব,কসর নামাজ কি বাধ্যতামূলক,কসর নামাজের হাদিস,কসর নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয়,কসর নামাযের হুকুম,মাগরিবের কসর নামাজ কত রাকাত,যোহরের কসর নামাজের নিয়ত,এশার কসর নামাজের নিয়ম,ফজরের কসর নামাজ কত রাকাত,কসর নামাজ পড়ার নিয়ম,মেয়েদের কসর নামাজ,কসর নামাজ সম্পর্কে,কসর নামাজের সুন্নত,এশার কসর নামাজের নিয়ত,হাদিস কসর নামাজের মাসআলা,কসর নামাজ কত রাকাত,যোহরের কসর নামাজ কত রাকাত,যোহরের কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজ কতদিন পড়তে হয়,কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজ আদায়ের নিয়ম ও নিয়তকসর নামাজ কাজা পড়ার নিয়ম,কসর নামাজ কখন পড়তে হয়,কখন কসর নামাজ পড়তে হয়,কসর নামাজের নিয়ত,মহিলাদের কসর নামাজ,,কসর নামাজের শর্ত,কসর নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয়,কসর নামাজ কাকে বলে,কসর নামাজ কি,
কসর নামাজের নিয়ম

কসর নামাজের নিয়ম

শরীয়ত মুসাফিরকে সফরে নামায সংক্ষিপ্ত করার সুযোগ দিয়েছে । অর্থাৎ যেসব নামায চার রাকায়াতের তা দু’রাকায়াত পড়বে । আল্লাহ বলেন- وإذا ضربتم في الأرض فليس عليكم جناح أن تقصروا من الصلوة
“যখন তোমরা যমীনে ভ্রমণ করতে বেরুবে, তখন নামায সংক্ষিপ্ত করলে কোনো দোষ নেই” (নিসা: ১০১)। নবী (সা.) এরশাদ করেছেন- এটি একটি সদকা যা আল্লাহ তোমাদেরকে দান করেছেন, এ সদকা তোমরা গ্রহণ কর । -(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী প্রভৃতি)।

কসর নামাজের বিধান

আপন বস্তি বা জনপদ থেকে বের হওয়ার পর মুসাফিরের জন্য নামায কসর পড়া ওয়াজিব । পুরা নামায পড়লে গুনাহগার হবে । (ইলমুল ফেকাহ, ২য় খ- পৃঃ ১৩০, দুররে মুখতার প্রভৃতি)
হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর রাদিয়ার বলেন, আমি নবী, আবু বকর ওমর শাহ এবং ওসমান হাবিক-এর সাথে সফর করেছি। আমি কখনো দেখিনি যে, তাঁরা দু’রাকায়াতের বেশী ফরয নামায পড়েছেন । -(বুখারী, মুসলিম)।

কসর শুধু ঐসব নামাযে যা চার রাকায়াত ফরয। যেমন যোহর, আসর ও এশা । যার মধ্যে দুই বা তিন রাকায়াত ফরয, তাতে কোনো কম করা যাবে না । ফজরের দুই এবং মাগরিবে তিন রাকায়াতই পড়তে হবে ।

সফরে সুন্নাত এবং নফলের হুকুম

সফরে ফজর নামাযের সুন্নাত ত্যাগ করা ঠিক নয়। মাগরিবের সুন্নাতও পড়া উচিত, বাকী ওয়াক্তের সুন্নাতগুলো সম্পর্কে না পড়ার এখতিয়ার আছে । তবে সফর চলতে থাকলে শুধু ফরয পড়া ভালো এবং সুন্নাত ছেড়ে দেবে। সফরের মধ্যে কোথাও কোথাও অবস্থান করলে পড়ে নেবে। বিতর পুরা পড়তে হবে কারণ তা ওয়াজিব । সুন্নাত, নফল ও বিরের নামাযের কসর নেই। বাড়ীতে যত রাকায়াত, সফরেও তত রাকায়াত পড়তে হবে।

কসর নামাজের দূরত্ব

যদি কেউ তার বাড়ী থেকে এমন স্থানে সফর করার জন্য বের হয় যা তার বাড়ী বা বস্তি থেকে তিন দিনের দূরত্ব হয়, তাহলে তার কসর করা ওয়াজিব । তিন দিনের দূরত্ব আনুমানিক ছত্রিশ মাইল । যদি কেউ মধ্যম গতিতে দৈনিক পায়ে হেঁটে চলে তাহলে ছত্রিশ মাইলের বেশী যেতে পারবে না। সে জন্য যদি কেউ অন্তত ছত্রিশ মাইল সফর করার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয় তা সে পায়ে হেঁটে তিন দিনে সেখানে পৌছুক অথবা দ্রুতগামী যানবাহনে কয়েক ঘন্টায় পৌছুক সকল অবস্থায় তাকে নামায কসর পড়তে হবে।

আল্লামা মওদূদী (র.)-এর যে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার দ্বারা এ সত্যের প্রতি আলোকপাত করা হয় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে সফর কাকে বলে । কোনো এক ব্যক্তি আল্লামাকে প্রশ্ন করেছিলেন- ইংরেজী মাইলের হিসাবে কত দীর্ঘ সফরে কসর নামায ওয়াজিব হবে? তার উত্তরে আল্লামা মওদূদী (রহ.) বলেন, এ বিষয়ে ফকীহগণ বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন । কসর নামাযের জন্য কমপক্ষে নয় মাইল এবং ঊর্ধে ৪৮ মাইল সফরের নেসাব নির্ণয় করা হয়েছে।

মতভেদের কারণ এই যে, নবী আলাইহি-এর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট উক্তি বর্ণিত নেই । সুস্পষ্ট উক্তির অবর্তমানে যেসব দলীলের ভিত্তিতে এস্তেম্বাত করা হয়েছে অর্থাৎ একটা বিশেষ বিন্দু অতিক্রম করলেই সফরের হুকুম লাগাতে হবে, কসরের জন্য এ ধরনের দূরত্ব নির্ধারণ শরীয়ত প্রণেতার অভিলাষ নয়। শরীয়ত প্রণেতা, সফর বলতে কি বুঝায় তা সাধারণভাবে প্রচলিত রীতিনীতির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন এবং প্রত্যেক ব্যক্তি এটা সহজে বুঝতে পারে যে, কখন সে সফরে এবং কখন নয় ।

এটা ঠিক যে, যখন শহর থেকে গ্রামের দিকে আনন্দ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি অথবা গ্রাম থেকে শহরে বেচা কেনার জন্য যাই, তখন আমাদের মধ্যে মুসাফির হওয়ার অনুভূতি কখনো হয় না । পক্ষান্তরে প্রকৃতপক্ষেই যখন আমাদের সফর করতে হয় তখন স্বয়ং সফরের অবস্থা অনুভব করি । এ অনুভূতি অনুযায়ী কসর অথবা পুরা নামায পড়া যেতে পারে। খুব ভালো করে বুঝে নিতে হবে যে, শরীয়তের ব্যাপারে সে ব্যক্তির মনের ফতোয়াই নির্ভরযোগ্য যে শরীয়ত মেনে চলার ইচ্ছা করে, বাহানা খুঁজে বেড়ায় না- (রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খণ্ড পৃঃ ১৬৭)।

কসর শুরু করার স্থান

সফরে রওয়ানা হওয়ার পর মুসাফির যতোক্ষণ তার অধিবাসের ভেতরে থাকে, ততোক্ষণ পুরা নামায পড়বে। অধিবাস বা বস্তির বাইরে চলে গেলে কসর পড়বে। বস্তির ষ্টেশন যদি তার বাসস্থানের ভেতর হয় তাহলে কসর পড়বে না, পুরা নামায পড়বে। আর যদি বাইরে হয় তাহলে কসর পড়বে।

কসরের মুদ্দৎ

মুসাফির যতোদিন তার ‘ওয়াতনে আসলীতে’ (পরিভাষা দেখুন) ফিরে না আসবে ততোদিন কসর পড়তে থাকবে । সফরকালে কোথাও যদি পনেরো দিন বা তার বেশী সময় অবস্থানের ইচ্ছা করে তাহলে সে স্থান তার ‘ওয়াতনে একামত’ (পরিভাষা দেখুন) বলে বিবেচিত হবে। ‘ওয়াতনে একামতে’ পুরা নামায পড়তে হবে । যদিও পনেরো দিন থাকার নিয়ত করার পর তার কম সময় সেখানে অবস্থান করে । আর কোনো স্থানে পনেরো দিনের কম থাকার ইচ্ছা কিন্তু কোনো কারণে সেখানে বার বার আটকে পড়ছে অর্থাৎ যাবে যাবে করেও কয়েক মাস অতীত হয় তবুও সে স্থান ‘ওয়াতনে একামত’ বলে বিবেচিত হবে না এবং সেখানে কসরই পড়তে হবে।

কসরের বিভিন্ন মাসয়ালা

১. কসর নামাজ কত রাকাত : যদি সফরকালে ভুলে কেউ চার রাকায়াত নামায পড়ে ফেলে এমনভাবে যে, দ্বিতীয় রাকায়াতে বসে ‘আত্তাহিয়্যাতু’ পড়েছে, তাহলে সাহু সিজদা করে নেবে । এ অবস্থায় দু’রাকায়াত ফরয এবং দু’রাকায়াত নফল হবে । এ নামায দুরস্ত হবে। কিন্তু যদি দ্বিতীয় রাকায়াতে বসে ‘আত্তাহিয়্যাতু’ না পড়ে থাকে তাহলে এ চার রাকায়াত নফল হবে। কসর নামায পুনরায় আদায় করতে হবে।

২. সফরকালে যদি কয়েক স্থানে অবস্থান করার ইচ্ছা থাকে— কোথাও পাঁচ দিন, কোথাও দশ দিন, কোথাও বার দিন, কোথাও পনেরো দিন থাকার ইচ্ছা নেই— তাহলে পুরা সফরে কসর পড়তে হবে।

৩. বিয়ের পর কোনো মহিলা যদি স্থায়ীভাবে শ্বশুর বাড়ী থাকা শুরু করে, তাহলে তার ‘ওয়াতনে আসলী’ তখন ঐ স্থান হবে যেখানে সে তার স্বামীর সাথে থাকবে । এখন যদি সে এখান থেকে বাপের বাড়ী বেড়াতে যায় এবং শ্বশুর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ির দূরত্ব যদি ৩৬ মাইল হয় তাহলে বাপের বাড়ীতে কসর পড়তে হবে। তবে হাঁ যদি শ্বশুর বাড়ী কয়েকদিনের জন্য যায় এবং বাপের বাড়ী স্থায়ীভাবে থাকার ইচ্ছা হয় তাহলে বিয়ের আগে যেটা ‘ওয়াতনে আসলী’ ছিল, সেটাই তার ওয়াতনে আসলী থাকবে।

৪. কোনো মহিলা যদি তার স্বামীর সাথে অথবা কোনো কর্মচারী তার মালিকের সাথে অথবা কোনো পুত্র তার পিতার সাথে সফর করে, অর্থাৎ সফরকারী যদি এমন কোনো ব্যক্তি হয় যে, অপরের অধীন এবং অনুগত, তাহলে এ অধীন ব্যক্তির ইচ্ছা বা নিয়ত মূল্যহীন হবে। এ অবস্থায় সে মহিলা অথবা কর্মচারী অথবা পুত্র যদি পনেরো দিন থাকার নিয়তও করে তথাপি সে মুকীম হতে পারবে না, যদি তার স্বামী অথবা মুনিব অথবা পিতা ১৫ দিনের নিয়ত না করে।

৫. মুকীম মুসাফিরের পিছনে নামায পড়তে পারে। মুসাফির ইমামের উচিত হবে ঘোষণা করে দেয়া যাতে করে ইমাম দু’রাকায়াত পড়ে সালাম ফিরালে মুকীম মুক্তাদী যেন উঠে বাকী দু’রাকায়াত পুরা করতে পারে ।

৬. মুসাফিরের জন্য মুকীম ইমামের পেছনে নামায পড়া দুরস্ত আছে। এ অবস্থায় ইমামের অনুসরণে চার রাকায়াত ফরযই পড়বে, কসর করবে না।

৭. যদি কেউ কোথাও অবস্থান সম্পর্কে কিছু ঠিক করেনি অথবা ১৫ দিনের কম নিয়ত করেছে কিন্তু নামাযের মধ্যে ১৫ দিনের বেশী থাকার নিয়ত করলো, তাহলে সে ব্যক্তি নামায পুরা পড়বে, কসর করবে না।

৮. সফরে যেসব নামায কাযা হবে বাড়ী ফেরার পর তা কসর কাযা পড়বে। ঠিক তেমনি বাড়ী থাকাকালীন কিছু নামায কাযা হলো এবং হঠাৎ সফরে যেতে হলো, তাহলে সফরে কাযা পুরাই পড়তে হবে কসর পড়বেনা।

সফরে একত্রে দু’নামায

হজ্জের সফরের মধ্যে ‘জময়ো বাইনাস সালাতাঈন’ অর্থাৎ দু’ওয়াক্ত নামায একত্রে পড়া মাসনূন। ৯ই যিলহজ্জ আরাফাতের ময়দানে যোহর ও আসরের নামায যোহরের ওয়াক্তে একত্রে পড়া হয় । আযান একবার দেয়া হয় এবং ইকামত উভয় নামাযের জন্য পৃথক পৃথক দেয়া হয়। যেহেতু আসরের নামায নির্দিষ্ট সময়ের আগে পড়া হয় সে জন্য মানুষকে জানিয়ে দেয়ার জন্য ইকামত পৃথকভাবে দেয়া হয়। তারপর সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুযদালিফার দিকে হাজীগণ রওয়ানা হন এবং মুযদালিফায় পৌঁছে মাগরিব এবং এশার নামায একত্রে পড়েন । কেউ যদি মুযদালিফার পথে মাগরিব পড়েন তাহলে তা দুরস্ত হবে না, তা পুনরায় পড়তে হবে।

হজ্জের সফর ব্যতীত অন্য কোনো সফরে একত্রে দু’নামায জায়েয নয়। অবশ্য ‘জময়ে’ সূরী’ (পরিভাষা দেখুন) জায়েয। জময়ে সূরী অর্থ এই যে, প্রথম নামায বিলম্ব করে শেষ ওয়াক্তে পড়া এবং দ্বিতীয় নামায প্রথম ওয়াক্তে পড়া। এভাবে প্রকাশ্যত এটাই মনে হবে যে, দু’নামায একত্রে পড়া হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দু’টি নামায তাদের আপন আপন ওয়াক্তেই পড়া হচ্ছে।

আহলে হাদীসের নিকটে প্রত্যেক সফরে একত্রে দু’নামায জায়েয। শুধু জময়ে সূরীই জায়েয নয়, বরঞ্চ ‘জময়ে’ হাকীকিও’। জময়ে হাকীকির অর্থ এই যে, দু’ওয়াক্তের নামায একসাথে একই ওয়াক্তে পড়া। তার দু’টি উপায় :-

প্রথমত এই যে, দ্বিতীয় নামাযের সময় হওয়ার পূর্বেই প্রথম নামাযের ওয়াক্তে এক সাথে পড়ে নেয়া। যেমন- বেলা গড়ার পর যোহরের ওয়াক্তে যোহরের নামাযের সাথে আসরের নামায পড়া। একে জময়ে তাকদীম বলে ।

দ্বিতীয়ত এই যে, প্রথম নামায বিলম্ব করে দ্বিতীয় নামাযের ওয়াক্তে দুই নামায একত্রে পড়া। যেমন, যোহরের নামায বিলম্ব করে আসরের ওয়াক্তে যোহর এবং আসরের নামায একত্রে পড়া। একে জময়ে তা’খীর বলে । আহলে হাদীসের মতে জময়ে’ সূরী, জময়ে তাকদীম এবং জময়ে তা’বীর তিনটিই জায়েয। প্রয়োজন অনুসারে মুসাফিরের যাতে সুবিধা হয়, তার ওপর আমল করবে। সফর চলা কালেও তা করা যেতে পারে এবং কোথাও অবস্থানকালেও করা যেতে পারে। এ সবই সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত আছে ।

হযরত ইবনে আব্বাস বলেন, নবী সফরকালে ঘরে থাকতেই যদি বেলা গড়ে যেতো তাহলে প্রথমে তিনি যোহর এবং আসরের নামায একত্রে পড়ে রওয়ানা হতেন। আর যদি ঘরে থাকতে বেলা না গড়াতো তাহলে তিনি যাত্রা শুরু করতেন এবং যখন আসরের ওয়াক্ত হতো তখন যোহর এবং আসর একত্রে পড়তেন। ঠিক এমনি রওয়ানা হওয়ার পূর্বে যদি ঘরে থাকতেই বেলা ডুবে যেতো তাহলে তিনি মাগরিব এবং এশা একত্রে পড়ে রওয়ানা হতেন। আর যদি ঘরে থাকতে বেলা নাডুবতো তাহলে তিনি বেরিয়ে পড়তেন এবং যখন এশার সময় হতো তখন সওয়ারী থেকে নেমে মাগরিবএবং এশা পড়তেন । -(মুসনাদে আহমদ)।

হযরত মাআয বিন জাবাল সহ তাবুকের একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, নবীতাবুক অভিযানকালে সূর্য গড়ার পূর্বে যাত্রা শুরু করতে চাইলে যোহর নামায বিলম্বিত করে আসরেরসাথে একত্রে পড়তেন। আর যদি বেলা গড়ার পর রওয়ানা হতেন তাহলে যোহরের ওয়াক্তে যোহর এবং আসর নামায একত্রে পড়তেন এবং তারপর যাত্রা শুরু করতেন। সূর্য ডোবার আগে রওয়ানা হলে মাগরিব নামায বিলম্বিত করে এশার নামাযের সাথে পড়তেন। বেলা ডোবার পরে রওনা হলে এশারনামায মাগরিব নামাযের সাথে মিলিয়ে পড়তেন। -(তিরমিযী)।

আরো পড়ুন :

কাযা নামাজ কাকে বলে

কাযা নামাযের হুকুম

কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম

জুমার নামাজের ফজিলত

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

জুমার নামাজের ইতিহাস

সাহু সিজদা কি

সাহু সিজদার নিয়ম

সাহু সিজদা কখন দিতে হয়

সাহু সিজদার মাসয়ালা

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ট্যাগ সমূহ : কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজের নিয়ত,কসর নামাজের বিধান,কসর নামাজ,কসর নামাজের বাংলা নিয়ত,কসর নামাজের আরবি নিয়ত,কসর নামাজ কতদিন,কসর নামাজের দূরত্ব,কসর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত,ফজরের কসর নামাজের নিয়ম,মাগরিবের কসর নামাজের নিয়ম,মাগরিবের কসর নামাজ কত রাকাত,
কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজের বিধান,কসর নামাজের নিয়ত,কসর নামাজের আরবি নিয়ত,কসর নামাজ কত রাকাত,কসর নামাজের দূরত্ব,কসর নামাজ কি বাধ্যতামূলক,কসর নামাজের হাদিস,কসর নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয়,কসর নামাযের হুকুম,মাগরিবের কসর নামাজ কত রাকাত,যোহরের কসর নামাজের নিয়ত,এশার কসর নামাজের নিয়ম,ফজরের কসর নামাজ কত রাকাত,কসর নামাজ পড়ার নিয়ম,মেয়েদের কসর নামাজ,কসর নামাজ সম্পর্কে,কসর নামাজের সুন্নত,এশার কসর নামাজের নিয়ত,হাদিস কসর নামাজের মাসআলা,কসর নামাজ কত রাকাত,যোহরের কসর নামাজ কত রাকাত,যোহরের কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজ কতদিন পড়তে হয়,কসর নামাজের নিয়ম,কসর নামাজ আদায়ের নিয়ম ও নিয়তকসর নামাজ কাজা পড়ার নিয়ম,কসর নামাজ কখন পড়তে হয়,কখন কসর নামাজ পড়তে হয়,কসর নামাজের নিয়ত,মহিলাদের কসর নামাজ,,কসর নামাজের শর্ত,কসর নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয়,কসর নামাজ কাকে বলে,কসর নামাজ কি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top