গ্রিন হাউজ প্রভাব কি? এর কৌশল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শীত প্রধান দেশে কৃত্রিম উপায়ে সবজি, ফুল ও ফল চাষের জন্য এক ধরনের কাচের ঘর তৈরি করা হয়। এসব ঘরের বেড়া ও ছাউনি সবই কাচ দ্বারা নির্মাণ করা হয়, যাতে ঘরের ভেতর সহজেই আলো প্রবেশ করতে পারে। আলো প্রবেশ করার ফলে ঘরের ভেতরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং তা কাচ ভেদ করে বাইরে যেতে পারে না। ফলে কাচের ঘরটি কৃত্রিমভাবে গরম থাকে এবং এর তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে অধিক থাকে। কাচের তৈরি এই ঘরকেই বলা হয় গ্রিন হাউজ।
বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরের ঘনত্ব সর্বাধিক। এখানে রয়েছে CO2 সহ কয়েকটি গ্যাসের এক বেষ্টনী। ঐ গ্যাসগুলোকে সমষ্টিগতভাবে গ্রিন হাউজ গ্যাস বলা হয়। এ গ্যাসগুলো কাচের দেয়ালের মতো বা কাচের ঘরের মতো কাজ করে। এজন্য ঘর ভেদ করে তাপ বাইরে যেতে পারে না। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা সর্বাধিক থাকে। গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলোর এই প্রভাবকেই গ্রিন হাউজ প্রভাব বলে।
গ্রিন হাউজ প্রভাবের কৌশল ব্যাখ্যা : সূর্যালোকের ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অর্থাৎ উচ্চ কম্পাঙ্কের বিকিরণমালা কাচের দেয়াল এবং ছাঁদ ভেল করে সহজেই ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের মেঝে, উদ্ভিদ এবং অন্যান্য সব কিছুকে উত্তপ্ত করে। উষ্ণ এসব জিনিস পরবর্তীতে তুলনামূলক উচ্চ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অর্থাৎ নিম্ন কম্পাঙ্কের বিকিরণ ছেড়ে দেয় যার বেশির ভাগ কাচ ভেদ করে বাইরে যেতে পারে না । ফলে কিছু তাপ ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে এবং বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে ভেতরের তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে। এ বাড়তি তাপের কারণেই অতি শীতল অঞ্চলেও গ্রিন হাউস চাষবাস করা হয়। নিচের চিত্রে একটি গ্রিন হাউজ কৌশল দেখানো হলো-
আরো পড়ুন: এসিড বৃষ্টি কি? ও এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা কর।