হজ্জের ফরজ কয়টি
মুসলিম উম্মাহর মাঝে ঐক্যের সেতুবন্ধন রচনায় হজ্জ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ্জ করা ফরয। আলোচ্য হাদীসে বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি মহানবী (স) ইসলামের অন্যতম রোকন হজ্জ ফরয হওয়ার ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেছেন। নিচে হজ্জের ফরয নিয়ে আলোচনা করা হলো-
আবু হানীফার অভিমত : ইমাম আযম আবু হানীফা (র)-এর মতে, হজ্জের ফরয তিনটি। যথা-
১. ইহরাম বাঁধা :
হজ্জ বা ওমরার নিয়তে হাজীগণের সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করে নির্দিষ্ট মিকাত অতিক্রম এবং তালবিয়া পাঠ করত; কতিপয় নিষিদ্ধ কার্যাবলি হতে বিরত থাকার নাম হলো ইহরাম। ইমাম শাফেয়ীর মতে, শুধু নিয়ত দ্বারাই ইহরাম হয়ে যায়। যেমন, মহান আল্লাহর বাণী- فَمَن قرضَ ابْهِنَّ الحَجَّ فَلَا رَفتَ وَلَا فَسُوقَ وَلا جدال في الحج .
২.আরাফায় অবস্থান :
যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখে সূর্য হেলে যাওয়ার পর থেকে (দশ) ১০ তারিখ সুবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মাঝে যে কোনো সময় কিছুক্ষণের জন্য আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা ফরজ।
৩. তাওয়াফে যেয়ারত :
জমরায়ে আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর কুরবানির দিনগুলোর যে কোনো একদিন মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা।
খ. শাফেয়ীর অভিমত :
ইমাম শাফেয়ী (র)-এর মতে, হর্জের ফরজ পাঁচটি। আহনাফের উল্লিখিত তিনটিসহ আরো দুটি হলো-
৪. মাথা মুজন বা চুল ছোট করা।
৫. হজ্জের ফরয আদায়ে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
গ. মালেক ও আহমদের অভিমত :
ইমাম মালেক ও আহমদ (র)-এর মতে, হজ্জের ফরয চারটি। আহনাফের উল্লিখিত তিনটি সহ আরো একটি সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সায়ী করা।
আরো পড়ুন :
হজ্জ কি প্রত্যেক বছর পালন করতে হবে
ট্যাগ সমূহ : হজ্জের ফরজ কয়টি,হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি,হজ্জের ফরজ,হজ্জের ফরজ কয়টি ও কি কি |