সামুদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস

সামুদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস, সামুদ জাতির নবী,সামুদ জাতির পরিচয়,সামুদ জাতির বাসস্থান,সামুদ জাতির নবী কে ছিলেন,আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা,সামুদ জাতির নিদর্শন কোথায় বিদ্যমান,সামুদ জাতির ইতিহাস,,সামুদ জাতি,সামুদ জাতির ঘটনা,সামুদ জাতি কিভাবে ধ্বংস হয়েছিল,সামুদ জাতি কারাসা,মুদ জাতি কার বংশধর ছিলেন,সামুদ জাতি কি,সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ,সামুদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস,আদ ও সামুদ জাতির ইতিহাস,সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ,সামুদ জাতির ইতিহাস,সামুদ জাতির নিদর্শন কোথায় বিদ্যমান,সামুদ জাতির ধ্বংসের কারণ,সামুদ জাতির প্রধান শহর ছিল,সামুদ জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস,সামুদ জাতির নবী,সামুদ জাতির পরিচয়,
সামুদ জাতির পরিচয়

সামুদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস

সামুদ জাতি ছিল হযরত নূহ (আ)-এর অধস্তন পুরুষ সামুদের বংশধর। সামুদের নামেই এ জাতির নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর পশ্চিম আরবের আল হাজার নামক স্থানে ছিল তাদের বসতি। তথায় এখনো তাদের ধ্বংসস্তূপের নিদর্শনাবলি বিদ্যমান রয়েছে। আজও আরবের ইতিহাসে সামুদ জাতি ধিকৃত হিসেবে স্বীকৃত। আলহাজর স্থানটিকে আরবের লোকজন অভিশপ্ত জায়গা বলে মনে করে থাকে। পাহাড় খোদাই করে তারা তাদের গৃহনির্মাণ করেছে। উক্ত নিদর্শনাবলি থেকে অনুমান করা যায়, এক কালে এটা লক্ষ লক্ষ লোকের কোলাহলে মুখরিত ছিল।

এরা শিরক ও মূর্তিপূজায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। এদেরকে হেদায়াত দানের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালা তাদের ভাই হযরত সালেহ (আ)-কে নবী করে দ্বীনের দাওয়াতের জন্য পাঠালেন। সালেহ (আ) তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু নেতৃস্থানীয় ও কায়েমী স্বার্থবাদীরা কোনোমতেই তাঁর প্রতি ঈমান আনল না। তারা হযরত সালেহ (আ)-এর নিকট মুজিযা তলব করল । তারা শলাপরামর্শ করল যে, কিভাবে সালেহ (আ)-কে জাতির সামনে হেয়প্রতিপন্ন করা যায়। তারা মতৈক্যে পৌছল, এমন আজগুবি প্রস্তাব তারা করবে, যা সালেহ (আ)-এর দ্বারা কিছুতেই বাস্তবায়ন সম্ভব না হয়।

অবশেষে তারা ভর্ৎসনাচ্ছলে হযরত সালেহ (আ)-কে একটি পাথর দেখিয়ে বলল, এটা হতে একটি উষ্ট্রী বের করতে পারলে তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে। হযরত সালেহ (আ) আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা জানানোর পর উক্ত প্রস্তর খণ্ড থেকে আল্লাহর হুকুমে একটি উষ্ট্রী বের হয়ে আসল। হযরত সালেহ (আ) তাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, এটি আল্লাহ প্রদত্ত উষ্ট্রী; কোনো অবস্থাতেই যেন তারা উক্ত উষ্ট্রীর সাথে দুর্ব্যবহার না করে । কেননা এর সাথে দুর্ব্যবহার করলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।

এ মুজিযা দেখে এক দিনেই চার হাজার লোক ঈমান আনল । কিন্তু পরবর্তীতে কায়েমী স্বার্থবাদী নেতাদের প্ররোচনায় তারা আবার মুরতাদ হয়ে গেল। তারা বলতে লাগল, কত প্রাণীই জবাই করেছি, তাতে কি আমরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছি? বরং সালেহ (আ)-এর উষ্ট্রী যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিনই আমাদের মূর্তিপূজা বাধাগ্রস্ত হবে।

তারা সালেহ (আ)-এর উষ্ট্রীকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে উদ্যত হলো। এক ভাড়াটিয়াকে এ কাজ সমাধা করার জন্য তারা নিযুক্ত করল । সে অত্যন্ত শোচনীয় ও নির্মমভাবে উষ্ট্রীটিকে হত্যা করল । আল্লাহ তায়ালা এ অবাধ্য সামুদ জাতিকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আল্লাহর আদেশে হযরত সালেহ (আ) তাঁর অনুসারীদেরকে তিনদিনের মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুমিনগণ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করলেন।

অপরদিকে সামুদ জাতিকে আল্লাহ তায়ালা নির্মমভাবে ধ্বংস করে দিলেন। তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল । এক শুক্রবারে তাদের সকলের চেহারা হলুদ বর্ণ, দ্বিতীয় শুক্রবারে লাল বর্ণ এবং তৃতীয় শুক্রবারে কালো বর্ণ হয়ে গেল । অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিবরাঈল (আ) এক বিকট ধ্বনি দিলেন, যাতে তারা সকলেই হৃৎপিণ্ড ফেটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল । আজও তাদের ধ্বংসস্তূপের নিদর্শন আমাদের জন্য এক শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আরো পড়ুন :

আদ জাতির ইতিহাস

ট্যাগ সমূহ : সামুদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস, সামুদ জাতির নবী,সামুদ জাতির পরিচয়,সামুদ জাতির বাসস্থান,সামুদ জাতির নবী কে ছিলেন,আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা,সামুদ জাতির নিদর্শন কোথায় বিদ্যমান,সামুদ জাতির ইতিহাস,,সামুদ জাতি,সামুদ জাতির ঘটনা,সামুদ জাতি কিভাবে ধ্বংস হয়েছিল,সামুদ জাতি কারাসা,মুদ জাতি কার বংশধর ছিলেন,সামুদ জাতি কি,সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ,সামুদ জাতির ধ্বংসের ইতিহাস,আদ ও সামুদ জাতির ইতিহাস,সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ,সামুদ জাতির ইতিহাস,সামুদ জাতির নিদর্শন কোথায় বিদ্যমান,সামুদ জাতির ধ্বংসের কারণ,সামুদ জাতির প্রধান শহর ছিল,সামুদ জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস,সামুদ জাতির নবী,সামুদ জাতির পরিচয়,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top