সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় ও করণীয়

সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় ও করণীয়

সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় ও করণীয়

সাপ তাড়ানোর কিছু উপায়

আজ আমরা সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় সম্পর্কে জানবো : বর্ষা মানেই শুধু ঠান্ডা হাওয়া, মৃদু বৃষ্টি আর প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, বরং সাপের উপদ্রবও বেড়ে যায়। ছাদের গাছের টবে, বাড়ির আনাচকানাচে লুকিয়ে থাকা সাপ আমাদের ঘরে ঢুকে বিপদের কারণ হতে পারে। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ ও সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় সম্পর্কে। আসুন বাড়িতে সাপের এমন উপদ্রব দেখা দিলে কী কী করণীয় ও সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় দেখে নেওয়া যাক।

প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ

সাপ তাড়ানোর কিছু উপায় এর জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো-

  • বাড়ি পরিষ্কার রাখুন: সাপ লুকানোর জন্য জঞ্জাল, লতাপাতা, এবং পাথুরে স্তুপ এড়িয়ে চলুন।
  • গর্ত বন্ধ করুন: দেয়াল, মেঝে এবং ভিত্তিতে থাকা ফাঁকফোকর বন্ধ করে দিন যাতে সাপ ঢুকতে না পারে।
  • জাল ব্যবহার করুন: দরজা, জানালা এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে জাল লাগান।
  • পোষা প্রাণীর খাবার সাবধানে রাখুন: খোলা খাবার বা পোষা প্রাণীর খাবার সাপকে আকর্ষণ করতে পারে।
  • সাপ ধরার পেশাদারদের সাথে যোগাযোগ করুন: যদি আপনার বাড়িতে বারবার সাপ দেখা যায়, তাহলে একজন পেশাদার সাপ ধরার ব্যক্তিকে ডেকে সাপ ধরিয়ে ফেলুন।

আরো পড়ুন : রাসেল ভাইপার সাপ সম্পর্কে খুটিনাটি ও বিস্ময়কর তথ্য

সাপ দেখা গেলে করণীয়

সাপ দেখা গেলে করণীয় নিচে দেওয়া হলো-

  • শান্ত থাকুন: হঠাৎ করে নড়াচড়া করবেন না বা চিৎকার করবেন না কারণ এতে সাপ আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
  • সাপ থেকে দূরে সরে যান: ধীরে ধীরে পিছনে হটে যান এবং সাপের সাথে সরাসরি চোখের যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।
  • সাপকে তাড়ানোর চেষ্টা করবেন না: কখনোই সাপকে লাঠি দিয়ে মারবেন না বা পাথর ছুঁড়ে মারবেন না কারণ এতে সাপ আক্রমণ করতে পারে।
  • একজন পেশাদারকে ডাকুন: যদি আপনি নিজে সাপটি মোকাবেলা করতে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে একজন পেশাদার সাপ ধরার ব্যক্তিকে ডেকে সাপ ধরিয়ে ফেলুন।

কিছু প্রাকৃতিক উপায়

  • কার্বলিক অ্যাসিড: সাপ কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। বাড়ির আশপাশে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিলে সাপ দূরে চলে যাবে।
  • সালফার: সালফারের গুঁড়োও সাপের জন্য অপ্রীতিকর। বাড়ির আশপাশে সালফারের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
  • রসুন: রসুনের গন্ধও সাপ সহ্য করে না। বাড়ির আশপাশে থেঁতো করা রসুন বা রসুনের রস ছড়িয়ে দিতে পারেন।
  • ন্যাপথালিন: ন্যাপথালিনের গুঁড়ো বাড়ির আশপাশে ছড়িয়ে দিলে সাপ দূরে চলে যায়।
  • ভিনিগার: জলা জায়গায় ভিনিগার ছড়িয়ে দিলে সাপ সেই জায়গা থেকে সরে যাবে।
  • লেবু ও গোল মরিচ: লেবুর রস এবং গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে বাড়ির আশপাশে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

নিচে এগুলোর ব্যবহার, সতর্কতা ও প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হরো-

কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে সাপ তাড়ানো

কার্বলিক অ্যাসিড সাপ তাড়ানোর জন্য একটি কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, এটি ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি কারণ এটি মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।

কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহারের পদ্ধতি:

  • মিশ্রণ তৈরি: 1 লিটার পানিতে 100 মিলি কার্বলিক অ্যাসিড মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
  • স্প্রে করা: মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ঘরের কোণ, ফাটল, এবং যেসব জায়গায় সাপের আনাগোনা হতে পারে সেখানে স্প্রে করুন।
  • জল ছিটিয়ে ধোয়া: মিশ্রণ স্প্রে করার 24 ঘন্টা পর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহারের সময় সতর্কতা:

  • গ্লাভস ও মাস্ক: কার্বলিক অ্যাসিড মিশ্রণ তৈরি এবং স্প্রে করার সময় গ্লাভস, মাস্ক এবং চশমা ব্যবহার করুন।
  • শ্বাস-প্রশ্বাসে সতর্কতা: কার্বলিক অ্যাসিডের তীব্র গন্ধ শ্বাস-প্রশ্বাসে নেবেন না।
  • শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখা: কার্বলিক অ্যাসিড মিশ্রণ শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখুন।
  • ত্বকে স্পর্শ করা এড়ানো: কার্বলিক অ্যাসিড মিশ্রণ ত্বকে স্পর্শ করলে তৎক্ষণাৎ পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • স্বাস্থ্য ঝুঁকি: কার্বলিক অ্যাসিড গিলে ফেললে অথবা তীব্রভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে নিলে তা মারাত্মক হতে পারে। সুতরাং, ঝুঁকি অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।

কার্বলিক অ্যাসিডের বিকল্প:

কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহারের ঝুঁকি এড়াতে আপনি চাইলে নিম্নলিখিত বিকল্প উপায়গুলো ব্যবহার করতে পারেন:

  • সাপ ধরার পেশাদার: যদি আপনার বাড়িতে বারবার সাপ দেখা যায়, তাহলে একজন পেশাদার সাপ ধরার ব্যক্তিকে ডেকে সাপ ধরিয়ে ফেলুন।
  • প্রাকৃতিক উপায়: রসুন, সালফার, ন্যাপথালিন, ভিনিগার, লেবু ও গোল মরিচ, পেঁয়াজের গন্ধ ব্যবহার করে সাপ তাড়াতে পারেন।

মনে রাখবেন: সাপ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সালফার ব্যবহার করে সাপ তাড়ানো

সালফার সাপ তাড়ানোর জন্য একটি কার্যকর উপায় হিসেবে কাজ করে। কারণ সাপ সালফারের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তবে, সালফার ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি কারণ এটি মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।

সালফার ব্যবহারের পদ্ধতি:

  • গুঁড়ো করা: বাজার থেকে সালফার কিনে এনে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন।
  • ছিটিয়ে দেওয়া: ঘরের কোণ, ফাটল, এবং যেসব জায়গায় সাপের আনাগোনা হতে পারে সেখানে সালফারের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন।
  • দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের জন্য: সালফারের গুঁড়োর সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে ছিটিয়ে দিলে সেটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।

সালফার ব্যবহারের সময় সতর্কতা:

  • গ্লাভস ও মাস্ক: সালফার গুঁড়ো করার সময় এবং ছিটিয়ে দেওয়ার সময় গ্লাভস, মাস্ক এবং চশমা ব্যবহার করুন।
  • শ্বাস-প্রশ্বাসে সতর্কতা: সালফারের ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসে নেবেন না।
  • শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখা: সালফারের গুঁড়ো শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখুন।
  • ত্বকে স্পর্শ করা এড়ানো: সালফারের গুঁড়ো ত্বকে স্পর্শ করলে তৎক্ষণাৎ পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • স্বাস্থ্য ঝুঁকি: সালফার গিলে ফেললে অথবা তীব্রভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে নিলে তা মারাত্মক হতে পারে। সুতরাং, ঝুঁকি অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।

সালফারের বিকল্প:

সালফার ব্যবহারের ঝুঁকি এড়াতে আপনি চাইলে নিম্নলিখিত বিকল্প উপায়গুলো ব্যবহার করতে পারেন:

  • সাপ ধরার পেশাদার: যদি আপনার বাড়িতে বারবার সাপ দেখা যায়, তাহলে একজন পেশাদার সাপ ধরার ব্যক্তিকে ডেকে সাপ ধরিয়ে ফেলুন।
  • প্রাকৃতিক উপায়: রসুন, কার্বলিক অ্যাসিড, ন্যাপথালিন, ভিনিগার, লেবু ও গোল মরিচ, পেঁয়াজের গন্ধ ব্যবহার করে সাপ তাড়াতে পারেন।

রসুন ব্যবহার করে সাপ তাড়ানো

রসুন সাপ তাড়ানোর জন্য একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ সাপ রসুনের তীব্র গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তবে, রসুন ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

রসুন ব্যবহারের পদ্ধতি:

  • রসুনের কোয়া: কয়েক কোয়া রসুন খোসা ছাড়াই থেঁতো করে নিন।
  • রসুনের রস: বেশ কিছু রসুনের কোয়া বেটে রস বের করে নিন।
  • স্থাপন: থেঁতো করা রসুনের কোয়া বা রসুনের রস ঘরের কোণ, ফাটল, এবং যেসব জায়গায় সাপের আনাগোনা হতে পারে সেখানে রাখুন।

রসুন ব্যবহারের সুবিধা:

  • প্রাকৃতিক: রসুন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
  • সহজলভ্য: রসুন সহজেই পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা সহজ।
  • কার্যকর: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রসুন সাপ তাড়াতে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

রসুন ব্যবহারের অসুবিধা:

  • গন্ধ: রসুনের তীব্র গন্ধ কিছু মানুষের জন্য অপ্রীতিকর হতে পারে।
  • স্থায়িত্ব: রসুনের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে, তাই নিয়মিত নতুন রসুন ব্যবহার করতে হতে পারে।

রসুনের বিকল্প:

রসুন ব্যবহারের অসুবিধা এড়াতে আপনি চাইলে নিম্নলিখিত বিকল্প উপায়গুলো ব্যবহার করতে পারেন:

  • সাপ ধরার পেশাদার: যদি আপনার বাড়িতে বারবার সাপ দেখা যায়, তাহলে একজন পেশাদার সাপ ধরার ব্যক্তিকে ডেকে সাপ ধরিয়ে ফেলুন।
  • অন্যান্য প্রাকৃতিক উপায়: কার্বলিক অ্যাসিড, সালফার, ন্যাপথালিন, ভিনিগার, লেবু ও গোল মরিচ, পেঁয়াজের গন্ধ ব্যবহার করে সাপ তাড়াতে পারেন।

ন্যাপথালিন ব্যবহার করে সাপ তাড়ানো

ন্যাপথালিন, যা ক্যাম্পোর নামেও পরিচিত, সাপ তাড়ানোর জন্য একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক উপায়। কারণ সাপ ন্যাপথালিনের তীব্র গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তবে, ন্যাপথালিন ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

ন্যাপথালিন ব্যবহারের পদ্ধতি:

  • ন্যাপথালিন বল: বাজার থেকে ন্যাপথালিনের বল কিনে এনে ঘরের কোণ, ফাটল, এবং যেসব জায়গায় সাপের আনাগোনা হতে পারে সেখানে রাখুন।
  • ন্যাপথালিন গুঁড়ো: ন্যাপথালিনের বল গুঁড়ো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিতে পারেন।

ন্যাপথালিন ব্যবহারের সুবিধা:

  • প্রাকৃতিক: ন্যাপথালিন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
  • সহজলভ্য: ন্যাপথালিন সহজেই পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা সহজ।
  • কার্যকর: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ন্যাপথালিন সাপ তাড়াতে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

ন্যাপথালিন ব্যবহারের অসুবিধা:

  • গন্ধ: ন্যাপথালিনের তীব্র গন্ধ কিছু মানুষের জন্য অপ্রীতিকর হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: ন্যাপথালিনের ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসে নিলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
  • শিশু ও পোষা প্রাণীর জন্য বিপজ্জনক: ন্যাপথালিন শিশু ও পোষা প্রাণীর জন্য বিষাক্ত হতে পারে, তাই তাদের নাগালের বাইরে রাখা জরুরি।

ভিনিগার দিয়ে সাপ তাড়ানোর উপায়

1. বাড়ির আশেপাশে ছিটিয়ে দিন:

  • সাদা ভিনিগার পানিতে মিশিয়ে বাড়ির চারপাশে, জানালার নীচে, দরজার সামনে এবং যেসব জায়গায় সাপ আসার সম্ভাবনা বেশি সেখানে ছিটিয়ে দিন।
  • ভিনিগারের তীব্র গন্ধ সাপকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

2. সাপের লুকিয়ে থাকার জায়গায় ব্যবহার করুন:

  • যদি আপনি জানেন যে সাপ কোথায় লুকিয়ে আছে, সেখানে ভেজা কাপড় ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখুন।
  • এতে সাপ সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাবে।

3. মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করুন:

  • ভিনিগার মশা তাড়াতেও কার্যকর।
  • মশা সাপের খাবার, তাই যদি আপনি মশা দূরে রাখতে পারেন, তাহলে সাপের আনাগোনাও কমবে।

4. সাবধানতা:

  • ভিনিগার সরাসরি সাপের চোখে বা ত্বকে লাগালে তা সাপের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • তাই সাবধানে ব্যবহার করুন।
  • যদি আপনার বাড়িতে ছোট বাচ্চা বা পোষা প্রাণী থাকে, তাহলে তাদের ভিনিগারের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না।

মনে রাখবেন:

  • ভিনিগার সাপ তাড়ানোর একটি অস্থায়ী সমাধান হতে পারে।
  • দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য, আপনার বাড়ি সাপ-প্রতিরোধী করে তুলতে হবে।
  • এর জন্য, বাড়ির ফাঁকফোঁক বন্ধ করে দিন, গুল্ম-ঝুলো পরিষ্কার রাখুন এবং খাবার খোলা রাখবেন না।

সাপ দেখা গেলে করণীয়:

  • যদি আপনি সাপ দেখতে পান, শান্ত থাকুন এবং দ্রুত সরে যান।
  • সাপকে কোণায় আটকে ফেলার চেষ্টা করবেন না বা তাকে মারার চেষ্টা করবেন না।
  • পরিবর্তে, একজন পেশাদার সাপ ধরার কাছে সাহায্যের জন্য ফোন করুন।

এখানে কিছু উপযোগী নম্বর দেওয়া হল:

প্রধান বন সংরক্ষকের অফিস:

  • ফোন: +৮৮-০২-৮১৮১৭৩৭
  • ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৮১৮১৭৪১
  • ওয়েবসাইট: https://bforest.gov.bd/

ঢাকা বিভাগীয় বন অফিস:

  • ফোন: +৮৮-০২-৫৫০০৭১৪২
  • মোবাইল: +৮৮-০১৯৯৯০০০০০১

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অধিদপ্তর:

  • ফোন: +৮৮-০২-৯১১৭৪৩৪
  • ঢাকা সিটি কর্পোরেশন: 09666-722222
  • চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন: 0921-817171
  • জাতীয় জরুরী নম্বর: 999

আপনার এলাকার বন অফিসের জন্য:

  • বন বিভাগের ওয়েবসাইটে https://bforest.gov.bd/অফিস” মেনুতে যান এবং আপনার বিভাগ নির্বাচন করুন।
  • সেখানে, আপনি “যোগাযোগ” ট্যাবে আপনার এলাকার বন অফিসের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ইমেইল পাবেন।

মনে রাখবেন:

  • এই নম্বরগুলিতে কল করার সময় অফিসের সময়সূচী মেনে চলুন।
  • যদি আপনি জরুরী অবস্থায় থাকেন, তাহলে 999 নম্বরে কল করুন।

উপসংহার:

ভিনিগার সাপ তাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হতে পারে, তবে এটি একটি অস্থায়ী সমাধান। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য, আপনার বাড়ি সাপ-প্রতিরোধী করে তুলতে হবে এবং সাপ দেখা গেলে একজন পেশাদারের সাহায্য নিতে হবে।

লেবু ও গোল মরিচ দিয়ে সাপ তাড়ানোর কিছু উপায়

1. লেবু ও গোল মরিচের রস:

  • লেবুর রস ও গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই পেস্টটি সাপ আসার সম্ভাব্য জায়গায়, যেমন দরজার সামনে, জানালার নীচে, বাড়ির আশেপাশে ছিটিয়ে দিন।
  • লেবুর তীব্র গন্ধ ও গোল মরিচের ঝাল সাপকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

2. লেবুর টুকরো ও গোল মরিচ:

  • লেবুর টুকরো করে কেটে তার মধ্যে গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভরে রাখুন।
  • এই লেবুর টুকরোগুলো সাপ আসার সম্ভাব্য জায়গায় রেখে দিন।
  • লেবুর গন্ধ ও গোল মরিচের ঝাল সাপকে দূরে রাখবে।

3. লেবু ও গোল মরিচের ধোঁয়া:

  • একটি কড়াইতে লেবুর টুকরো ও গোল মরিচ দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করুন।
  • এই ধোঁয়া সাপ আসার সম্ভাব্য জায়গায় ছড়িয়ে দিন।
  • লেবুর গন্ধ ও গোল মরিচের ঝাল সাপকে দূরে রাখবে।

সাপ তাড়াতে ব্লিচিং পাউডার

সাপ তাড়াতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা কি নিরাপদ ও কার্যকর?

সাপ তাড়াতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা একটি বিতর্কিত বিষয়। কারণ-

কার্যকারিতা:

  • কিছু লোক মনে করেন ব্লিচিং পাউডারের তীব্র গন্ধ সাপকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ব্লিচিং পাউডার সাপের ত্বকের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে এবং তাদের চোখে জ্বালাপোড়া করতে পারে, যার ফলে তারা এলাকাটি এড়িয়ে যেতে পারে।

নিরাপত্তা:

  • মানুষের জন্য: ব্লিচিং পাউডার একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক। এটি ত্বক ও চোখে জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং শ্বাস নেওয়ার সমস্যাও হতে পারে।
  • পরিবেশের জন্য: ব্লিচিং পাউডার মাটি ও জল দূষিত করতে পারে। এটি গাছপালা ও প্রাণীদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।

বিকল্প সমাধান:

  • সাপ প্রতিরোধ: আপনার বাড়ি সাপ প্রতিরোধী করে তোলা সাপ দূরে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়।
  • ঝাড়-বৃক্ষ পরিষ্কার: বাড়ির আশেপাশের ঝাড়-বৃক্ষ পরিষ্কার রাখুন যাতে সাপ লুকানোর জায়গা না থাকে।
  • খাবার সুরক্ষিত রাখুন: খাবার খোলা রাখবেন না, কারণ এটি সাপকে আকর্ষণ করতে পারে।
  • পেশাদার সাহায্য: যদি আপনার বাড়িতে বারবার সাপ দেখা যায়, একজন পেশাদার সাপ ধরার ব্যক্তিকে ডেকে সাহায্য নিন।

উপসংহার:

  • সাপ তাড়াতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা কার্যকর হতে পারে, তবে এটি নিরাপদ নয় এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
  • সাপ দূরে রাখার জন্য আরও নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প উপায় রয়েছে যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : স্বপ্নে সাপ দেখলে কি হয় ?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top