ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে অসুস্থ থাকি।কখনো কখনো আমাদের হাত কিংবা পা কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ব্যান্ডেজ করতে হয়। কিন্তু ব্যান্ডেজ অবস্থায় অজু করে নামাজ আদায় করা কষ্টসাধ্য বটে। তাই আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুবিধার্তে মাসেহ করার সিস্টেম চালু করে দিয়েছেন। আমরা কিভাবে কোন ব্যান্ডেজ এর উপরে মাসেহ করবো তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-
১. ভাঙ্গা হাড়ের ওপর কাঠ দিয়ে ব্যাণ্ডেজ বা প্লাষ্টার করা আছে । অথচ সে স্থান ধোয়া অযুর জন্য জরুরী । এখন তার ওপর মাসেহ করলেই চলবে ।
২. ক্ষত স্থানে ব্যাণ্ডেজ বা প্লাষ্টার করা আছে। তাতে পানি লাগলে ক্ষতির আশঙ্কা । এ অবস্থায় মাসেহ করলেই চলবে এবং তাতেও ক্ষতির আশঙ্কা হলে তাও মাফ করা হয়েছে ।
৩. যদি যখমের অবস্থা এমন হয় যে, ব্যাণ্ডেজের সময় দেহের কিছু সুস্থ অংশও তার মধ্যে আছে । এখন ব্যাণ্ডেজ খুললে বা খুলে ভালো অংশ ধুতে গেলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে মাসেহ করলেই চলবে ।
৪. ব্যাণ্ডেজ খুলে দেহের ঐ অংশ ধুলে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই কিন্তু খুললে আবার বাঁধার কেউ নেই । এমন অবস্থায় মাসেহ করার অনুমতি আছে ।
৫. ব্যাণ্ডেজের ওপর আর এক ব্যাণ্ডেজ করা হলে তার ওপরও মাসেহ করা যায়।
৬. কোনো অঙ্গে আঘাত বা যখম হয়েছে। পানি লাগলে ক্ষতির সম্ভাবনা, তখন মাসেহ করলেই যথেষ্ট হবে।
৭. যদি চেহারা বা হাত-পা কেটে গিয়ে থাকে কিংবা কোনো অঙ্গে ব্যথা হলে এবং পানি লাগলে ক্ষতির আশঙ্কা, তাহলে মাসেহ করলেই হবে । আর যদি মাসেহ করলেও ক্ষতি হয় তাহলে মাসেহ না করলেও চলবে।
৮. হাত-পা ফাটার কারণে তার ওপর মোম অথবা ভেসলিন অথবা অন্য কোনো ওষুধ লাগানো হয়েছে, তাহলে ওপর দিয়ে পানি ঢেলে দিলেই হবে । ভেসলিন প্রভৃতি দূর করা জরুরী নয় । পানি দেয়াও যদি ক্ষতিকারক হয় তাহলে মাসেহ করলেই হবে।
৯. যখম অথবা আঘাতের ওপর ওষুধ লাগানো হলো অথবা পট্টির ওপর পানি দেয়া হলো অথবা মাসেহ করা হলো। তারপর পট্টি খুলে গেল অথবা যখম ভালো হয়ে গেল, তখন ধুতেই হবে মাসেহ চলবে না ।
যেসব জিনিসের ওপর মাসেহ জায়েয নয়
১. দস্তানার ওপর।
২. টুপির ওপর ।
৩. মাথার পাগড়ি অথবা মাফলারের ওপর ।
৪. দুপাট্টা অথবা বোরকার ওপর।
আরো পড়ুন :
ট্যাগ সমূহ : ব্যান্ডেজের উপর ওযু করার নিয়ম,ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ,ব্যাণ্ডেজ এবং ক্ষত প্রভৃতির ওপর মাসেহ,ব্যাণ্ডেজ থাকলে ওযু করবো কিভাবে,ব্যাণ্ডেজ থাকলে ওযু করার নিয়ম,যেসব জিনিসের ওপর মাসেহ জায়েয নয় |