ফেরাউন এর ঘটনা
ফিরাউন বলা হতো প্রাচীনকালের মিসরের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাজাকে। ফিরাউন (فِرْعَوْن) শব্দের অর্থ- দেবতার সন্তান। হযরত মুসা (আ)-এর সময়কার ফিরাউনের নাম ছিল ওলীদ ইবনে মাসয়াব ইবনে রাইয়ান। সে রাইয়ান হিসেবেই সমধিক পরিচিত ছিল। সে নিজেকে ‘রাব্বুল আলা’ বা পরমেশ্বর বলে দাবি করত। পুরো মিসরে সে ছিল একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। বিশেষত সে ও তার সঙ্গী-সাথিরা বনি ইসরাঈলের ওপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালাত।
আল্লাহ তায়ালা ফিরাউন ও তার দল বলকে হেদায়াত দানের জন্য হযরত মুসা (আ)-কে তথায় প্রেরণ করলেন। হযরত মুসা (আ)-এর জন্মের কিছুদিন পূর্বে ফিরাউন স্বপ্নযোগে দেখতে পেল যে, বনি ইসরাঈল থেকে একটি আগুনের শিখা উত্থিত হয়ে তার রাজ সিংহাসনের দিকে এগিয়ে আসছে এবং একে একে সব পুড়ে ভস্ম করে দিচ্ছে। পরদিন সে জ্যোতিষীদেরকে ডেকে এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করল । তারা বলল, অচিরেই বনি ইসরাঈলে এমন এক সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, যার হাতে আপনার সিংহাসন ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনার রাজত্বের অবসান ঘটবে।
এটা শুনে ফিরাউন বনি ইসরাঈলীদের গর্ভধারণ নিষিদ্ধ করে দেয় এবং সমস্ত নবজাতককে হত্যার নির্দেশ দেয়। হযরত মুসা (আ) জন্মগ্রহণ করার পরপরই ফিরাউনের ভয়ে ঐশী নির্দেশে তাঁর মাতা ইউহানিব তাঁকে একটি বাক্সে ভরে নীল নদীতে ফেলে দেন। বাক্সটি ভাসতে ভাসতে ফিরাউনের ঘাটে গিয়ে ভিড়ে। সেটি ফিরাউনপত্নী আসিয়ার দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি তা কুড়িয়ে নিয়ে তার মধ্যকার সুদর্শন শিশু মুসা (আ)-এর লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। ফিরাউনের ঘরেই হযরত মুসা (আ) লালিত পালিত হয়ে বয়ঃপ্রাপ্ত হন।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর হযরত মুসা (আ) অন্যায়ের বিচারস্বরূপ এক জালেম কিবতীকে হত্যার কারণে ফিরাউন ও তার পরিষদ হযরত মুসা (আ)-এর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। ফলে আত্মরক্ষার্থে হযরত মুসা (আ) মিসর থেকে পালিয়ে মাদায়েন শহরে চলে যান। তথায় হযরত শোয়াইব (আ)-এর সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি হযরত শোয়াইব (আ)-এর এক কন্যা সফুরাকে বিবাহ করেন। দীর্ঘ আট বছর পর তিনি সস্ত্রীক মিসরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । পথিমধ্যে তূর পর্বতে চল্লিশ দিনের সাধনা শেষে আল্লাহর পক্ষ হতে নবুয়তপ্রাপ্ত হন। মিসরে যাত্রাকালে শ্বশুর শোয়াইব (আ) তাঁকে আদম (আ)-এর বেহেশত থেকে আনিত বিশেষ একটি লাঠি উপঢৌকন দেন; যা পর্যায়ক্রমে তাঁর কাছে এসেছিল ।
অন্য এক বর্ণনা মতে, তূর পাহাড় থেকে নবুয়ত লাভ করে আসার পথে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে দুটি বিশেষ মুজিযা লাঠি ও শুভ্র হাত দান করেন এবং ফিরাউনকে হেদায়াতের পথে আহ্বান করার জন্য নির্দেশ দেন। ফলে মিসরে এসে তিনি ফিরাউনকে তাওহীদের দাওয়াত দেন এবং নবুয়ত প্রমাণের জন্য মুজিযা প্রদর্শন করেন। তখন সে অঞ্চলে যাদুর প্রভাব খুব বেশি ছিল। ফিরাউন ও তার দলের লোকেরা মুজিযাকে যাদু বলে প্রত্যাখ্যান করে এবং মুসা (আ)-কে যাদু প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানায়। আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ) তাতে সম্মত হন।
নির্দিষ্ট দিনে ফিরাউনের ভাড়াটে যাদুকরদের সঙ্গে হযরত মুসা (আ)-এর মোকাবেলা হয়। যাদুকররা প্রথম পর্যায়ে সাপ প্রদর্শনীতে পরাস্ত হয়ে ঈমান আনয়ন করে। কিন্তু ফিরাউন ও তার দলের লোকেরা ঈমান আনতে অস্বীকার করে । আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর পরপর অনেক আযাব নাযিল করেন। যেমন- (ক) দুর্ভিক্ষ, (খ) পঙ্গপাল, (গ) উকুন, (ঘ) ব্যাঙ, (ঙ) রক্ত ইত্যাদি। আযাব আসার পর তারা হযরত মুসা (আ)-এর নিকট দোয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং ঈমান আনতে অঙ্গীকার করে । কিন্তু আযাব চলে যাওয়ার পর তারা হযরত মুসা (আ)-এর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে।
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে চরম শাস্তি দিতে মনস্থ করলেন। হযরত মুসা (আ)-কে নির্দেশ দিলেন যে, গভীর রাতে তিনি যেন তাঁর অনুসারীসহ মিসর ত্যাগ করে ফিলিস্তিন চলে যান। আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী মুসা (আ) যখন তাঁর অনুগামীসহ মিসর ত্যাগ করে সিরিয়া অভিমুখে যাত্রা করলেন, তখন ফিরাউন তার সত্তর হাজার কৃষ্ণবর্ণের ঘোড়া সাত লক্ষ সেনাবাহিনী নিয়ে তাদেরকে পেছন থেকে ধাওয়া করল ।
নীল নদের তীরে এসে হযরত মুসা (আ) আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় হাতের লাঠি দ্বারা নদীতে আঘাত করলেন। এতে নদীর মধ্যে বিস্ময়করভাবে বারোটি রাস্তা তৈরি হয়ে গেল। বনি ইসরাঈলের বারোটি গোত্র উক্ত বারোটি রাস্তা দিয়ে পার হয়ে গেল। ফিরাউন ও তার সৈন্যবাহিনী সেখানে পৌঁছে এ বিস্ময়কর দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে গেল যে, সমুদ্রের বুকে এ রাস্তা কিভাবে তৈরি হয়ে গেল! কিন্তু ফিরাউন সগর্বে সৈন্যদেরকে বলল, এগুলো সব আমার প্রতাপের লীলা । আমার জন্য সমুদ্রের প্রবাহ স্তব্ধ হয়ে রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে।
একথা বলে তৎক্ষণাৎ সে সামনে অগ্রসর হয়ে নিজের ঘোড়া সমুদ্রের পথে চালিয়ে দিল এবং গোটা সৈন্যবাহিনীকে পশ্চাতে আসার আদেশ দিল। যখন ফিরাউন তার সৈন্যবাহিনীসহ সামুদ্রিক পথের মধ্যখানে এসে গেল এবং একটি লোকও তীরে রইল না, তখন আল্লাহ তায়ালা সমুদ্রকে প্রবাহিত হওয়ার আদেশ দিলেন এবং সমুদ্রের সকল অংশ পরস্পর মিলিত হয়ে গেল।
ফিরাউন যেসব মহিলাকে পেরেক দ্বারা শাস্তি প্রদান করেছিল
মানবেতিহাসে সে এক কলঙ্কিত অধ্যায় । ফিরাউনের শাসনামলে এক মহিলা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল । সে ছিল ফিরাউনের কোষাধ্যক্ষ হ্যেকীল-এর স্ত্রী। বলাবাহুল্য, হ্যেকীলও গোপনে মুসলমান হয়েছিলেন এবং প্রায় একশত বছর তাঁর ঈমান আনয়নের ঘটনা গোপন রেখেছিলেন। হ্যেকীলের পত্নীর দায়িত্ব ছিল ফিরাউনের কন্যার মাথার চুল আঁচড়িয়ে দেয়া । একদা চুল আঁচড়ানোর সময় অসাবধানতাবশত তাঁর হাত থেকে চিরুনি মাটিতে পড়ে যায়।
এ সময় সে তার নিজ অভ্যাসবশত বলে ফেলে, ‘কাফের ধ্বংস হোক’ । এতদশ্রবণে ফিরাউনের তনয়া তাঁকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি আমার বাবাকে প্রভু বলে মান না? জবাবে হেযকীলের স্ত্রী বলল, না। আমার প্রভু, তোমার বাবার প্রভু আসমান ও যমীনের প্রভু সে তো এক আল্লাহ। তাঁর কোনো শরীক বা সমকক্ষ নেই । ফিরাউনের কন্যা এ ঘটনা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে সবিস্তার ফিরাউনের কাছে বলল । ফিরাউন লোক পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পরীক্ষা করল। অতঃপর হেযকীলের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনে ফিরাউনকে একমাত্র প্রভু হিসেবে স্বীকার করতে আদেশ করল এবং আল্লাহকে অস্বীকার করতে বলল ।
যেহেতু ঈমানদার আল্লাহ, ছাড়া কাউকে ভয় পায় না; সেহেতু হেযকীলের স্ত্রী কুফরী করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ক্রদ্ধ ফিরাউন তাঁর হস্তপদে চারটি লোহার পেরেক বিদ্ধ করে আটকে রাখল এবং দংশনের নিমিত্তে অগণিত সাপ বিচ্ছু তাঁর ওপর ছেড়ে ছিল। আর বলল, যদি আল্লাহকে অস্বীকার না কর, তবে এভাবে দু’মাস যাবৎ শাস্তি দিতে থাকব । কিন্তু আল্লাহর প্রকৃত আশেক হেযকীলপত্নী বলল, তুমি আমাকে সত্তর মাস শাস্তি দিলেও আমি আল্লাহকে অস্বীকার করতে পারব না। ব্যাপারটি ফিরাউনের কাটা ঘায়ে লবণ ছিটা দেয়ার কাজ করল।
এতে সে আরো রেগে গিয়ে হেযকীলের দু’কন্যাকে ধরে আনল । সে মায়ের চোখের সম্মুখে বড় মেয়েটির হৃৎপিণ্ড কেটে ফেলল এবং বলল, যদি আল্লাহকে অস্বীকার না কর, তাহলে ছোট শিশুটিকেও হত্যা করব। এতেও সে নিজ ঈমানে অবিচল থাকল। কিন্তু যখন ছোট শিশুকে হত্যা করার মানসে তার বুকের ওপর পা রাখল এবং জরাই করার মনস্থ করল, তখন স্নেহশীল মা অস্থির হয়ে পড়লেন। এমন সময় অলৌকিকভাবে শিশুটি কথা বলে ওঠল । শিশুটি বলল, জননী! জান্নাত আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, ধৈর্যধারণ করুন, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবানী শীঘ্রই পাবেন।
পৃথিবীতে যে চারজন দুধের শিশু (দোলনায়) কথা সবলেছিল, এ শিশুটি তাদের অন্যতম। তবু পাপিষ্ঠ ফিরাউনের মনে দয়ার উদ্রেক হলো না। সে শিশুটিকে হত্যা করল। হেযকীলপত্নী ও জান্নাতবাসি হলেন। এদিকে ফিরাউন হেযকীলের সন্ধানে লোক পাঠাল। কিন্তু হ্যেকীল কোথায় আছে, কেউ তার সন্ধান দিতে পারল না।
এক পর্যায়ে এক ব্যক্তি কোনো এক পাহাড়ে তাঁকে দেখেছে জানালে ফিরাউন দুব্যক্তিকে তথায় পাঠাল। অনুচরদ্বয় হেযকীলকে তন্ময়ভাবে নামাযরত অবস্থায় দেখতে পেল। আর দেখল, তাঁর পেছনে হিংস্র জীবকুল তিন সারিতে নামাযে রত রয়েছে। হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের ভয়ে তারা হেযকীলকে দেখেও না দেখার ভান করল। তবে অদূরে দাঁড়িয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে লাগল।
নামায শেষে হেযকীল প্রার্থনা করলেন, হে আল্লাহ! তুমি তো জান, একশত বছর যাবৎ তোমার ওপর ঈমান এনেছি, আর তা গোপন রেখেছি। আজ বোধ হয় আর গোপন থাকবে না। ফিরাউনের প্রেরিত ব্যক্তিদ্বয়ের কাছে আমি ধরা পড়ে যাচ্ছি। হে আল্লাহ! এ দু’ব্যক্তির মধ্যে যে আমার বিষয়ে গোপন রাখবে, তাকে তুমি দয়া কর, আর যে সপ্রকাশ করবে, তাকে শাস্তি দাও। অনুচরদের একজন এ সকল ঘটনা দর্শনে অভিভূত হলো ও ইসলাম গ্রহণ করল এবং হ্যেকীলের বিষয়টি গোপন রাখল ।
অপর ব্যক্তি ফিরাউনের দরবারে গিয়ে সকল ঘটনা ফাঁস করল । ফিরাউন প্রথমোক্ত ব্যক্তিকে ঘটনার সাক্ষ্য হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করল। প্রথম ব্যক্তি অস্বীকার করল । ক্রুদ্ধ ফিরাউন ঘটনা বর্ণনাকারী ব্যক্তিকে মিথ্যাবাদী মনে করে শূলে চড়াল এবং হত্যা করল, আর প্রথমোক্ত ব্যক্তিকে বখশিশ প্রদান করল ।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন যে, ফিরাউন বনি ইসরাঈলের আমালিকা সম্প্রদায়ের এক মহিলার পাণি গ্রহণ করে। তার নাম ছিল আসিয়া বিনতে মুযাহিম। তিনি ছিলেন মার্জিত স্বভাবের এক অপরূপ অষ্টাদশী। আসিয়া গোপনে মুসলমান হয়েছিলেন। ফিরাউন হ্যেকীলের স্ত্রীর সাথে যে আচরণ করেছে, তা প্রত্যক্ষ করে আসিয়া মর্মাহত হলেন। নিজে ঈমানদার বিধায় আরেক ঈমানদার বোন হেযকীলপত্নীর জন্য তাঁর প্রাণ কেঁদে ওঠল।
এ সময় আসিয়ার কক্ষে ফিরাউন প্রবেশ করে তাঁর কাছাকাছি বসলে আসিয়া বললেন, হে ফিরাউন! তুমি তো নরাধম নিষ্ঠুর। এত নির্দয়ভাবে হেযকীলপত্নী ও তার সন্তানদেরকে হত্যা করলে? তখন ফিরাউন ভাবল, আসিয়া শান্তশিষ্ট রমণী। তার তো এমন ব্যবহার করার কথা নয়। সম্ভবত আসিয়ার মাথা খারাপ হয়েছে। সে আসিয়ার বাবা ও মাকে খবর দিয়ে আনল। হযরত আসিয়ার মা ও বাবা তাঁকে বুঝাল যে, পাগলামী ভালো নয়! তুমি তো আমালিকা সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠ মেয়ে, আর তোমার স্বামী আমালিকাদের প্রভু। হযরত আসিয়া দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, আমি এ অপচিন্তা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমার, ফিরাউনের এবং আসমান ও যমীনের প্রভু একমাত্র আল্লাহ তায়ালা, তাঁর কোনো শরীক নেই ।
এতে ফিরাউন হযরত আসিয়ার ওপর নির্মম অত্যাচার শুরু করল। তাঁর হাতে ও পায়ে লোহার শলাকা বিদ্ধ করে ফেলে রাখল । হযরত আসিয়া আল্লাহর দরবারে ফিরাউনের হাত থেকে মুক্তি প্রার্থনা করল- رب ابن لى عِندَكَ بيتا في الجنة ونجني من فرعون وعمله (সূরা তাহরীম)। অতঃপর ফিরাউনের চরম অত্যাচারের মধ্যে হযরত আসিয়া জান্নাতবাসিনী হলেন (খাযেন)
আরো পড়ুন :
ট্যাগ সমূহ : ফেরাউন,ফেরাউনের লাশ,ফেরাউনের জীবন কাহিনী,ফেরাউনের লাশের ছবি,ফেরাউনের ছবি, ফেরাউন এর কাহিনী,ফেরাউনের মৃত্যুর ঘটনা,ফেরাউনের আসল নাম কি,ফেরাউনের লাশ কত বছর পানিতে ছিল,ফিরাউনদের স্ত্রী,ফেরাউনের লাশ,ফেরাউন,ফিরাউন অর্থ কি,ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল,ফেরাউনের লাশের ছবি,ফেরাউনের ছবি,ফেরাউনের জীবন কাহিনী,ফেরাউন এর উচ্চতা, ফেরাউন ছবি,ফেরাউন এর ইতিহাস,ফেরাউন অর্থ কি,ফেরাউন এর আসল নাম কি,,ফেরাউন কত হাত লম্বা ছিল,ফিরাউন যেসব মহিলাকে পেরেক দ্বারা শাস্তি প্রদান করেছিল,ফেরাউন,ফেরাউনের লাশ,ফেরাউনের জীবন কাহিনী। |