পেশাব পায়খানার আদবসমূহ

পেশাব পায়খানার আদব,টয়লেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া,টয়লেটে বের হওয়ার দোয়া,বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া বাংলা,টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা,আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস,টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোয়া আরবি,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া ছবি,পেশাব পায়খানার আদবসমূহ,পেশাব পায়খানার নিয়ম,

পেশাব পায়খানার আদবসমূহ

ইসলামের বিধি-বিধান মানবজীবনের সব ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। এর থেকে বাদ যায়নি প্রস্রাব-পায়খানার মতো একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ও। রাসুলুল্লাহ ( ﷺ ) ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য পিতার মতো। আমি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকি। (সুবহানাল্লাহ)

নিচে বাথরুমে প্রবেশের দুআ ও পেশাব পায়খানার আদবসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

বাথরুমে প্রবেশের দুআ

হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল ﷺ যখন বাথরুমে প্রবেশের ইচ্ছা করতেন তখন এ দুআটি পড়তেন—

اللهُمَّ إِنَّ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-ইন্নি-আউযুবিকা-মিনাল-খুবুসি-ওয়াল-খবাইস।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষতিকর নারী ও পুরুষ শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করি । [সহিহ বুখারি: ১৪২; সহিহ মুসলিমঃ ৩৭৫[

সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম ব্যতীত অন্যান্য কিতাবে আছে-

بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি-আল্লাহুম্মা-ইন্নি-আউযুবিকা-মিনাল-খুবুসি-ওয়াল-খাবাইস । [সুনানে তিরমিযি: ০৫, সুনানে আবু দাউদ: ০৪]
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করলাম। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষতিকর নারী ও পুরুষ শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করি।

হযরত আলি রাযি. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন-

ستُرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ : إِذَا دَخَلَ أَحْدُهُمُ الْخَلَاءَ، أَنْ يَقُولَ : بِسْمِ اللَّهِ.

অর্থ: মানুষের সতর ও জিনদের চোখের মধ্যকার পর্দা হলো বাথরুমে প্রবেশের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলা। সুনানে তিরমিযি: ৬০৬।
হাদিসের মান : ইমাম তিরমিযি রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে বলেন, এর সনদ বেশি শক্তিশালী নয় । তবে আগেই বর্ণনা করা হয়েছে যে, ফযিলত প্রসঙ্গ হলে দুর্বল হাদিসের ওপর আমল করা যাবে। আর খালি মাঠে বা দেয়াল ঘেরা ঘরে হোক এই দুআটি পড়া যাবে। তবে মুস্তাহাব হলো প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়া এরপর উল্লিখিত দুআটি পড়া।

দোয়া পড়ার কারণ

প্রস্রাব-পায়খানার স্থান টয়লেট হলো নাপাকি বা ময়লা আবর্জনা ত্যাগের জায়গা। আর এ টয়লেটে দুষ্ট ও বদ জ্বিনদের বাসস্থান। কোনো ব্যক্তি যখন টয়লেটে প্রস্রাব-পায়খানা করতে প্রবেশ করে আর দোয়া না পড়ে, তবে এসব দুষ্ট ও বদ জ্বিন মানুষের মোস্ট সেনসিটিভ অরগ্যান (লজ্জাস্থান) নিয়ে খেলা করে। আর যারা টয়লেটে প্রবেশ করার আগে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় হাদিসে বর্ণিত দোয়া সমূহ পড়ে, তবে দুষ্ট ও বদ জ্বিন তাদের দেখতে পায় না।

আরো পড়ুন : বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া

এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে মুহাম্মাদিকে টয়লেটে প্রবেশের আগে সব সময় আল্লাহর কাছে দুষ্ট ও বদ জ্বিনের আক্রমণ থেকে আশ্রয় চাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি নিজেও এর ওপর আমল করতেন। সুতরাং টয়লেটে প্রবেশের আগে এ দোয়া করা-
بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি-আল্লাহুম্মা-ইন্নি-আউজুবিকা-মিনাল-খুবুছি-ওয়াল-খাবায়িছ।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট বা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। [বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ]

পেশাব পায়খানার আদবসমূহ

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য পিতার মতো। আমি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকি। তোমরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে কেবলাকে সামনে বা পেছনে দিয়ে বসবে না। ডান হাত দিয়ে শৌচকার্য সম্পাদন করবে না।’ তিনি তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি দ্বারা ঢিলা করা থেকে বারণ করতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৭)

উল্লিখিত হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনা ছাড়া প্রস্রাব-পায়খানার নির্দিষ্ট আদব ও শিষ্টাচার রয়েছে, প্রত্যেকের উচিত এগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া। সেগুলো হলো-

> প্রস্রাব-পায়খানার জন্য নরম বা উঁচু স্থান বেছে নেওয়া উচিত, যাতে এর ছিটা শরীরে না লাগে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩)

> এমন স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করবে, যেখানে বসলে মানুষ দেখে না। আওয়াজ শোনে না এবং দুর্গন্ধ মানুষের নাকে আসে না। (তিরমিজি, হাদিস : ২০, আবু দাউদ, হাদিস : ২)

> পায়খানায় প্রবেশের সময় এই দোয়া পাঠ করা : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমি নর ও নারী শয়তান থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। (বুখারি, হাদিস : ১৩৯) এই দোয়া পাঠের তাৎপর্য হলো, জিন ও শয়তান বেশির ভাগ নাপাক স্থানে অবস্থান করে।

> বাঁ পা দিয়ে প্রবেশ করা ও ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ১১১)

> প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় নিজের বাঁ পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসা। এটি কষ্টদায়ক বস্তু দ্রুত নিঃসরণে সহায়ক। (আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকি, হাদিস : ৪৬৬)

>মাটির গর্তে প্রস্রাব না করা। কেননা ভেতরে সাপ-বিচ্ছু থাকলে ক্ষতি হতে পারে অথবা ক্ষতি করতে পারে। (আবু দাউদ : ২৭)

> প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের সময় মাথা ডেকে রাখা। (আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকি, হাদিস : ৪৬৪)

> ফলবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে প্রস্রাব-পায়খানা না করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪)

> রাস্তা বা কবরস্থানে প্রস্রাব-পায়খানা না করা। (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৩৯৭)

> ছায়াময় স্থানে প্রস্রাব না করা, যেখানে মানুষ বিশ্রাম নেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪)

> প্রস্রাব-পায়খানার সময় শব্দ করে কোরআন পাঠ ও জিকির করা মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ৫৫৫)

> প্রস্রাব-পায়খানার সময় বিনা প্রয়োজনে কথা বলা মাকরুহ (ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দীয় কাজ)। (আবু দাউদ : ১৪)

> কোনো অপারগতা ছাড়া প্রস্রাব-পায়খানা থেকে ডান হাতে পবিত্রতা অর্জন করা মাকরুহ। (মুসনাদে আহমাদ : ২৬৩২৬)

> আবদ্ধ কম পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ৪২৩)

> আবদ্ধ বেশি পানি বা প্রবহমান পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা অনুচিত। (মুসলিম, হাদিস : ৪২৫)

> অক্ষমতা, অসুস্থতা ও সীমাবদ্ধতা না থাকলে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা মাকরুহ। (তিরমিজি, হাদিস : ১২) তবে সীমাবদ্ধতা থাকলে তা বৈধ।

কেননা দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার মাধ্যমে প্রস্রাবের ছিটা গায়ে লাগার সম্ভাবনা থাকে। আর এটি দৃষ্টিকটু। পাশাপাশি তা রোগের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।

> প্রস্রাব-পায়খানা সেরে ডান পা দিয়ে বের হয়ে এই দোয়া পাঠ করা : ‘আল হামদু লিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নির আজা ওয়া আফানি।’ অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কাছ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু বের করে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপদ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৭)

তবে কোনো কোনো হাদিসে ‘গুফরানাকা’ শব্দও এসেছে। তাই উভয় দোয়া একসঙ্গে পাঠ করা যায়।

এছাড়া পেশাব পায়খানার অনেক আদব রয়েছে যেমন :

১. মাঠে পেশাব-পায়খানা করার সময় কিবলার দিক হয়ে বসবে না। কিন্তু ঘরে কোনো বস্তু আড়াল হলে কোনো সমস্যা নেই। কা’বাগৃহের আদব উদ্দেশ্য।
২. ডান হাত দিয়ে ইস্তেঞ্জা করা এবং পেশাব করার সময় ডান হাত দ্বারা সতর ধরা নিষেধ। কেননা, ইস্তেঞ্জা নিম্ন মানের কাজ। ডান হাতের মর্যাদা বেশি বিধায় বাম হাত দ্বারা কাজটি সেরে নিবে।
৪. ইস্তেঞ্জার জন্য কমপক্ষে তিনটি ঢিলা-ব্যবহার করবে, এর চেয়ে কম নিষিদ্ধ। বেশি হলে নিষেধ নেই। কেননা, নাপাকী দূর করাই হল আসল লক্ষ্য।

৫. কয়লা, গোবর ও হাড্ডি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করা নিষিদ্ধ। আরব দেশে পানির স্বল্পতা সর্বদা ছিল। এজন্য হুজুর আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম)-এর আদেশ ছিল ঢিলা ও পাথর দিয়ে ইস্তেঞ্জা করার। তবু পানি দিয়ে ইস্তেঞ্জা করা উত্তম বলে প্রমাণিত হয়। ইরশাদ হচ্ছে “ আপনি তার মধ্যে কখনও দাঁড়াবেন না, যে মসজিদ প্রথম দিন থেকে তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত সেখানে দাঁড়ানো আপনার জন্য বেশী উপযোগী। সেখানকার লোকেরা পবিত্রতা পছন্দ করে। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের বেশি ভালবাসেন।” বর্তমান হিন্দুস্তান, পকিস্তান ও বাংলাদেশে পানির আধিক্য রয়েছে। নদী, খাল, বিলও ঝর্ণায় পরিপূর্ণ। কাজেই কোনো ব্যক্তি ঢিলা-কুলুপ ব্যবহার না করে যদি শুধু পানির উপর শেষ করে তাহলেও যথেষ্ট হবে।

অনেককেই দেখা যায় বাড়িতে পেশাব করে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের সামনে ঢিলা ধরে পাইচারী করতে থাকে, রাস্তা দিয়ে চলতে থাকে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। এমন কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিত।

৬. জনসাধারণের রাস্তায়, বৃক্ষের নিচে যেখানে মানুষ বিশ্রাম করে, সেখানে পেশাব পায়খানা করা হারাম এবং লা’নতের কারণ হয়। কেননা, এতে লোকেদের কষ্ট হলে তারা লা’নত করতে থাকে ৷
৭. গোসলখানায় ও পানির ঘাঁটে পেশাব-পায়খানা করা নিষেধ। কেননা, ছিঁটা শরীর ও কাপড়ে লাগলে নাপাক হয়ে যাবে।

৮. গর্তে পেশাব করবে না। হতে পারে তাতে কোনো বিষাক্ত প্রাণী রয়েছে, আর সেই প্রাণী তাকে কষ্ট দিবে। অথবা কোনো দুর্বল প্রাণী থাকতে পারে। ফলে সে প্রাণীর কষ্ট হবে ।
৯. পেশাব- পায়খানার সময় সালাম দেয়া ও উত্তর নেয়া নিষিদ্ধ। কেননা, সালাম হল দোয়া, আর পেশাব পায়খানার সময় দোয়া করা আদবের পরিপন্থী।

১০. আংটিতে মহান রাব্বুল আলামিনের নাম বা কোনো বরকতপূর্ণ নাম লিখা থাকলে তা পরিধান করে যাওয়া নিষিদ্ধ। যেহেতু এতে আল্লাহ তাআলার নামের বে-আদবী হয়। যদি কোথাও বসে পেশাব করলে ছিটা লাগার আশঙ্কা থাকে তাহলে দাঁড়িয়ে পেশাব করা জায়েয। হুজুর আকরাম (সা:) একবার ময়লার স্থানে দাঁড়িয়ে পেশাব করেছিলেন। কেউ এর কারণ বর্ণনা করেন যে, হুজুর আকরাম (সা:)-এর পিঠে ব্যথা ছিল। কিন্তু যে সব মুসলিম ভাই বিধর্মীদের অনুকরণে দাঁড়িয়ে পেশাব করেন, তাদের কী যুক্তি থাকতে পারে। উপরন্তু দাঁড়িয়ে পেশাব করলে নাপাক থেকে বেঁচে থাকা সম্ভবপর হয় না। অথচ তারা বাহ্যিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দীর্ঘ বক্তৃতা করে থাকে।

১১. পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে এ পরিমাণ পানি ব্যবহার করবে, যার দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয় । অতিরিক্ত খরচ করলে অপব্যয় বলে ধর্তব্য হবে।
১২. এক স্থানে দুই পুরুষ বা মহিলা পেশাব পায়খানার জন্য বসবে না। পরস্পর কেউ কারো সতর দেখবে না এবং পরস্পর কোনো কথা বলবে না। কেননা, এটা অত্যন্ত নির্লজ্জের কথা। আল্লাহ তাআলার নিকট অপছন্দনীয়ও বটে। হুজুর আকরাম (সা:) ইরশাদ করেছেন- ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।’

বাথরুমে যিকির বা কথা বলা নিষেধ

বাথরুমে থাকাবস্থায় যিকির করা কিংবা কথা বলা মাকরুহ। বাথরুমটি প্রাচীর ঘেরা হোক কিংবা খোলামেলা হোক। বাথরুমে থাকাবস্থায় সবধরনের দুআ ও যিকির এমনকি কথা বলাও নিষেধ। তবে বিশেষ প্রয়োজন হলে কথা বলার অনুমতি রয়েছে। তবে কোনো অবস্থাতেই দুআ কিংবা যিকির করা যাবে না। এমনকি, হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলা, হাঁচির জবাব, সালামের উত্তর, মুআজ্জিনের আযানের জবাব দেয়াও যাবে না। কেউ সালাম দিয়ে জবাবের আসা করতে পারবে না । এসবই নিষেধ। এগুলো সব মাকরূহে তানযিহি। হারাম নয়। কেউ যদি হাঁচি দেয় এবং মনে মনে জিহ্বা না নাড়িয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তাহলে কোনো সমস্যানেই। অনুরূপভাবে সহবাস অবস্থায় যিকির-আজকারের হুকুম এটিই ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-

أَنَّ رَجُلًا مَرَّ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبُولُ، فَسَلَّمَ ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ .

অর্থ: জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি [রাসূল সাঃ] আর পেশাব করছিলেন। লোকটি আল্লাহর রাসূল সাঃ-কে সালাম দিলেন; কিন্তু তিনি [রাসূল সাঃ] তৎক্ষণাৎ সালামের জবাব দেননি। সহিহ মুসলিম: ৩৭০।

মুহাজির ইবনে কুনফু রাযি. থেকে বর্ণিত।

أَنَّهُ أَنَّ النَّبِيِّ ﷺ وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدُّ عَلَيْهِ حَتَّى تَوَضَّأَ ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ إِنّى كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا عَلَى طُهْرٍ أَوْ قَالَ : عَلَى طَهَارَةٍ

অর্থ: তিনি আল্লাহর রাসূল-এর কাছে এলেন, তখন তিনি (রাসূল সাঃ) পেশাব করছিলেন। তিনি সালাম দিলেন; কিন্তু আল্লাহর রাসূল কোনো জবাব দিলেন না । হাজত শেষ করে অজু করলেন। অতঃপর ওজর পেশ করে তিনি বললেন, পবিত্র অবস্থা ছাড়া আল্লাহর যিকির করতে অপছন্দ করছিলাম। [সুনানে আবু দাউদ: ১৭, সুনানে নাসাঈ ১/৩৭, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩৫০]

ট্যাগ পেশাব পায়খানার আদব,টয়লেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া,টয়লেটে বের হওয়ার দোয়া,বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া বাংলা,টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা,আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস,টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোয়া আরবি,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া ছবি,পেশাব পায়খানার আদবসমূহ,পেশাব পায়খানার নিয়ম,পেশাব পায়খানার আদব,টয়লেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া,টয়লেটে বের হওয়ার দোয়া,বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া বাংলা,টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা,আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস,টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোয়া আরবি,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া ছবি,পেশাব পায়খানার আদবসমূহ,পেশাব পায়খানার নিয়ম,পেশাব পায়খানার আদব,টয়লেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া,টয়লেটে বের হওয়ার দোয়া,বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া বাংলা,টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা,আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস,টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোয়া আরবি,বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া ছবি,পেশাব পায়খানার আদবসমূহ,পেশাব পায়খানার নিয়ম,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top