ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। তাই ডেঙ্গু শব্দটি এখন সবার মুখে মুখে আলোচিত। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মানুষের মাঝে প্রবল উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে- ডেঙ্গুকে নিয়ে এখন মানুষ আতঙ্কিত। আমরা অনেকেই জানি না ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে, এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। শরীরে কি কি লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি হতে পারে ? তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-
ডেঙ্গু কি?
ডেঙ্গু জ্বর মশা বাহিত একটি জ্বর। যে মশার মাধ্যমে মানুষের ডেঙ্গু জ্বর হয় সে মশার নাম হল এডিস মশা। তার মানে সব মশাই কিন্তু এডিস মশা নয়। যখন কোন মশা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়াবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সেই ভাইরাস বহন করে অন্য কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে তখন সেই সুস্থ ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে।
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে?
সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন অথবা ৩ থেকে ১০ দিন শরীরে ডেঙ্গু জ্বর থাকে। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিটি মৌসুমেই স্ত্রী মশা দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। তবে শীতকালে মশার প্রকোপ কম থাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণ কম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো কী?
সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে। গুরুতর ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে –
১. তীব্র পেট ব্যথা – যখন আপনার গুরুতর ডেঙ্গু হবে তখন আপনার ভীষণ পেট ব্যথা করবে ।
২. রক্ত বমি হওয়া – গুরুতর ডেঙ্গু রোগীর রক্ত বমি হয়ে থাকে।
৩. পেট ফুলে যাওয়া – ডেঙ্গু রোগের আরেকটি সাধারন লক্ষণ হল পেট ফুলে যাওয়া ।
৪. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া – শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এ মন্তব্যটি প্রত্যেক দ্রুত ডেঙ্গু রোগীরা করে থাকে।
৫. দাঁতের মাড়িতে রক্তক্ষরণ – ডেঙ্গু রোগের আরেকটি সাধারন লক্ষণ হল দাঁতের মাড়িতে রক্তক্ষরণ হওয়া। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীদের দেখা যায় তাদের দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ছে ।
৬. ঘুম ঘুম ভাব – সাধারণত গুরুতর ডেঙ্গু রোগীর ঘুম ঘুম ভাব বেশি হইয়া থাকে।
৭. দ্রুত নাড়ির স্পন্দন – ডেঙ্গু রোগের আরেকটি সাধারন লক্ষণ হল রোগীদের নাড়ি স্পন্দন দ্রুত হয়ে থাকে।
কোথায় মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয়?
উপক্রান্তিয় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের গ্রীষ্ম-প্রধান দেশের মানুষ ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয় । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। কারণ এই জায়গাগুলো উপক্রান্তীয় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
ভারতবর্ষের সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বর্ষা এই দুই ঋতুতে এই রোগ বৃদ্ধি পায়। এপ্রিল মাসের দিকে এই রোগ অনেক বেশি হয়। আবার জুন-জুলাই মাসের দিকে এই রোগের প্রকোপ কমতে থাকে। ডেঙ্গু রোগীকে যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা করানো হয় এবং ডেঙ্গু রোগীর প্রতিনিয়ত যত্ন করলে। এক সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী সুস্থতার দিকে চলে আসেন।
ট্যাগ : ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বর,ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বরডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে,ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বর |