কাদের কে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই
জাকাত আদায়ের খাত সরাসরি কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই জাকাত ফকির, মিসকিন ও সেসব কর্মচারীর জন্য, যারা সদকা উসুলের কাজে নিয়োজিত এবং যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য। আর দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধ, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের (সাহায্যের) জন্য। এটি আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ তা’আলা মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। ’ (সুরা তাওবা : ৬০)
এখন প্রশ্ন আসে কাদেরকে যাকাত দেয়া জায়েয নয়। নিচে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
সাত প্রকারের লোককে যাকাত দেয়া জায়েয নেই। তাদেরকে দিলে যাকাত আদায় হবে না।
১. বাপ-মা, দাদা-দাদী, নানা-নানী ও তাদের-বাপ-মা ।
২. সন্তান-সন্তানাদি, নীচের দিক পর্যন্ত, যথা- ছেলে-মেয়ে, পৌত্র, প্রপৌত্র, নাতী-নাতনী ইত্যাদি ।
৩. আপন স্বামী।
৪. আপন স্ত্রী।
এসব লোককে যাকাত দেয়ার অর্থ আপনজনদেরকে উপকৃত করা। তবে তার অর্থ এটাও কখনো নয় যে, লোক তার মাল দ্বারা এসব লোকের কোনো সাহায্য করবে না। বরঞ্চ শরীয়াতের দৃষ্টিতে তাদের ভরণ-পোষণ ও দেখা শুনা করা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। উপরোক্ত চার ধরনের আত্মীয় ছাড়া অন্যান্য সকল আত্মীয়-স্বজনকে যাকাত দেয়া শুধু জায়েযই নয় বরঞ্চ অতি উত্তম ও বেশী সওয়াবের বিষয়।
৫. সাহেবে নেসাব সচ্ছল ব্যক্তিকে যাকাতের টাকা দেয়াও নাজায়েজ। কোনো গরীব দুঃস্থকে এতোটা দেয়াও জায়েয নয় যে, সে সাহেবে নেসাব হয়ে যায়। তবে যদি সে ঋণগ্রস্ত হয় অথবা অধিক সন্তান-সন্তানাদির মালিক হয় তাহলে প্রয়োজন অনুসারে বেশী পরিমাণে জাকাত দেয়া যেতে পারে।
নবী (স) বলেন, সদকা মালদারের জন্যে জায়েয নয় এ পাঁচ ধরনের লোক ছাড়া, যথা (ক) আল্লাহর পথে জেহাদকারী, (খ) ঋণগ্রস্ত, (গ) সদকা আদায় ও বণ্টনকারী, (ঘ) এমন ব্যক্তি যে তার অর্থ দিয়ে সদকার মাল খরিদ করে, (ঙ) এমন ব্যক্তি যার প্রতিবেশী মিসকীন এবং মিসকীন তার ধনী প্রতিবেশীকে তার প্রাপ্ত সদকা হাদীয়া পেশ করে।-(মুয়াত্তা ইমাম মালেক)
৬. অমুসলিমকে যাকাত দেয়াও জায়েয নয় ।
৭. বনী হাশিমের বংশধরদের নিম্নের ৩টি গোত্রকে জাকাত দেয়া জায়েজ নয়।
(ক) হযরত আব্বাস (রা)-এর বংশধর।
(খ) হারেসের বংশধর।
(গ) আবু তালেবের বংশধর।
হযরত আলী (রা:) ও হযরত ফাতেমা (রা:)-এর সন্তানগণ উক্ত তৃতীয় গোত্রের বংশধর।
অবশ্য আজকাল এ যাঁচাই করা মুস্কিল যে, প্রকৃতপক্ষে বনী হাশিমের বংশধর কে। অতএব, বায়তুলমাল থেকে তো প্রত্যেক অভাগ্রস্তের সাহায্য পাওয়া উচিত। তবে যদি কারো হাশেমী হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে তাহলে তার যাকাত নেয়া উচিত নয় । ইমাম মালেক (র) বলেন, নবী (স) বলেন, সদকার মাল মুহাম্মদ (স)- এর আওলাদের জন্যে জায়েয নয়। এজন্যে যে, সদকা লোকের ময়লা তো বটে।-(মুয়াত্তা ইমাম মালেক)
আরো পড়ুন :
শতকরা কত পার্সেন্ট যাকাত দিতে হয়
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কি কি
যে সব সম্পদের যাকাত দিতে হয় না
মুদ্রা ও নোটের যাকাত এর পরিমাণ
ট্যাগ সমূহ : কাদের কে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই,যাদেরকে যাকাত দেয়া জায়েয নয়.যাদেরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়,কাদের কে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই,কাদের কে যাকাত দেওয়া যাবে না,যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না,দেরকে যাকাত দেয়া জায়েয নয়.যাদেরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়,কাদের কে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই,কাদের কে যাকাত দেওয়া যাবে না,যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না,কাদের কে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই |