
অমিডন কি বা অমিডন কিসের ঔষধ
অমিডন হলো ডোম্পেরিডোন নামক ঔষধের একটি ব্র্যান্ড। এটি একটি ডোপামিন অ্যান্টাগোনিস্ট ঔষধ যা মূলত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (জিআই) ট্র্যাক্টের উপর কাজ করে।
অমিডন ব্যবহারের কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য:
- বমি বমি ভাব এবং বমি: অমিডন বমি বমি ভাব এবং বমির চিকিৎসায় খুব কার্যকর। এটি পাকস্থলী এবং অন্ত্রের এমন রিসেপ্টরগুলিকে ব্লক করে যা বমিভাবের সংকেত পাঠায়।
- গ্যাস্ট্রোপারেসিস: গ্যাস্ট্রোপারেসিস হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলী থেকে খাদ্য খুব ধীরে ধীরে অন্ত্রে যায়। অমিডন পাকস্থলীর পেশীগুলো বৃদ্ধি করে এবং খাদ্য দ্রুত পাস করতে সাহায্য করে।
- অ্যাসিড রিফ্লাক্স: অমিডন অ্যাসিড রিফ্লাক্সের লক্ষণগুলি, যেমন হার্টবার্ন এবং বুকে ব্যথা, উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এটি খাদ্যনালীতে খাদ্য ফিরে আসা কমিয়ে দেয়।
- হিক্কা: অমিডন হিক্কার চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অমিডন সাধারণত ট্যাবলেট বা তরল আকারে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত খাবারের আগে ১৫-৩০ মিনিট আগে মুখ দিয়ে গ্রহণ করা হয়।
অমিডন ব্যবহারের কিছু সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
- মাথাব্যথা
- ডায়রিয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- বমি বমি ভাব
- ত্বকের লালচে ভাব
- অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া
গুরুত্বপূর্ণ: অমিডন গ্রহণের পূর্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনার অন্য কোনও চিকিৎসা অবস্থা থাকে বা আপনি অন্য কোনও ঔষধ গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন : চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম
এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে যা আপনার জানা দরকার:
- অমিডন সাধারণত শিশুদের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের অমিডন গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- অমিডন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
অমিডন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
অমিডন ঔষধ খাওয়ার মাত্রা:
- অমিডন সাধারণত ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়।
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ মাত্রা হলো খাবারের ১৫-৩০ মিনিট আগে ১০ মিলিগ্রাম।
- গুরুতর বমি বমি ভাব এবং বমির ক্ষেত্রে, ডাক্তার দিনে তিনবার ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত মাত্রা বাড়াতে পারেন।
- শিশুদের জন্য মাত্রা শিশুর ওজন এবং বয়সের উপর নির্ভর করে।
সেবনবিধি:
- অমিডন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল পুরোটা জলের সাথে গিলে ফেলুন।
- ট্যাবলেট চিবিয়ে বা ভেঙে খাবেন না।
- খাবারের আগে ১৫-৩০ মিনিট আগে অমিডন গ্রহণ করা উচিত।
- গুরুতর ক্ষেত্রে, ডাক্তার খাবারের পর অমিডন গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন।
- দিনে তিনবারের বেশি অমিডন গ্রহণ করবেন না যদি না আপনার ডাক্তার অন্যথায় নির্দেশ দেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- অমিডন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
- যদি আপনি গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী হন, তাহলে অমিডন গ্রহণের পূর্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- আপনি যদি অন্য কোনও ঔষধ গ্রহণ করেন, তাহলে অমিডন গ্রহণের পূর্বে আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
- অমিডনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- মাথাব্যথা
- ডায়রিয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- বমি বমি ভাব
- ত্বকের লালচে ভাব
- অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া
- যদি আপনি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
অমিডন সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
মনে রাখবেন: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে এবং এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য আপনার সর্বদা একজন যোগ্যতাসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরো পড়ুন : কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
ট্যাগ : অমিডন কিসের ঔষধ,অমিডন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম,অমিডন কি,অমিডন ,অমিডন কিসের ঔষধ,অমিডন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম,অমিডন কি,অমিডন |