জুমার নামাজের ফজিলত

জুমার নামাজের ইতিহাস,জুমার নামাজের ফজিলত, জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত,জুমার নামাযের বিবরণ,জুমার দিনের ফযীলত,জুমার নামাযের হুকুম,জুমার নামাযের অপরিহার্যতা,জুমার নামাজের ফজিলত,
জুমার নামাজের ফজিলত

জুমার নামাজের ফজিলত

জুমার নামাজের ফজিলত : আল্লাহর নিকটে জুমার দিন সকল দিনের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম এবং বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এ দিনের মধ্যে ছয়টি এমন বিশিষ্ট গুণের সমাবেশ রয়েছে যা অন্য দিনগুলোর মধ্যে নেই। এজন্য দিনটিকে বলা হয় জুমা (বহুর সমাবেশ)। প্রথম বিশিষ্ট গুণ এই যে, এ দিনে মুসলমানদের বিরাট সমাবেশ হয়। কোনো কেন্দ্রীয় স্থানে তারা আল্লাহর যিকির ও ইবাদাতের জন্য একত্র হয় এবং এক বিরাট জামায়াতে জুমার নামায আদায় করে। এ জন্য নবী (সাঃ) দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

একবার জুমার খুতবা দেয়া কালে নবী বলেন, মুসলমানগণ। আজ এমন একদিন, যাকে আল্লাহ তোমাদের জন্য ঈদের দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ জন্য তোমরা এদিনে গোসল কর,যার খুশবু সংগ্রহ করা সম্ভব, সে তা ব্যবহার করবে। এদিনে তোমরা অবশ্যই মিসওয়াক করে দাঁত-মুখ পরিষ্কার করবে। -(মোয়াত্তা, ইবনে মাজাহ)

জাহেলিয়াতের যুগে আরববাসী এ দিনটিকে ‘ইয়াওমে আরোবা’ বলতো। ইসলামে যখন এ দিনটি মুসলমানদের সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করা হলো তখন তার নাম রাখা হলো ‘জুময়া’। জুময়া আসলে একটি ইসলামী পরিভাষা।ইহুদীদের শনিবার ছিল ইবাদাতের জন্য নির্দিষ্ট। কারণ ঐদিন আল্লাহ বনী ইসরাঈলকে ফেরাউনেরগোলামী থেকে রক্ষা করেন। ঈসায়ীগণ নিজেদেরকে ইহুদীদের থেকে আলাদা করার জন্য রবিবার দিনকে নিজেরাই নির্ধারণ করে। অথচ এর কোনো নির্দেশ না হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম দিয়েছেন আর না ইঞ্জিলে এর কোনো উল্লেখ আছে।
ঈসায়ীদের আকীদাহ এই যে, শুলে জীবন দেয়ার পর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম কবরথেকে উঠে আসমানে চলে যান। সেটা ছিল রবিবার ।

অতপর ৩২১ খৃষ্টাব্দেরোমীয় সাম্রাজ্য এক সরকারী ঘোষণার মাধ্যমে এ দিনটিকে ছুটির দিন বলে নির্ধারিত করে । ইসলাম এ দু’টি মিল্লাত থেকে মুসলিম মিল্লাতকে আলাদা করার জন্য এ দু’টি দিন বাদ দিয়ে জুমার দিনকে সামষ্টিক ইবাদাতের জন্য গ্রহণ করে । এর ভিত্তিতেই এ দিনটিকে মুসলমানদের ঈদের দিন বলা হয় । এছাড়া অন্য পাঁচটি গুণ বা সৌন্দর্যের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে নবী (সাঃ) বলেন, জুমার দিন সকল দিনগুলোর মধ্যে উৎকৃষ্টতম এবং বৈশিষ্টপূর্ণ ।

আল্লাহর নিকটে সকল দিনগুলো থেকে এর মর্যাদা অধিক । এমন কি এ দিনের মর্যাদা ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর থেকেও বেশী। এ দিনের পাঁচটি এমন বৈশিষ্ট্য আছে যা অন্য দিনগুলোর মধ্যে নেই তা হলো :-

১. এ দিন আল্লাহ আদম আলাইহিস-কে সৃষ্টি করেন ।
২. এ দিনে আল্লাহ হযরত আদম আলাইহিস -কে দুনিয়ায় তাঁর খলীফা করে পাঠান ।
৩. এ দিনে তাঁর ইন্তেকাল হয় ।
৪. এ দিনে এমন এক বিশিষ্ট সময় আছে যখন বান্দাহ আল্লাহর কাছে যে হালাল এবং পবিত্র জিনিস চায় তা তিনি অবশ্যই তাকে দেন ।
৫. আর এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী ফেরেশতাগণ, আসমান, যমীন, বায়ু, পাহাড়, পর্বত, নদী, সমুদ্র এমন কিছু নেই যা জুমার দিনের জন্য ভীত ও কম্পিত হয় না- (ইবনে মাজাহ)


নবী (সা:) আরও বলেন- দুনিয়াতে আমাদের আগমন সকলের শেষে হয়, কিন্তু কেয়ামতের দিনে আমরা সকলের আগে বেহেশতে যাব। এসব ইহুদী নাসারাদেরকে আমাদের পূর্বে কিতাব ও হেদায়াত দেয়া হয়েছিল এবং আমাদেরকে পরে। তাদের সকলের ওপরেই জুমার শ্রদ্ধা ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এতে মতভেদ করলো এবং আল্লাহ আমাদেরকে এর ওপর অটল থাকার তাওফীক দেন। এজন্য তারা সকলে আমাদের পিছনে থাকবে । ইহুদী আগামীকালকে (শনিবার) শ্রদ্ধা করে এবং নাসারা আগামী পরশু দিনের (রবিবার) প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে । -(বুখারী, মুসলিম)

নবী (সাঃ) জুমার আয়োজন বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু করতেন এবং বলতেন- জুমার রাত সাদা রাত এবং দিন উজ্জ্বল দিন। -(মিশকাত)

ইমাম গাজ্জালী (র.) বলেন, জুমার দিনের প্রেরণা ও বরকত তারাই লাভ করে যারা তার প্রতীক্ষায় সময় কাটাতে থাকে। আর অবহেলাকারীগণ বড়ই হতভাগ্য যাদের এ কথা জানা নেই যে, জুমা এলো, তারা মানুষকে জিজ্ঞেস করে, ‘আজ কোন্ দিন’? (এহইয়াউল উলুম)।

জুমার নামাজের ইতিহাস

জুমা ফরয হওয়ার হুকুম হিজরতের পূর্বে মক্কায় হয়েছিল। কিন্তু সেখানকার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মুসলমানদের জন্য সামষ্টিক ইবাদাত করা সম্ভব ছিল না। সুতরাং নবী (সাঃ) তার ওপর আমল করতে পারেননি। অবশ্য তাঁর পূর্বে যাঁরা হিজরত করে মদীনায় পৌঁছেছিলেন, তাঁদের সরকার হযরত মুসয়াব বিন উমাইর (রা:)-কে নবী (সাঃ) লিখিত নির্দেশ দেন- فاذا قال النهار عن شطرة عند الزوال من يوم الجمعة تتقربوا إلى الله تعالى –
“জুমার দিন যখন বেলা দুপুর গড়ে যায়, দু’রাকায়াত নামায পড়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ কর”। এ হুকুমনামা পেয়ে মুসয়াব বিন উমাইর (রা.) বার জন লোক নিয়ে মদীনায় প্রথম জুমা পড়েন- (দারে-কুতনী)

হযরত কা’ব বিন মা’কাল (রা.) এবং ইবনে সিরীন (রা.) বলেন, তারও পূর্বে মদীনার আনসারগণ নিজেরাই পরামর্শ করে স্থির করেন যে, সপ্তাহে একদিন সকলে মিলে সামষ্টিক ইবাদাত করবেন। এ উদ্দেশ্যে তাঁরা ইহুদীদের শনিবার এবং নাসারাদের রোববার বাদ দিয়ে জুমার দিন নির্বাচন করেন এবং মদীনায় প্রথম জুমা আসয়াদ বিন যেরারাহ (রা:) বিয়াজা অঞ্চলে ১৪০ জন লোক নিয়ে আদায় করেন । -(মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

তারপর নবী (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন, তখন পথে চারদিন কুবা নামক স্থানে অবস্থান করেন। পঞ্চম দিনে সেখান থেকে মদীনার দিকে রওয়ানা হন। যখন তিনি বনী সালেম বিন আওফের স্থানে পৌঁছেন তখন জুমার ওয়াক্ত হয়। সেখানে তিনি প্রথম জুমা পড়েন। -(ইবনে হিশাম)

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

জুমার নামায ফরযে আইন। কুরআন, হাদীস এবং ইজমায়ে উম্মতের দ্বারা এর ফরয হওয়া অকাট্যভাবে প্রমাণিত। উপরন্তু ইসলামের প্রতীক হিসেবেও তার বিরাট মর্যাদা। এর ফরয হওয়াকে অস্বীকারকারী ইসলামের গণ্ডির বহির্ভূত অবহেলা করে তা পরিত্যাগ করলে সে ফাসেক হয়ে যাবে। কুরআন বলে-
يأيها الذين أمنوا إذا نودي للصلوة من يوم الجمعة فاسعوا إلى ذكر الله وذروا البيع ذلكم خير لكم إن كنتم تعلمون-
“হে মু’মিনগণ! যখন জুমার দিনে জুমার নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়, তোমরা আল্লাহর যিকিরের জন্য দৌড়াও এবং বেচা-কেনা বন্ধ করে দাও। এটি তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা বুঝে সুঝে কাজ কর ।”

আল্লাহর যিকির বলতে খুত্বা এবং নামায বুঝানো হয়েছে। দৌড়ানোর অর্থ পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে এবং মনোনিবেশ সহকারে যত শীঘ্র সম্ভব মসজিদে পৌঁছাবার চেষ্টা করা। এ অসাধারণ তাকীদের মর্ম এই যে, অন্যান্য নামায তো জামায়াত ব্যতীতও হতে পারে, ওয়াক্ত চলে গেলে কাযা করা যেতে পারে। কিন্তু বিনা জামায়াতে জুমার নামায হবে না এবং সময় চলে গেলে এর কাযাও নেই। এজন্য আযান শুনার পর যাদেরকে মু’মিন বলে সম্বোধন করা হচ্ছে তাদের কোনো বেচা-কেনার অথবা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকা কিছুতেই জায়েয নয়।

প্রকৃতপক্ষে এ সময়টুকু আল্লাহর দরবারে দাঁড়ানো ও সিজদা করা এবং আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকার চিরন্তন ফায়দা দুনিয়ার ব্যস্ততার সাময়িক ও স্থিতিহীন ফায়দার চেয়ে লক্ষ গুণে বেশী। তবে শর্ত এই যে, মানুষ জেনে বুঝে পূর্ণ অনুভূতির সাথে যেন এ কাজ করে । নবী (সাঃ) বলেন-

জুমার নামায জামায়াতসহ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। শুধু গোলাম, স্ত্রীলোক, নাবালেগ এবং রোগীর জন্য নয়। -(আবু দাউদ)

যে আল্লাহ এবং আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে তার ওপর জুমার নামায অপরিহার্য। তারপর সে যদি কোনো খেলা-ধূলা, তামাসা অথবা ব্যবসা বাণিজ্যের খাতিরে এ নামায থেকে বেপরোয়া হয় তাহলে আল্লাহ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন কারণ তিনি পবিত্র ও অমুখাপেক্ষী। -(দারে-কুতনী)

যদি কেউ বিনা কারণে জুমার নামায ত্যাগ করে তার নাম মুনাফিক হিসেবে এমন এক কিতাবে লিপিবদ্ধ করা হবে যা কিছুতেই মিটানো যাবে না, আর না পরিবর্তন করা যাবে । -(মিশকাত)

আমার মন বলছে যে, আমার বদলে আর কাউকে নামায পড়াতে দেই আর নিজে ঐ সব লোকের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিই যারা জুমার নামাযে না এসে বাড়ী বসে আছে । -(মুসলিম)

হযরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু এবং হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু বলেছেন যে, তাঁরা নবী (সাঃ)
-কে মিম্বারের ওপর দাঁড়িয়ে এ কথা বলতে শুনেছেন- লোকের উচিত যে, তারা যেন জুমার নামায ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে; নতুবা আল্লাহ তাদের দিলে মোহর মেরে দেবেন। তারপর তারা অবহেলায় মগ্ন হয়ে থাকবে । -(মুসলিম)

যে ব্যক্তি জুমার নামাযের আযান শুনলো অতপর নামাযে এলো না, তারপর দ্বিতীয় জুমার আযান শুনেও এলো না এবং এভাবে ক্রমাগত তিন জুমায় এলো না তার দিলে মোহর মেরে দেয়া হয় এবং তার দিলকে মুনাফিকের দিলে পরিণত করা হয় । -(তাবারানী)

আল্লামা সারাখসী বলেন- জুমা কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে ফরয এবং ফরয হওয়ার ব্যাপারে উম্মতের এজমা প্রতিষ্ঠিত । -(মাবসূত, ২য় খ-, পৃঃ ২২)

আল্লামা ইবনে হাম্মাম বলেন- জুমা এমন এক ফরয যা ফরয করেছেন কুরআন এবং সুন্নাহ । যে ব্যক্তি
এর অস্বীকার করবে তার কুফরীর ওপর উম্মতের এজমা রয়েছে । -(ফাতহুল কাদীর, ১ম খ-, পৃঃ ৪০৭)

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু বলেন- যে ব্যক্তি অবহেলা করে ক্রমাগত কয়েক জুমা ত্যাগ করবে সে ইসলামকে পিছনে নিক্ষেপ করলো। -(ইলমুল ফেকাহ)

রাসূল (সাঃ) জুমার প্রেরণা দিতে গিয়ে তার ফযীলত বর্ণনা করে বলেন- যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করলো, তার পাক পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার পুরাপুরি ব্যবস্থা করলো, তারপর তেল এবং খুশবু লাগালো এবং বেলা গড়ার সাথে সাথে আউয়াল ওয়াক্তে মসজিদে গিয়ে পৌঁছলো এবং দু’জনকে পরস্পর থেকে হটিয়ে দিল না অর্থাৎ কাঁধ ও মাথার ওপর দিয়ে কাতার ডিঙিয়ে অথবা দুজন বসে থাকা লোকের মাঝখানে গিয়ে বসে পড়ার ভুল করলো না, বরঞ্চ যেখানে জায়গা পেলো সেখানেই চুপচাপ বসে পড়লো এবং সুন্নাত নামায প্রভৃতি পড়লো যা আল্লাহ তার অংশে লিখে রেখেছেন, তারপর খতীব যখন মিম্বরে এলেন তখন নীরবে বসে খুত্বা শুনতে লাগলো তাহলে এমন ব্যক্তির ঐ গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে যা সে বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত করেছে । -(বুখারী)

হযরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেন জুমায় আগমনকারীদের তিন প্রকার ভূমিকা হয়ে থাকে-

১. একদল ঐসব লোক যারা বেহুদা কথা বার্তায় লেগে যায়। তাদের অংশে এসব বেহুদা কথা বার্তা ব্যতীত আর কিছুই পড়ে না ।

২. দ্বিতীয় ঐসব লোক যারা এসে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকে। আল্লাহ চাইলে তাদের দোয়া কবুল করবেন আর না চাইলে করবেন না।

৩. তৃতীয় ঐসব লোক যারা এসে চুপচাপ বসে যায়, না তারা মুসলমানদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে যায়, আর না তারা কারো মনে কোনো কষ্ট দেয়, তাহলে এদের এ নেক আমল আগামী জুমা এবং তারপর তিন দিন পর্যন্ত করা সকল গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায় । -(আবু দাউদ)

যেমন আল্লাহ বলেন- من جاء بالحسنة فله عشر أمثالها (انعام : ١٦٠) “যে ব্যক্তি নেক আমল করে সে তার দশগুণ প্রতিদান পায়।”

নবী (সাঃ) আরও বলেন- যে ব্যক্তি জুমার দিন ভাল করে গোসল করে, সকাল সকাল মসজিদে যায়, পায়ে হেঁটে যায়, কোনো বাহনে চড়ে নয়, তারপর নিশ্চিত মনে খুতবা শুনে এবং খুতবা চলাকালে কোনো বাজে কাজ করে না, তাহলে এমন ব্যক্তি তার প্রতি কদমের পরিবর্তে এক বছরের ইবাদাতের প্রতিদান পাবে। এক বছরের নামাযের এবং এক বছরের রোযার! -(তিরমিযী)

আরো পড়ুন :

কাযা নামাজ কাকে বলে

কাযা নামাযের হুকুম

কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম

সাহু সিজদা কি

সাহু সিজদার নিয়ম

সাহু সিজদা কখন দিতে হয়

সাহু সিজদার মাসয়ালা

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ট্যাগ সমূহ : জুমার নামাজের ইতিহাস,জুমার নামাজের ফজিলত, জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত,জুমার নামাযের বিবরণ,জুমার দিনের ফযীলত,জুমার নামাযের হুকুম,জুমার নামাযের অপরিহার্যতা,জুমার নামাজের ফজিলত, জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত,জুমার নামাজের ফজিলত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top