কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল pdf,কুরবানীর পশুর মাসায়েল,কুরবানীর বিধান,কুরবানীর মাসয়ালা মাসায়েল,কুরবানীর আধুনিক মাসায়েল,কুরবানীর আলোচনা,কুরবানীর মাসায়েল,ঈদ ও কুরবানীর মাসায়েল pdf,কুরবানীর মান্নত,কুরবানীর মাসায়েল প্রশ্ন উত্তর,কুরবানির আধুনিক মাসআলা,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কোরবানি মাসালা,কোরবানির ফাজায়েল ও মাসায়েল,কোরবানির মাসআলা,কোরবানির মাসয়ালা,কোরবানির মাসলা মাসায়েল,qurbani masail,

কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর আহকাম ও মাসায়েল
কুরবানী দাতার জন্য মসনূন আমল
যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা পোষণ করে সে যেন যুলহাজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর শরীরের কোনো অংশের চুল না কাটে, মাথা না মোড়ায় এবং নখ না কাটে। কুরবানী করার পর চুল, নখ ইত্যাদি কাটবে। এ আমল মসনূন, ওয়াজিব নয়। যার কুরবানী করার সামর্থ নেই, তার জন্যেও এটা ভালো যে, সে কুরবানীর দিন কুরবানীর পরিবর্তে তার চুল কাটবে, নখ কাটবে এবং নাভীর নীচের চুল সাফ করবে। এ কাজ তার কুরবানীর স্থলাভিষিক্ত হবে।

হযরত উম্মে সালমা (রা) বলেন, নবী (স) বলেছেন, যার কুরবানী করতে হবে সে যেন চাঁদ দেখার পর যতোক্ষণ না কুরবানী করেছে ততোক্ষণ চুল ও নখ না কাটে।-(মুসলিম, জামউল ফাওয়ায়েদ)

হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা) বলেন, নবী (স) বলেছেন, আমাকে হুকুম করা হয়েছে যে, আমি যেন ঈদুল আযহার দিনে (যুলহজ্জের দশ তারিখে) ঈদ পালন করি। আল্লাহ তায়ালা এ দিন উম্মতের জন্যে ঈদ নির্ধারিত করেছেন। একজন জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! বলুন, একজন আমাকে দুধ পানের জন্যে একটা বকরী দিয়েছে । এখন ঐ বকরী কি আমি কুরবানী করব ? নবী (স) বলেন, না তুমি তা কুরবানী করবে না। কিন্তু কুরবানীর দিন তোমার চুল ছাঁটবে, নখ কাটবে, গোঁফ ছোট করবে এবং নাভীর নীচের চুল সাফ করবে। বাস আল্লাহর কাছে এ তোমার পুরো কুরবানী হয়ে যাবে।- (জামউল ফাওযায়েদ, আবু দাউদ, নাসায়ী)

কুরবানীর পশু ও তার হুকুম
১. কুরবানীর পশু নিম্নরূপঃ উট, দুম্বা, ভেড়া, ছাগল, গরু, মহিষ। এসব পশু ছাড়া অন্য পশু কুরবানী জায়েয হবে না।
২. দুম্বা, ছাগল, ভেড়া শুধু এক ব্যক্তির জন্যে হতে পারবে। একাধিক ব্যক্তি তাতে অংশীদার হতে পারে না।

৩. এক ব্যক্তি গরু খরিদ করলো এবং তার ইচ্ছা যে অন্য লোককে অংশীদার করে কুরবানী করবে। এটা দুরস্ত হবে। যদি খরিদ করার সময় গোটা গরু নিজের জন্যে খরিদ করার নিয়ত করে পরে অন্য লোককে অংশীদার করার ইচ্ছা করে, তাও জায়েয হবে। অবশ্য এটা করা ভালো যে, সে এমন অবস্থায় তা প্রথম ইচ্ছা অনুযায়ী গোটা পশু নিজের জন্যেই কুরবানী করবে। তবে কাউকে শরীক করতে চাইলে সচ্ছল ব্যক্তিকে শরীক করবে, যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব। এমন ব্যক্তিকে যদি শরীক করা হয় যার কুরবানী ওয়াজিব নয়, তাহলে তা দুরস্ত হবে না।

৪. গরু, মহিষ ও উটের মধ্যে সাতজন অংশীদার হতে পারে, তার বেশী নয়। তবে তার জন্যে দুটি শর্ত :
প্রথম শর্ত এই যে, প্রত্যেক অংশীদারের নিয়ত কুরবানী অথবা আকীকার হতে হবে। শুধু গোশত খাওয়ার নিয়ত যেন না হয়। দ্বিতীয় শর্ত এই যে, প্রত্যেকের অংশ ঠিক এক-সপ্তমাংস হবে। তার কম
কেউ অংশীদার হতে পারে না। এ দুটো শর্তের মধ্যে কোনো একটি পূরণ না হলে কুরবানী ঠিক হবে না।

৫. উট ও গরু-মহিষে সাতজনেরও কম অংশীদার হতে পারে, যেমন দুই, চার অথবা তার কমবেশী অংশ কেউ নিতে পারে। কিন্তু এখানেও এ শর্ত জরুরী যে, কোনো অংশীদার ১/৭ এর কম অংশীদার হতে পারবে না। নতুবা কারো কুরবানী ঠিক হবে না।

৬. দুম্বা, ছাগল, ভেড়া পূর্ণ এক বছর বয়সের হলে তার কুরবানী দুরস্ত হবে। এক বছরের কম হলে কুরবানী হবে না। গরু, মহিষ পূর্ণ দু’ বছরের হতে হবে। দু’ বছরের কম হলে কুরবানী হবে না। উট পাঁচ বছরের হলে কুরবানী হবে। তার কম হলে জায়েয হবে না।

৭. গরু মহিষের কুরবানীতে কেউ এক বা একাধিক অতিরিক্ত লোকের অংশ নিজে নিজেই ঠিক করলো, অংশীদারদের অনুমতি নেয়া হলো না, তাহলে এ কুরবানী জায়েয হবে না। যাদের অংশ রাখা হবে তাদের অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে। এটা করা যাবে না যে, কুরবানীর অংশীদার মনে মনে ঠিক করে প্রথমে কুরবানী করা হলো এবং তারপর অংশীদারের অনুমতি পরে নেয়া হলো।

৮. যে পশুর শিং জন্ম থেকে ওঠেনি, অথবা ওঠার পর কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে তাহলে তার কুরবানী করা জায়েয হবে। কিন্তু শিং যদি গোড়া থেকেই ভেঙ্গে যায় তাহলে তা কুরবানী জায়েয হবে না।
৯. যে পশুর কান এক-তৃতীয়াংশের বেশী কাটা অথবা লেজ এক-তৃতীয়াংশের বেশী কাটা তার কুরবানী দুরস্ত হবে না।

১০. অন্ধ, কানা পশুর কুরবানীও জায়েয নয়। যে পশু তিন পায়ের ওপর চলে এমন ল্যাংড়া পশু কুরবানী করাও জায়েয হবে না। চতুর্থ পা যদি মাটিতে রাখে কিন্তু খুড়িয়ে চলে, তাহলে দুরস্ত হবে।

১১. দুর্বল ও জীর্ণশীর্ণ পশু কুরবানী করা জায়েয হলেও মোটাতাজা ও সুন্দর পশু কুরবানী করা ভালো। পশু যদি এমন দুর্বল ও জীর্ণশীর্ণ হয় যে, তার হাড় একেবারে মজ্জাহীন হয়ে পড়েছে—তাহলে তার কুরবানী দুরস্ত হবে না। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন যে, নবী (স) শিং বিশিষ্ট মোটা তাজা একটা দুম্বা কুরবানী করছিলেন যার চোখের চারপাশে কালো রঙ ছিল, যার মুখও কালো রঙের ছিল এবং যার পাগুলো ছিল কালো রঙের।—(আবু দাউদ)

১২. যে পশুর জন্মের সময় কান হয়নি অথবা হয়ে থাকলেও খুব ছোট ছোট তা দিয়ে কুরবানী করা দুরস্ত হবে।
১৩. যে পশুর দাঁত মোটেই নেই তার কুরবানী দুরস্ত হবে না। কিছু দাঁত পড়ে গেছে এবং অধিকাংশ দাঁত আছে তাহলে জায়েয হবে।

১৪. খাঁশি, পাঁঠা কুরবানী জায়েয। নবী (স) স্বয়ং খাঁশি দুম্বা কুরবানী করেছেন।
১৫. গাই-বকরী গর্ভবতী হলেও তা কুরবানী জায়েয হবে। বাচ্চা জীবিত হলে তাও যবেহ করা উচিত।

১৬. যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব এমন এক সচ্ছল ব্যক্তি কুরবানীর জন্যে একটি পশু খরিদ করলো। খরিদ করার পর তার মধ্যে এমন ত্রুটি পাওয়া গেল, যার জন্যে তা কুরবানী করা দুরস্ত হলো না। তখন সে আর একটি পশু খরিদ করে কুরবানী করবে। তবে কোনো দরিদ্র লোকের এমন অবস্থা হলে–যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল না, তার পক্ষে ঐ ত্রুটিপূর্ণ পশু কুরবানী করা জায়েয হবে।

কুরবানীর হুকুম
১. কুরবানী করা ওয়াজিব। হযরত আবু হুরাইরা (রা) বলেন, নবী (স) বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করবে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে ।

২. হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা)-কে একজন জিজ্ঞেস করলো কুরবানী কি ওয়াজিব ? তিনি বলেন, নবী (স) এবং মুসলমানগণ কুরবানী করেছেন। ব্যক্তি পুনরায় সে প্রশ্ন করলে তার জবাবে হযরত আবদুল্লাহ বলেন, তুমি বুঝতেছ না যে, নবী (স) এবং মুসলমানগণ কুরবানী করেছেন।

৩. কুরবানী ‘কারেন’ এবং ‘মুতামাত্তার’ ওপরে ওয়াজিব। তবে মুফরেদের ওপর ওয়াজিব নয় । সে যদি আপন ইচ্ছায় করে তাহলে তার সওয়াব পাবে।

৪. কুরবানী শুধু নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব। বিবির পক্ষ থেকেও না, আর সন্তানের পক্ষ থেকেও না।
৫. কোন ব্যক্তির ওপরে শরীয়াতের দৃষ্টিতে কুরবানি ওয়াযিব ছিল না। কিন্তু যদি সে কুরবানি করার নিয়তে পশু খরিদ করে। তাহলে সে পশু কুরবানী করা তার ওয়াজিব হবে।

৬. এক ব্যক্তির ওপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল, কুরবানীর তিন দিন অতীত হয়ে গেল কোনো কারণে সে কুরবানী করতে পারলো না। যদি এ উদ্দেশ্যে সে কোনো ছাগল খরিদ করে থাকে তাহলে জীবিত সে ছাগল খয়রাত করে দেবে। খরিদ করে না থাকলে একটি ছাগলের মূল্য খয়রাত করবে।

৭. হাজীদের ছাড়া অন্যান্য সাধারণ মুসলমানের ওপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার দুটো শর্ত রয়েছে । প্রথম শর্ত এই যে, যে সচ্ছল হবে। সচ্ছল হওয়ার অর্থ তার ততোটা ধন-সম্পদ থাকতে হবে যে মৌলিক প্রয়োজন পূরণের অতিরিক্ত এতো সম্পদ থাকবে যে, তা হিসেব করলে নেসাব পরিমাণ হবে। অর্থাৎ যার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব। দ্বিতীয় শর্ত এই যে, মুকীম হতে হবে। মুসাফিরের ওপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।

৮. কেউ এ বলে মানত মানলো যে, যদি আমার অমুক কাজটি হয়ে যায় তাহলে কুরবানী করবো। আল্লাহর ফযলে তার সে কাজ হয়ে গেল। এখন সে ব্যক্তি সচ্ছল হোক অথবা অসচ্ছল তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। মানত কুরবানীর হুকুম এই যে, তার সমস্ত গোশত গরীব ও অভাবগ্রস্ত লোকের মধ্যে বণ্টন করে দেবে—না কুরবানীকারী খাবে এবং না কোনো সচ্ছল ব্যক্তিকে খাওয়াবে।

কুরবানীর বিভিন্ন মাসায়েল
১. কুরবানী করার সময়ে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা বা দোয়া পড়া জরুরী নয়। শুধু মনের নিয়ত ও ইরাদা কুরবানী সহীহ হওয়ার জন্যে যথেষ্ট। তবে মুখে দোয়া পড়া ভালো।

২. নিজের কুরবানীর পশু নিজ হাতে যবাই করা ভালো। কোনো কারণে নিজে যবাই করতে না পারলেও পশুর কাছে হাজির থাকা দরকার। যেমন-নবী করিম (স.) হযরত ফাতেমা (রা.)-কে বলেছিলেন ফাতেমা চলো, তোমার কুরবানীর কাছে দাঁড়িয়ে থাক । এজন্যে যে, তার প্রতিটি রক্ত কণার বদলায় তোমার পূর্বের গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। ফাতেমা বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! একি আমাদের আহলে বায়তের জন্যে নির্দিষ্ট, না সকল সাধারণ মুসলমানদের জন্যে ? নবী (স) বলেন, আমাদের জন্যেও এবং সকল মুসলমানদের জন্যেও।-(জামউল ফাওয়ায়েদ)

৩. কুরবানীর গোশত নিজেও খাবে এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মধ্যেও বণ্টন করা যায় । এক-তৃতীয়াংশ গরীব মিসকীনের মধ্যে বণ্টন করে বাকী নিজের মধ্যে এবং আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে বণ্টন করা ভালো। কিন্তু এটা অপরিহার্য নয় যে, এক-তৃতীয়াংশ গরীবদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। তার কম গরীব দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করলেও কোন দোষ নেই।

৪. গরু মহিষ প্রভৃতি কুরবানীতে কয়েকজন শরীক হলে গোশত ভাগ অনুমান করে করা চলবে না। বরঞ্চ মাথা, গুর্দা, কলিজী প্রভৃতি প্রত্যেক জিনিস সমান সমান সাত ভাগ করতে হবে। তারপর যার যতো অংশ তাকে ততোটা দিতে হবে।

৫. গরু মহিষ বা উটে কয়েক ব্যক্তি অংশীদার রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে গোশত ভাগ করে নেয়ার পরিবর্তে যদি সব একত্রে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করতে অথবা রান্না করে তাদেরকে খাওয়াতে চায় তাহলে তা জায়েয হবে।

৬. কুরবানীর গোশত অমুসলিমকে দেয়াও জায়েয। তবে মজুরী বাবদ দেয়া জায়েয নয়।
৭. কুরবানীর চামড়া অভাবগ্রস্তকে দেয়া যায় অথবা তা বিক্রি করে মূল্যও খয়রাত করা যায়। এ মূল্য তাদেরকে দেয়া উচিত যাদেরকে যাকাত দেয়া যায়।

৮. কুরবানীর চামড়া নিজের কাজেও ব্যবহার করা যায়। যেমন জায়নামায বানানো হলো।
৯. কসাইকে গোশত বানাবার মজুরী স্বরূপ গোশত, চামড়া, রশি প্রভৃতি দেয়া ঠিক হবে না। মজুরী পৃথক দিতে হবে। রশি, চামড়া প্রভৃতি খয়রাত করতে হবে।

১০. যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব তাকে তো কুরবানী করতেই হবে। যার ওপর ওয়াজিব নয়, তার যদি খুব বেশী কষ্ট না হয় তাহলে তারও কুরবানী করা উচিত। অবশ্য ধার দেনা করে কুরবানী করা ঠিক নয়।

মৃত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কুরবানী
আল্লাহ যাকে ধন-সম্পদ দিয়ে ধন্য করেছেন সে শুধু তার ওয়াজিব কুরবানী করেই ক্ষ্যান্ত হবে না। বরঞ্চ কুরবানীর অফুরন্ত সওয়াব পাওয়ার জন্যে আপন মুরব্বীদের পক্ষ থেকে যথা মৃত মা-বাপ, দাদা-দাদী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করা ভালো। এমন কি যার বদৌলতে হেদায়াত ও ঈমানের সম্পদ লাভ সম্ভব হয়েছে এমন হাদী ও মুরশিদের পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া তো মুমিনের জন্যে অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। এভাবে আযওয়াজে মুতাহহেরা অর্থাৎ রূহানী মা-দের পক্ষ থেকে কুরবানী করাও অশেষ সৌভাগ্যের কথা।

কুরবানীর দিনগুলো ও সময়
১. ঈদুল আযহা অর্থাৎ যুলহজ্জের দশ তারিখ থেকে বারো তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কুরবানী করার সময়। এ তিন দিনের যে কোনো দিনে সুযোগ সুবিধা মতো কুরবানী করা জায়েয। তবে কুরবানী করার সবচেয়ে উত্তম দিন হলো ঈদুল আযহার দিন। তারপর এগারো তারিখ এবং তারপর বারো তারিখ।

২. শহরের অধিবাসী যদি তাদের কুরবানী গ্রামাঞ্চলে করায় তাহলে তাদের কুরবানী গ্রামাঞ্চলে ফজরের পরও হতে পারে। ঈদের নামাযের পূর্বেই যদি গোশত এসে যায় তাহলেও কুরবানী জায়েয হবে।

৩. শহর ও বন্দরের অধিবাসীদের জন্যে ঈদের নামাযের পূর্বে কুরবানী জায়েয নয়। নামাযের পর কুরবানী করবে। তবে গ্রামাঞ্চলের লোক ফজর নামাযের পরও কুরবানী করতে পারে।

৪. কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার দুটো শর্ত মুকীম হওয়া এবং সচ্ছল হওয়া। যদি কোনো ব্যক্তি সফরে থাকে এবং বারো তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে বাড়ী পৌছে এবং সে যদি সচ্ছল হয় তাহলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে ; সে যদি মুকীম এবং দরিদ্র হয়, কিন্তু ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে যদি আল্লাহ তাকে মালদার বানিয়ে দেয় তাহলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।

৫. কুরবানীর দিনগুলোতে অর্থাৎ ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময়ে দিনে বা রাতে, কুরবানী করা জায়েয। তবে রাতে কুরবানী না করা ভালো। কারণ কোনো রগ হয়তো ভালোভাবে কাটা নাও যেতে পারে যার জন্যে কুরবানী দুরস্ত হবে না।

আরো পড়ুন :

কুরবানির ইতিহাস

ইতিহাসে সর্বপ্রথম কুরবানী

কুরবানী করার নিয়ম ও দোয়া

কুরবানীর ফজিলত ও তাৎপর্য

ট্যাগ সমূহ : কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল pdf,কুরবানীর পশুর মাসায়েল,কুরবানীর বিধান,কুরবানীর মাসয়ালা মাসায়েল,কুরবানীর আধুনিক মাসায়েল,কুরবানীর আলোচনা,কুরবানীর মাসায়েল,ঈদ ও কুরবানীর মাসায়েল pdf,কুরবানীর মান্নত,কুরবানীর মাসায়েল প্রশ্ন উত্তর,কুরবানির আধুনিক মাসআলা,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কোরবানি মাসালা,কোরবানির ফাজায়েল ও মাসায়েল,কোরবানির মাসআলা,কোরবানির মাসয়ালা,কোরবানির মাসলা মাসায়েল,qurbani masail,কুরবানির কিছু জরুরি মাসায়েল,কুরবানীর বিভিন্ন মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,কুরবানীর মাসায়েল,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top