অযুর সুন্নত কয়টি

অযুর সুন্নাত, অযুর সুন্নত কয়টি, অযুর সুন্নত , অযুর সুন্নত সমূহ, অযুর সুন্নত কয়টি ও কী কী, অযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি, ওযুর ফরজ ও সুন্নাত, ওযুর সুন্নাত কয়টি, ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি, ওযুর সুন্নত কয়টি ও কী কী,ওযুর সুন্নত কয়টি, ওযুর সুন্নত গুলো কি কি, ওযুর সুন্নত, অজুর সুন্নাত কয়টি,অযুর সুন্নত কয়টি, ojur sunnat,অযুর সুন্নত কয়টি,অযুর মুস্তাহাব কয়টি,অযুর মুস্তাহাব,
অযুর সুন্নত

অযুর সুন্নত কয়টি

অযুর কিছু সুন্নাত আছে । অযু করার সময় তা রক্ষা করা দরকার । অবশ্য যদিও তা ছেড়ে দিলে কিংবা তার বিপরীত কিছু করলেও অযু হয়ে যায়, তথাপি ইচ্ছা করে এমন করা এবং বার বার করা মারাত্মক ভুল । আশঙ্কা হয় এমন ব্যক্তি গুনাহগার হয়ে যেতে পারে ।

অজু  দৈহিক পবিত্রতার অন্যতম মাধ্যম। ইসলামের প্রধান ইবাদত নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য অজু করা শর্ত। অজু কীভাবে করতে হয়, তা মহানবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়ে গেছেন। কোরআনে বর্ণিত ফরজগুলোর বাইরে মহানবী (সা.)-এর শেখানো নিয়মগুলোই অজুর সুন্নত। অজুর সুন্নত ১৫টি। নিচে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-

অযুর সুন্নাত পনেরটি

১. আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং আখিরাতের প্রতিদানের নিয়ত করা ।
২. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলে অযু শুরু করা ।
৩. মুখ ধোয়ার আগে কব্জি পর্যন্ত দু’হাত ধোয়া ।
৪. তিন বার কুলি করা ।
৫. মিসওয়াক করা ।
৬. নাকে তিনবার পানি দেয়া ।
৭. তিনবার দাড়ি খেলাল করা। তবে ইহরাম অবস্থায় দাড়ি খেলাল করা ঠিক হবে না যদি হঠাৎ কোনো দাড়ি উপড়ে যায় । ইহরামকারীরজন্য চুল উপড়ানো নিষেধ ।

৮. হাত পায়ের আঙুলে খিলাল করা

৯. গোটা মাথা মাসেহ করা ।

১০. দু’কান মাসেহ করা। তবে কান মাসেহ করার জন্য নতুন পানিতে হাত ভেজাবার দরকার নেই । তবে, টুপি, পাগড়ি, রুমাল প্রভৃতি স্পর্শ করার কারণে হাত শুকিয়ে গেলে দ্বিতীয়বার হাত ভিজিয়ে নিতে হবে ।

১১. ক্রমানুসারে করা ।
১২. প্রথমে ডান দিকের অঙ্গ ধোয়া তারপর বাম দিকের ।
১৩. একটি অঙ্গ ধোয়ার পর পর দ্বিতীয়টি ধোয়া । একটির পর একটি ধুতে এত বিলম্ব না করা যে, প্রথমটি শুকিয়ে যায়।
১৪. প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার ধোয়া।
১৫. অযুর শেষে মাসনূন দোয়া পড়া ( পূর্বে দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে)।

অযুর মুস্তাহাব

অর্থাৎ এমন কিছু খুটিনাটি যা পালন করা অযুর মুস্তাহাব ।
১. এমন উঁচু স্থানে বসে অযু করা যাতে পানি গড়িয়ে অন্য দিকে যায় এবং ছিটা গায়ে না পড়ে।
২. কেবলার দিকে মুখ করে অযু করা ।
৩. অযুর সময় অপরের সাহায্য না নেয়া । অর্থাৎ নিজেই পানি নেয়া এবং নিজে নিজেই অঙ্গাদি ধোয়া। তবে যদি কেউ অযাচিতভাবে এগিয়ে এসে পাত্র ভরে পানি দিয়ে দেয় তাতে কোনো দোষ নেই । কারো কাছে সাহায্যের প্রতীক্ষায় থাকা ঠিক নয়। রোগী বা অক্ষম ব্যক্তির অপরের দ্বারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদি ধুয়ে নেয়া মোটেই দূষণীয় নয়।

৪. ডান হাতে পানি দিয়ে কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া।
৫. বাম হাত দিয়ে নাক সাফ করা।
৬. পা ধুবার সময় ডান হাতে পানি ঢালা এবং বাম হাতে ঘষে ধোয়া।
৭. অঙ্গ ধোবার সময় মাসনূন দোয়া পড়া।
৮. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঘষে ঘষে ধোয়া যেন কোনো স্থানে শুকনো না থাকে এবং ময়লা থেকে না যায়।

আরো পড়ুন :

ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ

যে অবস্থায় অযু ফরয হয়

গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?

নামাজের ফরজ মোট 13 টি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি ?

ট্যাগ সমূহ : অযুর সুন্নাত, অযুর সুন্নত কয়টি, অযুর সুন্নত , অযুর সুন্নত সমূহ, অযুর সুন্নত কয়টি ও কী কী, অযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি, ওযুর ফরজ ও সুন্নাত, ওযুর সুন্নাত কয়টি, ওযুর সুন্নত কয়টি ও কি কি, ওযুর সুন্নত কয়টি ও কী কী,ওযুর সুন্নত কয়টি, ওযুর সুন্নত গুলো কি কি, ওযুর সুন্নত, অজুর সুন্নাত কয়টি,অযুর সুন্নত কয়টি, ojur sunnat,অযুর সুন্নত কয়টি,অযুর মুস্তাহাব কয়টি,অযুর মুস্তাহাব

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top